সাতটি ছানা ফেলে বিড়াল নিখোঁজ, মাইকিং করে ফেরত পেলেন মালিক
Published: 20th, April 2025 GMT
বরগুনার আমতলী উপজেলায় হারিয়ে যাওয়া একটি পার্সিয়ান জাতের বিড়ালকে খুঁজে পেতে শহরজুড়ে মাইকিং করেছেন মো. সানাউল্লাহ নামের এক যুবক। বিড়ালটির সাতটি দুধের ছানা রয়েছে। ছানাগুলোর প্রাণ বাঁচাতে গতকাল শনিবার রাতে আমতলী পৌর শহরে মাইকিং করেন তিনি। আজ রোববার সকালে কালে বিড়ালটির সন্ধান পাওয়া যায়।
গতকাল বেলা দেড়টার দিকে আমতলী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের এম স্কুলসংলগ্ন মো.
সানাউল্লাহ বলেন, ‘প্রায় দেড় বছর বিড়ালটি বাসায় পালন করছি। ছানাগুলোর অবস্থা দেখে মনে হয়েছে, মা ছাড়া ওরা টিকতে পারবে না। তাই বাধ্য হয়েই মাইকিং করি।’
আজ রোববার সকালে সানাউল্লাহ বলেন, ‘গতকাল আমার পোষা বিড়ালটি আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায় একটি বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল। ওই বাড়ির লোকজন বিড়ালটিকে আটক করে রাখে। রাতে বিড়ালের সন্ধানে মাইকিং করি। আজ সকাল আটটায় তাঁরা বিড়ালটি বাসায় নিয়ে আসেন। মাইকিং করার কারণেই বিড়াল ফিরে পেয়েছি।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ন উল ল হ
এছাড়াও পড়ুন:
আলীকদমে নিখোঁজ আরেক পর্যটকের লাশ উদ্ধার
বান্দরবানের আলীকদমে নিখোঁজ হওয়া তিন পর্যটকের মধ্যে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা লাশটি স্মৃতি আক্তারের (২৪) বলে তাঁর সঙ্গী পর্যটকেরা শনাক্ত করেছেন।
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আলীকদম উপজেলা সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে তৈনখালের আমতলি ঘাট এলাকায় ভাসমান অবস্থায় লাশটি পাওয়া যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে এ নিয়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হলো।
আলীকদম ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানিয়েছেন, সকালে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে লাশের সংবাদ পাওয়া যায়। আমতলি ঘাট থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বেঁচে ফিরে আসা ১৯ পর্যটককে আলীকদম থানায় রাখা হয়েছে।
পর্যটকদের মধ্যে রাহাত হোসেন নামের একজন জানান, আজকে উদ্ধার হওয়া লাশটি স্মৃতি আক্তারের। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায়। স্মৃতি আক্তার ও মো. হাসান পর্যটন ব্যবস্থাপনা সংস্থা ট্যুর এক্সপার্টের সহপরিচালক। তাঁদের ব্যবস্থাপনায় এই ভ্রমণ আয়োজিত হয়।
৮ জুন দুটি দলে ৩৩ জন পর্যটক আলীকদম ও থানচি উপজেলার মধ্যবর্তী দুর্গম ক্রিস্টং পাহাড়ে গিয়েছিলেন। পাঁচ দিনের ভ্রমণে এক দলে ১১ জন ও তিন দিনের ভ্রমণের আরেক দলে ২২ জন পর্যটক ছিলেন। গত বুধবার তিন দিনের ভ্রমণ শেষে ২২ জনের দলটি ফিরে আসার পথে প্রবল বৃষ্টিতে হঠাৎ শামুকঝিরি ঝরনায় পাহাড়ি ঢল নামে। তাঁদের মধ্যে ১৯ জন ফিরে এলেও জুবাইরুল, হাসান ও স্মৃতি পেছনের দিকে থাকায় নিখোঁজ হন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, নিখোঁজ তিন পর্যটকের মধ্যে আজ স্মৃতি আক্তার ও গতকাল জুবাইরুল ইসলামের লাশ পাওয়া গেছে। লাশ দুটি বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মো. হাসানের লাশ এখনো পাওয়া যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিখোঁজ তিনজনকে শনাক্তের জন্য মানবিক কারণে ১৯ জন পর্যটককে থানায় রাখা হয়েছে। তাঁরা না হলে নিখোঁজ তিনজনকে শনাক্ত করার কেউ থাকবে না।