ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের একাধিক স্থানে যানবাহন বিকল এবং সড়ক দুর্ঘটনার কারণে কুমিল্লাগামী লেনে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে দীর্ঘ সময় আটকে থেকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যানবাহন চালক ও যাত্রীরা।

সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোরে গজারিয়া অংশের বাউশিয়া এলাকায় পিকআপ ও মাইক্রোবাসের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি বাউশিয়া এবং বালুয়াকান্দি এলাকায় দুটি মালবাহী ট্রাক বিকল হওয়ায় কুমিল্লাগামী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে গাড়ির জট বাড়তে থাকে। সকাল ৯টার মধ্যে যা মহাসড়কের প্রায় ৯ কিলোমিটার অংশে ছড়িয়ে পড়ে।

কুমিল্লাগামী প্রাইভেটকার চালক উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ‘‘ভাটেরচর ব্রিজ পার হওয়ার পর থেকে যানজট পেয়েছি। গোমতী ব্রিজ পর্যন্ত যানজট রয়েছে। এই ৯ কিলোমিটার পথ আসতে আমার দেড় ঘণ্টার মত সময় লাগল।’’

আরো পড়ুন:

রাতে থেমে থেমে যানজট, সকালে স্বস্তি মহাসড়কে 

চন্দ্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে থেমে থেমে যানজট

ট্রাক চালক কুরবান আলী বলেন, ‘‘কী কারণে যানজট তা বলতে পারছি না। দীর্ঘ সময় ধরে যানজটে আটকে আছি, জানি না কখন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব।’’

গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো.

শওকত হোসেন বলেন, ‘‘বিকল হাওয়া গাড়িগুলো মহাসড়ক থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

ঢাকা/রতন/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য নজট য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

নরসিংদীতে ভূমিকম্পে দুজন নিহত, আহত ৬৭

নরসিংদীতে ভূমিকম্পে দুজন নিহত এবং কমপক্ষে ৬৭ জন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন—পলাশ উপজেলার কাজল আলী এবং গাবতলীর ওমর মিয়া।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনির হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা একজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হয়েছি। এখনো উদ্ধার তৎপরতা চলছে।”

গাবতলীতে ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে পড়ে আহত হন ওমর মিয়া। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নরসিংদী জেলা সদর ও আশপাশের বিভিন্ন স্থানে মোট ৬৭ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

ভূকম্পনে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থানে অনেক ভবনে ফাটল ধরেছে। কিছু ভবন হেলে পড়েছে। বেশকিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

সুমন মিয়া নামের এক ব্যক্তি সাংবাদিকদের বলেছেন, “এত জোরে কাঁপছিল যে, দৌড়ে বাইরে বের হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। আমাদের বাড়ির দেয়ালে বড় ফাটল ধরেছে।”

দোকানি রহিম উদ্দিন বলেছেন, “দোকানের কাঁচের শোকেস ভেঙে গেছে। মালামাল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। জীবনে এমন ভয়াবহ কম্পন দেখিনি।”

নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ শামিম আহমেদ বলেন, “আমরা আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি। যাদের অবস্থা গুরুতর, তাদের দ্রুত ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।”

ভূমিকম্পের পরপরই ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। জেলা প্রশাসন ক্ষয়-ক্ষতির নিরূপণে কাজ করছে। 

ঢাকা/হৃদয়/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ