ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট
Published: 21st, April 2025 GMT
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের একাধিক স্থানে যানবাহন বিকল এবং সড়ক দুর্ঘটনার কারণে কুমিল্লাগামী লেনে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে দীর্ঘ সময় আটকে থেকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যানবাহন চালক ও যাত্রীরা।
সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোরে গজারিয়া অংশের বাউশিয়া এলাকায় পিকআপ ও মাইক্রোবাসের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি বাউশিয়া এবং বালুয়াকান্দি এলাকায় দুটি মালবাহী ট্রাক বিকল হওয়ায় কুমিল্লাগামী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে গাড়ির জট বাড়তে থাকে। সকাল ৯টার মধ্যে যা মহাসড়কের প্রায় ৯ কিলোমিটার অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
কুমিল্লাগামী প্রাইভেটকার চালক উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ‘‘ভাটেরচর ব্রিজ পার হওয়ার পর থেকে যানজট পেয়েছি। গোমতী ব্রিজ পর্যন্ত যানজট রয়েছে। এই ৯ কিলোমিটার পথ আসতে আমার দেড় ঘণ্টার মত সময় লাগল।’’
আরো পড়ুন:
রাতে থেমে থেমে যানজট, সকালে স্বস্তি মহাসড়কে
চন্দ্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে থেমে থেমে যানজট
ট্রাক চালক কুরবান আলী বলেন, ‘‘কী কারণে যানজট তা বলতে পারছি না। দীর্ঘ সময় ধরে যানজটে আটকে আছি, জানি না কখন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব।’’
গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো.
ঢাকা/রতন/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য নজট য নজট
এছাড়াও পড়ুন:
কচুরিপানা ও দূষণে ধুঁকছে শাখা ধনাগোদা, পরিষ্কারের উদ্যোগ নেই
একসময় নদীটি ছিল খরস্রোতা। নৌপথে স্থানীয় লোকজন সহজেই রাজধানী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে চলাচল করত। আর নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন হাজারো জেলে। এখন সেসব কেবলই অতীত। ’৭৯ সালে বেড়িবাঁধ হওয়ার পর পাল্টে যায় শাখা ধনাগোদা নদীর এই দৃশ্যপট।
শাখা ধনাগোদা নদী ধীরে ধীরে কচুরিপানা ও শেওলার দখল–দূষণে মৃতপ্রায়। নদীটি বাঁচাতে প্রশাসন বা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তেমন উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার লোকজন।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধের ভেতরে গাজীপুর থেকে কালীপুর পর্যন্ত শাখা ধনাগোদা নদীর অবস্থান। এটি প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও আনুমানিক ৪০০ থেকে ৫০০ ফুট প্রশস্ত। স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছে এটি শাখা ধনাগোদা নামে পরিচিত।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ওই নদীর গাজীপুর, নবুরকান্দি, নয়াকান্দি, লুধুয়া, রসুলপুর, শাহাবাজকান্দি ও কালীপুরসহ কয়েকটি এলাকায় দেখা যায়, নদীটির অধিকাংশই কচুরিপানার দখলে। এখানে-সেখানে কচুরিপানার স্তূপ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে উঠেছে শেওলা। শেওলা ও কচুরিপানার দাপটে নদী থমকে আছে। অনেক স্থানে শেওলা ও কচুরিপানা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এ ছাড়া স্থানীয় লোকজন ময়লা-আবর্জনা ফেলে কয়েকটি স্থানকে ভাগাড় বানিয়ে ফেলেছেন। নদীর তীরে বেড়ে গেছে মশা–মাছির উপদ্রব।
শাখা ধনাগোদা নদীর তীরে জমেছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। আজ সকালে উপজেলার গাজীপুর এলাকায়