নোয়াখালীর রঙ্গমালা হয়ে ফিরছেন তুষি
Published: 10th, May 2025 GMT
‘হাওয়া’র পর যেন সত্যি সত্যিই হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছিলেন নাজিফা তুষি। ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটির পর বড় পর্দা তো বটেই, ওটিটিতেও তুষিকে দেখা যায়নি। মাঝে মেজবাউর রহমান সুমনের সিনেমা রইদ ও আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ সাদের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করলেও কোনোটিই মুক্তি পায়নি। অবশেষে ‘সখী রঙ্গমালা’ নিয়ে ফিরছেন তিনি। এখানে তিনিই ‘রঙ্গমালা’। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ‘চন্দ্রাবতী কথা’র নির্মাতা এন রাশেদ চৌধুরী।
খবরটি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করে এন রাশেদ চৌধুরী বলেন, ‘আঠারো শতকের নোয়াখালীর জমিদার পরিবারের এক নারীর জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে লেখা শাহীন আখতারের উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে। সরকারি অনুদানের ছবিটির প্রথম ধাপের শুটিং ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। জুনে দ্বিতীয় লটের কাজ শুরু হবে।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যেভাবে বাংলাদেশের প্রেমে পড়ল এই মার্কিন পরিবার
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবল ম্যাচ। শুরু থেকেই টানটান উত্তেজনা। ১১ মিনিটের মাথায় শেখ মোরছালিনের গোল গ্যালারির বাংলাদেশের সমর্থকদের পাগল করে তুলল। টিভি পর্দায় তখন ভিনদেশি এক পরিবারকে বাংলাদেশের জন্য গলা ফাটাতে দেখা গেল। ওই পরিবারের সাত সদস্য বেঙ্গল টাইগারের আদলে সেজেছেন।
মা–বাবা আর পাঁচ শিশুসন্তান। কারও মাথায় লাল-সবুজ ব্যান্ডানা। কারও গালে বাংলাদেশের পতাকা। টিভি পর্দায় আরও কয়েকবারই তাঁদের দেখা গেল। পরিবারটির পরিচয় জানার কৌতূহল হলো। পরে ফেসবুকের মাধ্যমে খুঁজে পেলাম ‘জ্যাকব ভাইয়া’ নামে একটি পেজ। সেই সূত্রেই জানা গেল পরিচয়।
ভিনদেশি এই দম্পতি হলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক জ্যাকব বার্লিন আর জয়া বার্লিন। তবে বাংলাদেশই এখন তাঁদের আপন ঠিকানা। জ্যাকব পেশায় কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট। ঢাকার গুলশানে তাঁর কাউন্সেলিং সেন্টার আছে।
এ ছাড়া ‘অ্যাকশন-জয় এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড’ নামে বাংলাদেশে নিজেদের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছেন জ্যাকব–জয়া। ফরিদপুরের সুবিধাবঞ্চিত নারীদের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করেন তাঁরা।
পরিবারটির সঙ্গে আলাপ–পরিচয় করতে একদিন গুলশানে জ্যাকবের কাউন্সেলিং সেন্টারে হাজির হই। প্রথমে এলেন জয়া বার্লিন, কিছুক্ষণ পর আড্ডায় যোগ দিলেন জ্যাকব। জ্যাকবের পরনে কালো পাঞ্জাবি আর গ্যাবার্ডিন প্যান্ট। জয়া পরেছিলেন সালোয়ার–কামিজ। দুজনের পোশাক আর ঝরঝরে বাংলা শুনে ভুলেই গিয়েছিলাম, ভিনদেশি কোনো দম্পতির সঙ্গে আড্ডা চলছে।
আনন্দ–হাসি–খুশি–সুখী–মিষ্টিবাংলাদেশি সাজে বার্লিন পরিবার