‘হাওয়া’র পর যেন সত্যি সত্যিই হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছিলেন নাজিফা তুষি। ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটির পর বড় পর্দা তো বটেই, ওটিটিতেও তুষিকে দেখা যায়নি। মাঝে মেজবাউর রহমান সুমনের সিনেমা রইদ ও আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ সাদের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করলেও কোনোটিই মুক্তি পায়নি। অবশেষে ‘সখী রঙ্গমালা’ নিয়ে ফিরছেন তিনি। এখানে তিনিই ‘রঙ্গমালা’। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ‘চন্দ্রাবতী কথা’র নির্মাতা এন রাশেদ চৌধুরী।
খবরটি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করে এন রাশেদ চৌধুরী বলেন, ‘আঠারো শতকের নোয়াখালীর জমিদার পরিবারের এক নারীর জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে লেখা শাহীন আখতারের উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে। সরকারি অনুদানের ছবিটির প্রথম ধাপের শুটিং ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। জুনে দ্বিতীয় লটের কাজ শুরু হবে।’

নাজিফা তুষি। ছবি: সুমন ইউসুফ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শান্তি মিশনে আহত মানিকগঞ্জের চুমকি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় আহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য চুমকি আক্তার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বামী মো. ইকরামুল হোসেন। রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি এ তথ্য জানান।

সেনা সদস্য চুমকি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পেচারকান্দা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ ও জহুরা বেগমের মেয়ে। 

আরো পড়ুন:

মোবাইলে ভিডিও দেখানোর কথা বলে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ

এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার, বাড়ল সময়

চুমকি আক্তারের স্বামী ইকরামুল হোসেন বলেন, “এ বছরের নভেম্বরের ৭ তারিখ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে সুদানে যান চুমকি। গত শনিবার বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর গ্রেনেডের কয়েকটি স্প্রিন্ট তার ডান হাত এবং ডান পায়ে লেগেছে। তাকে হেলিকপ্টারে ৭০০ কিলোমিটার দূরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”  

চুমকি আক্তারের মা জহুরা বেগম বলেন, “আমার চার মেয়ের মধ্যে চুমকি সবার ছোটো। ছেলেকে সে আমার কাছে রেখে গেছে।”  

কান্নারত কণ্ঠে তিনি বলেন, “তার ডান হাত ও পায়ে আঘাত লাগছে। ওই দেশে হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমার স্বামী কৃষি কাজ করেন।”

রবিবার বাংলাদেশ আর্মির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক দুপুর ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কতৃক ড্রোন হামলা পরিচালনা করা হয়। উক্ত হামলায় দায়িত্বরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শহীদ হন এবং আটজন শান্তিরক্ষী আহত হন। 

শহীদ শান্তিরক্ষীদের পরিচয়
কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা, এএসসি (নাটোর); সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম, বীর (কুড়িগ্রাম); সৈনিক শামীম রেজা, বীর (রাজবাড়ি); সৈনিক শান্ত মন্ডল, বীর (কুড়িগ্রাম); মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ); লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা)। 

আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয়
লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান, পিএসসি, অর্ডন্যান্স (কুষ্টিয়া), সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন, বীর (দিনাজপুর), কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি, সিগনালস (ঢাকা); ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম, ইএমই (বরগুনা); সৈনিক মো. মেজবাউল কবির, বীর (কুড়িগ্রাম); সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার, ইঞ্জিঃ (রংপুর); সৈনিক চুমকি আক্তার, অর্ডন্যান্স (মানিকগঞ্জ); সৈনিক মো. মানাজির আহসান, বীর (নোয়াখালী)। 

বাংলাদেশ আর্মির ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, আহত আটজন শান্তিরক্ষীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে সৈনিক মোঃ মেজবাউল কবিরের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ইতোমধ্যে তার সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। আহত অন্য সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং তারা সকলেই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।

পোস্টে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। শহীদ শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হচ্ছে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হচ্ছে।

ঢাকা/চন্দন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ