‘হাওয়া’র পর যেন সত্যি সত্যিই হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছিলেন নাজিফা তুষি। ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটির পর বড় পর্দা তো বটেই, ওটিটিতেও তুষিকে দেখা যায়নি। মাঝে মেজবাউর রহমান সুমনের সিনেমা রইদ ও আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ সাদের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করলেও কোনোটিই মুক্তি পায়নি। অবশেষে ‘সখী রঙ্গমালা’ নিয়ে ফিরছেন তিনি। এখানে তিনিই ‘রঙ্গমালা’। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ‘চন্দ্রাবতী কথা’র নির্মাতা এন রাশেদ চৌধুরী।
খবরটি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করে এন রাশেদ চৌধুরী বলেন, ‘আঠারো শতকের নোয়াখালীর জমিদার পরিবারের এক নারীর জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে লেখা শাহীন আখতারের উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে। সরকারি অনুদানের ছবিটির প্রথম ধাপের শুটিং ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। জুনে দ্বিতীয় লটের কাজ শুরু হবে।’

নাজিফা তুষি। ছবি: সুমন ইউসুফ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘চল চল যমুনা যাই’— এই ধরনের রাজনীতি আর হতে দেব না: তথ্য উপদেষ্টা

আজ থেকে ‘চল চল যমুনা যাই’— ধরনের রাজনীতি আর হতে দেব না। যথেষ্ট হয়েছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা আজ এই কর্মকাণ্ডে জড়িত, তারা বড় ভুল করেছেন। যারা নাশকতার উদ্দেশ্যে এখানে এসেছেন, শিক্ষার্থীদের উচিত তাদের বর্জন করা। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

বুধবার (১৪ মে) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় তিনি বলেন, “আমি এখানে আসার পর যা ঘটেছে, তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দোষীদের খুঁজে বের করবে। আরেকটি বিষয় হলো, আন্দোলনের মধ্যে একটি অংশ রয়েছে, যাদের আমি নাশকতাকারী মনে করি।”  

আরো পড়ুন:

জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান: উপদেষ্টা মাহফুজের মাথায় বোতল নিক্ষেপ

জবি শিক্ষার্থীদের কথা সরকার শুনবে: মাহফুজ আলম

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, “তারা বিভিন্ন আন্দোলনে ঢুকে নাশকতা চালায়। তারা গত আট মাস ধরে একজনের পেছনে লেগে আছে। গণমাধ্যম ও প্রশাসনের দায়িত্ব, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজে বের করা। আপনারা খুঁজে বের করুন, দেখবেন একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে পাওয়া যাবে।”

তিনি বলেন, “একজন ব্যক্তির ওপর যে তাদের বিদ্বেষ রয়েছে, অনলাইনে যে তাদের হিংস্রতা রয়েছে, তারাই এই কাজ করেছে। আমি কারো নাম বলব না। আমি শুধু সন্দেহ প্রকাশ করলাম। সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার আহ্বান, নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের কাছ থেকে নিজেদের আলাদা করুন।”

উল্লেখ্য, তিন দাবিতে কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের লংমার্চ কাকরাইল মসজিদের সামনে পৌঁছালে তাদের বাধা দেয় পুলিশ।  

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রেজাউল করিম, ট্রেজারার সাবিনা শারমিন, রেজিস্টার গিয়াস উদ্দিন, প্রক্টর তাজাম্মুল হক, অর্থ পরিচালক রফিকুল ইসলাম, মাসুদ আলম ডিসি রমনা বিভাগ, রমনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম ফারুক।

ঢাকা/রায়হান/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ