Samakal:
2025-09-17@23:34:12 GMT

গভীর রাতে শাহবাগ অবরোধ

Published: 23rd, April 2025 GMT

গভীর রাতে শাহবাগ অবরোধ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে দুই ঘণ্টা শাহবাগ মোড়ে ব্লকেড দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের অবরোধে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত টানা দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা আজ বুধবার সারাদেশে স্কুল-কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন এবং প্রতীকী অনশন পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন। 

এদিকে একই দাবিতে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশনে বসেছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতাকর্মী। রাত ১০টা থেকে ঢাবি শাখার সদস্য সচিব মহির আলম, কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী, ছাত্র সংসদ নেতা রেজোয়ান আহমেদ রিফাত, রিমন চৌধুরীসহ ১০-১২ শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসেছেন। 

গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা ‘ব্লকেড, শাহবাগ ব্লকেড; আমার ভাই অনশনে, ইন্টেরিম কী করে; শিক্ষা সন্ত্রাস একসঙ্গে চলে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। অবরোধে শাহবাগের চারপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। 

এ সময় কর্মসূচি ঘোষণা করে ঢাবির বাংলা বিভাগের ছাত্র মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, কুয়েটের শিক্ষার্থীরা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তবে কুয়েট ভিসির কোনো নড়চড় নেই। কুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বুধবার সারাদেশে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছি। সব ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে বিকেল ৩টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে। 

এ সময় অনলাইনে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন কুয়েটের অনশনরত শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ সৈকত। তিনি বলেন, আমাদের এক দফা দাবি– উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগ। এ সময় আরও বক্তব্য দেন বুয়েট প্রতিনিধি আব্দুন নুর তুষার, চুয়েট প্রতিনিধি আহনাফ তাহমিদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মাসুদ রানা এবং ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি সালাউদ্দিন জাবেদ।
এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গতকাল ঢাকায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত। 

আমরণ অনশনে অসুস্থ কুয়েটের চার শিক্ষার্থী
আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কুয়েটের চার শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিক্ষকরা একাধিকবার শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানালেও সাড়া দেননি তারা। 

গতকাল দুপুর ১২টার দিকে অনশনরত শিক্ষার্থী আজিমুল হক সিয়াম কিছুটা অসুস্থ বোধ করলে কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারে তাঁকে ভর্তি করা হয়। দুপুর দেড়টার দিকে নামাজ পড়ার সময় অনশনরত শিক্ষার্থী সাদিক সিদ্দিক ফারিব অজ্ঞান হয়ে পড়েন। প্রথমে তাঁকে কুয়েটের মেডিকেল সেন্টার, পরে নগরীর বেসরকারি সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ শিক্ষা উপদেষ্টার

কুয়েট শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সিআর আবরার। গতকাল কুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফোনালাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপদেষ্টা আন্দোলন ও অনশনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবর ধ শ হব গ অনশনরত শ ক ষ র থ আমরণ অনশন শ হব গ গতক ল অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

তিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৫ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ

সম্পূরক বৃত্তি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণাসহ তিন দফা দাবিতে অনশনে বসা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে দুজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন তাঁরা।

এর আগে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়।

তিন দফা দাবির অন্যটি হলো ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি প্রদান ও স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা চালু।

আজ বুধবার দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে তিন দফা দাবিতে অনশন চালিয়ে যেতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনশনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তাঁদের খোঁজখবর নিতে দেখা যায়।

অনশনে বসা পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন উদ্ভিদবিজ্ঞানের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ফয়সাল মুরাদ ও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ফেরদৌস শেখ, ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শাহীন মিয়া এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের অপু মুন্সী।

অনশনকারীদের মধ্যে ফয়সাল মুরাদ ও এ কে এম রাকিব অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের পেটে ব্যথা, রক্তচাপ কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে।

অনশনকারী অপু মুন্সী বলেন, পারিবারিক কারণে তাঁকে গ্রামে চলে যেতে হয়েছে। তাই গতকাল রাতে তিনি অবস্থান করতে পারেননি।

আজ অনশনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।

এদিকে অনশনকারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল করবেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ কারণে শিক্ষার্থীদের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে উপস্থিত হতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

অনশনে অংশ নেওয়া শাহীন মিয়া বলেন, প্রশাসন আগের মতোই বাহানা করে যাচ্ছে। হচ্ছে, হবে এ বক্তব্য থেকে বের হতে পারেনি প্রশাসন। আর কোনো টালবাহানা তাঁরা শুনবেন না। তাঁদের দাবি অবশ্যই মানতে হবে। তা না হলে প্রশাসনকে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে।

আরেক অনশনকারী ফয়সাল মুরাদ বলেন, প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে অনশন চলছে, কিন্তু প্রশাসন এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ইতিমধ্যে তিনিসহ আরও একজন অনশনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

অনশনকারী এ কে এম রাকিব প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা অবস্থানসহ বেশ কিছু কর্মসূচি পালন করেছি, কিন্তু তাতে প্রশাসন কর্ণপাত করেনি। তাই অনশনে যেতে বাধ‍্য হয়েছি। এ ছাড়া আমাদের উপায় ছিল না। এই নখদন্তহীন প্রশাসন হয়তো আমাদের দাবি মেনে নেবে, নয়তো তাদের নিজেদের রাস্তা মাপতে হবে।’

আরও পড়ুনসম্পূরক বৃত্তি ও জকসু নির্বাচনের রূপরেখাসহ তিন দাবিতে অনশনে ৫ শিক্ষার্থী১৯ ঘণ্টা আগে

যতক্ষণ তিন দফা দাবি আদায় না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত অনশন চলবে জানিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যতক্ষণ শরীরে শেষ রক্তবিন্দু আছে ততক্ষণ তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন। ক্লাস-পরীক্ষা শেষ করে অনেকেই এসে সংহতি প্রকাশ করছেন। সকাল থেকে এ সংখ্যা বাড়ছে।

এদিকে গতকাল রাতে অনশনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে উপস্থিত হন। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম ডিসেম্বরের মধ্যে জকসু নির্বাচন আয়োজনের এবং জানুয়ারি মাস থেকে সম্পূরক বৃত্তি দেওয়ার আশ্বাস দেন।

তবে সুস্পষ্ট রূপরেখা ছাড়া ও প্রশাসন থেকে লিখিত না পাওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে উপাচার্যকে জানিয়েছেন অনশনকারী শিক্ষার্থীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা
  • ৩ দাবিই পূরণ চান অনশনরত জবি শিক্ষার্থীরা
  • টানা ৩০ ঘণ্টা অনশনে তিন জবি শিক্ষার্থী অসুস্থ
  • তিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৫ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ
  • তিন দাবিতে অনশনে জবি শিক্ষার্থীরা
  • ডিসেম্বর মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আশ্বাস জবি উপাচার্যের
  • জকসুর রোডম্যাপসহ ৩ দাবিতে অনশনে জবি শিক্ষার্থীরা
  • সম্পূরক বৃত্তি ও জকসু নির্বাচনের রূপরেখাসহ তিন দাবিতে অনশনে ৫ শিক্ষার্থী