‘হাওয়া’র পর যেন সত্যি সত্যিই হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছিলেন নাজিফা তুষি। ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটির পর বড় পর্দা তো বটেই, ওটিটিতেও তুষিকে দেখা যায়নি। মাঝে মেজবাউর রহমান সুমনের সিনেমা রইদ ও আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ সাদের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করলেও কোনোটিই মুক্তি পায়নি। অবশেষে ‘সখী রঙ্গমালা’ নিয়ে ফিরছেন তিনি। এখানে তিনিই ‘রঙ্গমালা’। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ‘চন্দ্রাবতী কথা’র নির্মাতা এন রাশেদ চৌধুরী।
খবরটি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করে এন রাশেদ চৌধুরী বলেন, ‘আঠারো শতকের নোয়াখালীর জমিদার পরিবারের এক নারীর জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে লেখা শাহীন আখতারের উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে। সরকারি অনুদানের ছবিটির প্রথম ধাপের শুটিং ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। জুনে দ্বিতীয় লটের কাজ শুরু হবে।’

নাজিফা তুষি। ছবি: সুমন ইউসুফ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজনীতিতে নতুনভাবে জবরদস্তির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে: সাইফুল

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, “দুইটি ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরতন্ত্রের পতন ঘটলেও এখনো অনেকেই কর্তৃত্ববাদের ভূত কাঁধে নিয়ে হাঁটছেন। রাজনীতিতে নতুনভাবে জবরদস্তির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যা ফ্যাসিবাদের নতুন রূপের ইঙ্গিত দেয়।”

সোমবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর নূর হোসেন স্কয়ারে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের শহীদ নূর হোসেনের ৩৮তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাইফুল হক বলেন, “চরম কর্তৃত্ববাদ ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দুবার গণঅভ্যুত্থান ঘটলেও স্বৈরাচারী রাজনীতির শিকড় এখনো রয়ে গেছে। এ কারণেই বারবার দমন-নিপীড়নমূলক শাসন ফিরে আসে। ফ্যাসিস্ট রাজনীতির পূর্ণ অবসান না ঘটালে গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।”

তিনি বলেন, “সরকারের অকার্যকারিতা ও দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অনেকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করছে। বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠাই শহীদ নূর হোসেন, ডাক্তার মিলন, আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধদের স্বপ্ন ছিল। সেই সাম্যভিত্তিক সমাজ গড়লেই তাদের রক্তের ঋণ শোধ হবে।”

তিনি আরো বলেন, “শহীদ নূর হোসেন ও আবু সাঈদরা আজো আমাদের প্রেরণার উৎস। তাদের আদর্শই আমাদের গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্রের পথে এগিয়ে যেতে সাহস জোগায়।”

এ সময় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সিকদার হারুন মাহমুদ, মীর রেজাউল আলম, কেন্দ্রীয় সংগঠক বাবর চৌধুরী, যুবরান আলী জুয়েল, ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ রিয়েল, আরিফুল ইসলাম আরিফ, চুন্নু সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ