মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটির সামরিক জান্তা এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে, প্রচণ্ড তাপ এবং ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে খোলা আকাশের নিচে ক্যাম্পিং করা ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে বলে ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে। 

গত শুক্রবার মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এটি এক শতাব্দির মধ্যে মিয়ানমারের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে একটি ছিল। ভূমিকম্পের কারণে ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষের বসবাসের এই অঞ্চলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। হাসপাতালগুলোর মতো ভবন ভেঙে পড়েছে, বাড়িঘর ভেঙে গেছে। এর ফলে বাস্তুচ্যুত হয়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষ।

ক্ষমতাসীন জান্তা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে তিন হাজার ৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে,  চার হাজার ৭১৫ জন আহত এবং ৩৪১ জন নিখোঁজ রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মান্দালয়, সাগাইং এবং রাজধানী নেপিদোর মতো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কলেরা ও অন্যান্য রোগ বাড়ার ঝুঁকি রয়েছে।

মান্দালয়ে গত বছর একটি প্রাদুর্ভাবের দিকে ইঙ্গিত করে সংস্থার মিয়ানমার অফিসের উপ-প্রধান এলেনা ভুওলো বলেন, “কলেরা আমাদের সকলের জন্য একটি বিশেষ উদ্বেগের বিষয়।”

তিনি জানান, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার প্রায় অর্ধেক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের ক্ষতি হওয়ার ফলে ঝুঁকি আরো বাড়ছে, যার মধ্যে মান্দালয় এবং নেপিদোতে ভূমিকম্পে ধ্বংস হওয়া হাসপাতালও অন্তর্ভুক্ত।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ ম কম প

এছাড়াও পড়ুন:

জরুরি বৈঠকে বসছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় ইসরায়েলি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি বৈঠকে বসছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) বোর্ড অব গভর্নরস। আজ সোমবার আইএইএর সদর দপ্তরে এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। খবর বিবিসির

রাশিয়া, চীন ও ভেনেজুয়েলের সহায়তায় এবং ইরানের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি বৈঠকে বসছে আইএইএ।

ইরান শুরুতে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করতে চেয়েছিল। তবে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ওই প্রস্তাবে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। ফলে, ইরান এখন সাধারণ বিবৃতি দেওয়ার দিকে নজর দিয়েছে। ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে এই বিবৃতি দেওয়া হবে।

ইরান বলেছে, আইএইএ–র বোর্ড অফ গভর্নরদের অবশ্যই ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে। তবে এই পরিস্থিতিতে এ ধরনের নিন্দা জানানোর সম্ভাবনা কম।

তবে এই বৈঠকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির পথ সুগম হবে কী না তার কোনো স্পষ্ট আভাস পাওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ