ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের বাসায় গেলেন খালেদা জিয়া
Published: 10th, May 2025 GMT
লন্ডন থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরার পর গুলশানের বাসা থেকে বের হলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ শনিবার রাত নয়টার দিকে তিনি নিজ বাসভবন ফিরোজা থেকে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের বাসার উদ্দেশে রওনা হন। শামীম এস্কান্দারও গুলশান-২ নম্বর এলাকায় থাকেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রথম আলোকে জানান, চেয়ারপারসন (খালেদা জিয়া) পারিবারিক একটি আয়োজনে অংশ নিতে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের বাসায় গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নীল রঙের একটি গাড়িতে করে খালেদা জিয়া গুলশান-২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কের ফিরোজার বাসা থেকে বের হন। গাড়িতে বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমানসহ পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্যকে দেখা যায়।
যুক্তরাজ্যে প্রায় চার মাস উন্নত চিকিৎসা শেষে ৬ মে সকালে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। তাঁর সঙ্গে দেশে ফেরেন দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান। দেশে ফেরার পর থেকে বিশ্রামে আছেন খালেদা জিয়া। আজই প্রথম বের হলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ম ম এস ক ন দ র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েল অন্য দেশে সংকট ছড়িয়ে দিচ্ছে, ‘কল্পিত শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ছে’: সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েল অন্য দেশে সংকট ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং ‘কল্পিত শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ছে’। দক্ষিণ সিরিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমাগত অনুপ্রবেশ ও বিমান হামলার মধ্যে তিনি এমন অভিযোগ করলেন।
শনিবার কাতারে অনুষ্ঠিত দোহা ফোরামের ফাঁকে সিএনএনের সাংবাদিক ক্রিস্টিয়েন আমানপুরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শারা এ কথা বলেন।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আবারও দাবি করেন, ইসরায়েল যেন ১৯৭৪ সালের সংঘাত নিরসন চুক্তি মেনে চলতে রাজি হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী সিরিয়া ও ইসরায়েলের সেনাদের মুখোমুখি না হওয়ার কথা। এক বছর আগে বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর ইসরায়েলি সেনারা দক্ষিণ সিরিয়ায় ঢুকে পড়ে এবং এখনো কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ হেরমন পর্বতচূড়া দখল করে রেখেছে। এই পর্বতচূড়া থেকে ইসরায়েল, লেবানন ও সিরিয়া তিনটি দেশই দেখা যায়। এটি ৫০ বছর ধরে একটি ‘বাফার জোন’ ছিল।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, এক বছর আগে দখলে নেওয়া জায়গাগুলোতে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান করবে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, সিরিয়া ১৯৭৪ সালের চুক্তি মেনে চলার বিষয়ে অনড় এবং কোনো বিকল্প বাফার জোন গ্রহণ করবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা দাবি জানাচ্ছি, ইসরায়েলকে ৮ ডিসেম্বরের (২০২৪) আগের অবস্থানে ফিরে যেতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এ আলোচনায় অংশ নিচ্ছে।
গত ডিসেম্বরে আল-শারার বিদ্রোহী বাহিনী সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ঢুকে পড়লে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘চুক্তিটি সংশোধন করার চেষ্টা করা হলে তা আমাদের একটি গুরুতর এবং বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেবে।’ তিনি প্রশ্ন করেন, ‘যদি সিরীয় সেনা বা সিরীয় বাহিনী সেখানে না থাকে, তবে এই বাফার জোন বা অসামরিক অঞ্চলের সুরক্ষা কে দেবে?’
ইসরায়েলের প্রতি ইঙ্গিত করে শারা আরও বলেন, ‘এক বছর আগের বিপ্লবের পর থেকে সিরিয়ার আকাশসীমা ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। আমাদের ওপর এক হাজারের বেশি বিমান হামলা চালানো হয়েছে। চার শতাধিক বার অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে।’
গত মাসের শেষের দিকে সিরিয়ায় ইসরায়েলের চালানো সামরিক অভিযানে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া আল-শারা চলতি বছরের শুরুতে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে শত শত সংখ্যালঘু আলাউইতদের নিপীড়নের ঘটনায় জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ওই ঘটনায় কয়েক আলাউইত নিহত হন। আলাউইতদের বেশির ভাগই আসাদ সরকারকে সমর্থন করত।