‘হাওয়া’র পর যেন সত্যি সত্যিই হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছিলেন নাজিফা তুষি। ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটির পর বড় পর্দা তো বটেই, ওটিটিতেও তুষিকে দেখা যায়নি। মাঝে মেজবাউর রহমান সুমনের সিনেমা রইদ ও আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ সাদের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করলেও কোনোটিই মুক্তি পায়নি। অবশেষে ‘সখী রঙ্গমালা’ নিয়ে ফিরছেন তিনি। এখানে তিনিই ‘রঙ্গমালা’। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ‘চন্দ্রাবতী কথা’র নির্মাতা এন রাশেদ চৌধুরী।
খবরটি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করে এন রাশেদ চৌধুরী বলেন, ‘আঠারো শতকের নোয়াখালীর জমিদার পরিবারের এক নারীর জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে লেখা শাহীন আখতারের উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে। সরকারি অনুদানের ছবিটির প্রথম ধাপের শুটিং ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। জুনে দ্বিতীয় লটের কাজ শুরু হবে।’

নাজিফা তুষি। ছবি: সুমন ইউসুফ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে হামলার ছক, দুই বাংলাদেশিসহ ৫ জেএমবি সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদ

বাংলাদেশভিত্তিক নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচজন সদস্যকে ভারতজুড়ে বোমা বিস্ফোরণ ও অন্যান্য নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে কলকাতার একটি আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। খবর ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেসর।

তিনজন দোষী সাব্যস্ত পশ্চিমবঙ্গ এবং আসামের বাসিন্দা হলেও, দুজন বাংলাদেশি নাগরিক। তারা হলেন- বাংলাদেশের জামালপুরের আনোয়ার হোসেন ফারুক ওরফে এনাম (৩৮) এবং মোহাম্মদ রুবেল ওরফে রফিক (২৬); বর্ধমানের মাওলানা ইউসুফ শেখ ওরফে শেখ ইউসুফ ওরফে আবু বক্কর ওরফে সুলেমান শেখ (৩১), আসামের বোরবেতার মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম ওরফে সামিম ওরফে আসরাফুল আলম ওরফে নির্মল ওরফে সূর্য সামিম (২২) এবং জাবিরুল ইসলাম (৩০)।

আরো পড়ুন:

বিজয়ের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে যা বললেন রাশমিকা

পুতিন দিল্লি পৌঁছানোর আগেই ভারত-রাশিয়ার সামরিক চুক্তি অনুমোদন

২০১৪ সালের খাগড়াগড় (বর্ধমান) বোমা বিস্ফোরণ মামলায়ও মোহাম্মদ রুবেল এবং জাবিরুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।

২০১৬ সালে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) গ্রেপ্তার করেছিল এই জঙ্গিদের। মামলা চলাকালীন আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে নেয় অভিযুক্তরা।  ৯ বছর ধরে চলা মামলায় বুধবার (৩ ডিসেম্বর) এই রায় দেওয়া হয়। কলকাতার সিটি সেশনস কোর্টের এনডিপিএস কোর্টের বিশেষ বিচারক রোহান সিনহা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।

১২১এ ধারা (ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা, চেষ্টা, অথবা যুদ্ধে প্ররোচনা দিয়ে শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র) এর অধীনে দণ্ডনীয় অপরাধের জন্য মাওলানা ইউসুফকে অতিরিক্ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি নাগরিকদের বিদেশি আইনের ১৪ ধারার অধীনেও দণ্ডিত করা হয়েছে।

তদন্তের সাথে জড়িত একজন কর্মকর্তা বলেন, “গোয়েন্দা তথ্য থেকে জানা গেছে, সন্ত্রাসী মডিউল সদস্যরা তাদের ভারতীয় সহযোগীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল।”

তিনি আরো বলেন, “তাদের উদ্দেশ্য ছিল উত্তর-পূর্ব ভারত এবং দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্যগুলোর কিছু অংশ এবং দেশের অন্যান্য অংশে বোমা বিস্ফোরণের মতো ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালানো।” 

তিনি আরো বলেন, “এই গোষ্ঠীর লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে ইসলামি আইন (শরিয়া) বাস্তবায়ন, বৃহত্তর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং রোহিঙ্গা ও কাশ্মীরি জনগণের ওপর নির্যাতনের প্রতিশোধ নেওয়া। এই দলটি তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী, ভারতকে একটি বড় বাধা বলে মনে করে।”

এই পাঁচজনকে এসটিএফ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে বনগাঁও, বসিরহাট, কোচবিহার এবং আসাম থেকে গ্রেপ্তার করেছিল। গ্রেপ্তারের পর তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক, আইইডি উপাদান, ভারতে বিস্ফোরণের পরিকল্পনার বিবরণী, সাংগঠনিক বই, নগদ অর্থ, একটি ল্যাপটপ এবং একটি এসডি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছিল।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রথমে এসটিএফ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল কিন্তু খাগড়াগড় বোমা বিস্ফোরণ মামলায় জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) তাদের হেফাজতেও নিয়েছিল। অভিযুক্ত পাঁচ জনের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল। সেই সব সাক্ষ্য ও অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে ওই পাঁচ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করেন আদালত।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ