লন্ডন থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরার পর গুলশানের বাসা থেকে বের হলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ শনিবার রাত নয়টার দিকে তিনি নিজ বাসভবন ফিরোজা থেকে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের বাসার উদ্দেশে রওনা হন। শামীম এস্কান্দারও গুলশান-২ নম্বর এলাকায় থাকেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রথম আলোকে জানান, চেয়ারপারসন (খালেদা জিয়া) পারিবারিক একটি আয়োজনে অংশ নিতে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের বাসায় গেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নীল রঙের একটি গাড়িতে করে খালেদা জিয়া গুলশান-২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কের ফিরোজার বাসা থেকে বের হন। গাড়িতে বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমানসহ পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্যকে দেখা যায়।

যুক্তরাজ্যে প্রায় চার মাস উন্নত চিকিৎসা শেষে ৬ মে সকালে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। তাঁর সঙ্গে দেশে ফেরেন দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান। দেশে ফেরার পর থেকে বিশ্রামে আছেন খালেদা জিয়া। আজই প্রথম বের হলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ ম ম এস ক ন দ র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির সঙ্গে জোট করা এখনো চূড়ান্ত নয়: রাশেদ খান

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, বিএনপি বা ফ্যাসিবাদবিরোধী অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচনি জোট করার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে আমরা বিএনপিসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করব।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া বাজারে গণসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

রাশেদ খান বলেন, বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচির সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলো একমত হয়েছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে আমরা বিএনপির সঙ্গে এক হয়ে লড়াই করেছি। কাজেই, নির্বাচনে জোট গঠনের বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদ ও বিএনপির মধ্যে আগেও আলাপ-আলোচনা হয়েছে।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি আমার নির্বাচনী এলাকা ঝিনাইদহ-২ আসনে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা মাঠপর্যায়ে নানাভাবে জরিপ করার চেষ্টা করছি যে, গণঅধিকার পরিষদের জনপ্রিয়তা কেমন হয়েছে? আমরা ভোটের মাঠের বাস্তব চিত্র পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করছি।

বিএনরি সঙ্গে নির্বাচনি জোট হলে করণীয় বিষয়ে রাশেদ খান বলেন, বিএনপির সঙ্গে যদি গণঅধিকার পরিষদের জোট হয়, তাহলে জোটের প্রার্থীদের বিষয়ে বিএনপি তাদের মতো সিদ্ধান্ত নেবে। বিএনপির কর্মী ও ভোটাররা কীভাবে জোটের প্রার্থীকে সহায়তা করবে, সেটা বিএনপিই পর্যবেক্ষণ করবে। তারেক রহমান কাউকে জোট প্রার্থী ঘোষণার পরে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী সেটার বিরোধিতা করবে বলে আমার বিশ্বাস হয় না। কারণ, আমার নিজ এলাকার বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও আমার হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।

ঢাকা/সোহাগ/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ