হলে সিট না দেওয়ায় নোয়াখালী সরকারি কলেজের হল সুপার লাঞ্ছিত
Published: 6th, May 2025 GMT
সুপারিশকৃত শিক্ষার্থীকে হলে সিট না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম সোহাগের বিরুদ্ধে হল সুপারের কক্ষ ভাঙচুর ও সুপারকে লাঞ্ছনার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৫ মে) নোয়াখালী সরকারি কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অফিস কক্ষে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন হল সুপার মো. আনোয়ার হোসেন। এ সময় তিনি লাঞ্ছনার শিকার হন। মো.
জানা যায়, নিয়ম লঙ্ঘন করে ছাত্রদলের সুপারিশকৃত ছাত্রকে হলে সিট না দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
হেনস্তার শিকার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘কয়েকদিন হলো আমি কলেজের হলের দায়িত্ব পেয়েছি। ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম সোহাগ এসে একটা ছাত্রকে হলে ওঠানোর বিষয়ে আমাকে বলে। তখন আমি বলি নিয়ম মতে আবেদন অনুযায়ী সিট খালি থাকা সাপেক্ষে সবাইকে হলে ওঠানো হবে। তখন সে আমাকে হুমকি-ধামকি দেয়। আমি তাকে সংযত আচরণ করতে বললে সে আরো উত্তেজিত হয়ে আমার কক্ষের টেবিল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।’’
‘‘এটা তার এলাকা, আমাকে সে দেখে নেবে,’’ বলেও রাশেদুল ইসলাম হুমকি দিয়েছে বলে জানান আনোয়ার হোসেন।
রাশেদুল ইসলাম সোহাগ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। শুধু একটু চেঁচামেচি করেছিলাম। তাছাড়া ওই স্যার জামায়াত-শিবিরপন্থী।’’
এদিকে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার নোয়াখালী সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে।
নূর হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী এ সময় বলেন, ‘‘পরিবর্তনের বাংলাদেশে আর যেন কোনো শিক্ষক লাঞ্ছনার শিকার না হন। আমরা শিক্ষককে লাঞ্ছনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনারও জোর দাবি জানাচ্ছি।’’
নাহিদা সুলতানা নামে অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘‘ছাত্রলীগের অত্যাচারের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে রাজপথে নেমেছিল। কিন্তু আরেকটি ছাত্র সংগঠন এখন সেই একই আচরণ করছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবার যদি একত্রিত হয়, তাহলে নোয়াখালী কলেজ ক্যাম্পাস থেকে তারাও বিতাড়িত হবে।’’
এদিকে মঙ্গলবার শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে শিক্ষকেরা জরুরি সভায় মিলিত হন। আলোচনা করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সভা শেষে জানানো হয়।
এ প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জাকির হোসেনকে ফোনে কল করা হলে ‘ব্যস্ত আছি’ বলে তিনি সংযোগ কেটে দেন।
মাওলা সুজন//
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ দ ল ইসল ম কল জ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
অতিরিক্ত মোটা হওয়ায় যাত্রীকে তুলতে অস্বীকৃতি উবার চালকের
চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য সম্প্রতি রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান উবারের একটি গাড়ি ডেকেছিলেন মাইকেল। গাড়িটি আসার পর দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতে যেতেই বাধল বিপত্তি। ‘অতিরিক্ত মোটা’ হওয়ায় চালক তাঁকে গাড়িতে তুলতে অস্বীকৃতি জানান। যুক্তরাষ্ট্রে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
গেমিং প্ল্যাটফর্ম টুইচের জনপ্রিয় স্ট্রিমার মাইকেল। ওই প্ল্যাটফর্মে তাঁর ৬০ হাজারের বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। তিনি তাঁর কল অব ডিউটি গেমপ্লের জন্য পরিচিত।
মাইকেল সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভিডিওর শিরোনামে তিনি লিখেছেন, ‘আমি মজা করছি না। আমার উবার চালক বলেছেন, আমি নাকি অনেক বেশি মোটা। তাই তাঁর গাড়িতে আমাকে নেওয়া সম্ভব নয়। এমনকি তিনি আমার দিকে বন্দুক তাক করার হুমকিও দিয়েছেন।’ মাইকেলের ওই ভিডিও পাঁচ কোটিবারের বেশি দেখা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, মাইকেল উবারের গাড়িচালককে বলছেন, ‘আপনি এইমাত্র বললেন, আমি নাকি অনেক বেশি মোটা। আমি কিন্তু আপনার ভিডিও করছি।’ উত্তরে উবার চালক নারী বলেন, ‘এটা যুক্তি আর বাস্তবতার ব্যাপার। আর আমি এটা বলার অধিকার রাখি।’ কিন্তু বাক্যটি শেষ করার আগেই মাইকেল তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘না, আপনি এটা বলতে পারেন না।’ তখন ওই নারী হাত উঁচিয়ে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি পারি। এটা আমার গাড়ি। আপনি এখান থেকে চলে যান।’
বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই উবার চালক বলেন, ‘আপনি কি চান, আমি আমার বন্দুকটা বের করি?’ এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে মাইকেল গাড়ির দরজা বন্ধ করে সেখান থেকে চলে যান। এক্সে দেওয়া অন্য একটি পোস্টে মাইকেল বলেন, এ ঘটনার কারণে তিনি সেদিন চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেননি।
উবারের নীতি অনুযায়ী, চালকেরা বৈধ কারণ ছাড়া কোনো যাত্রীকে গাড়িতে তুলতে অস্বীকৃতি জানাতে পারবেন না। ওজন, লিঙ্গ, বর্ণ কিংবা ধর্মের ভিত্তিতে কোনো যাত্রীর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা সম্পূর্ণ নিষেধ।
এই ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর উবার চালকের আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছেন অনেকে।