জবির দাবি রাজপথে নয় আলোচনার টেবিলে সমাধান করুন: রেজাউল করীম
Published: 16th, May 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি দাওয়া রাজপথে নয়, আলোচনার টেবিলে সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
শুক্রবার (১৬ মে) এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, “দেশের প্রথমসারির একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দূরীকরণ ও ক্যাম্পাস নির্মাণের মতো বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের রাজপথে আন্দোলন করতে হচ্ছে। এর মতো লজ্জাজনক বিষয় আর হতে পারে না। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অপশাসনের ফলে দেশের সব খাতের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর সম্ভাবনা নষ্ট করে ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। এখন এর একটা বিহিত হওয়া আবশ্যক। তবে তা রাজপথে নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা ও সরকারের সামর্থ্য পর্যালোচনা করে আলোচনার টেবিলে এর সমাধান করতে হবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের সবার মনে রাখতে হবে, বর্তমান সরকার অভ্যুত্থান পরবর্তী একটি অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান কাজ রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় নীতি ও কাঠামোগত সংস্কার শেষ করে নির্বাচন আয়োজন করা। বিগত ৫৪ বছরের অনিয়মের ফলে সৃষ্ট জঞ্জাল দূর করার দাবি এই সরকারের ওপরে চাপিয়ে দেওয়া বেইনসাফি হবে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার দেশের অর্থনীতিকে যে পর্যায়ে রেখে গেছে তাতে করে মানুষের প্রাথমিক মৌলিক চাহিদা পূরণেই সরকারকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এই বাস্তবতায় বিগত সরকারগুলোর সৃষ্ট সমস্যার সমাধান তাৎক্ষণিকভাবে এই সরকারের কাছে চাওয়া যৌক্তিক হবে কিনা তা ভেবে দেখতে হবে।”
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কষ্ট অবর্ণনীয়। ঢাকার মতো উচ্চ আবাসন ব্যয়ের শহরে তাদের নিজ দায়িত্বে আবাসন ব্যবস্থা করতে হয়। এটা একজন শিক্ষার্থীর ওপরে প্রচণ্ড আর্থিক চাপ তৈরি করে। সেই চাপে শিক্ষার্থীরা টিউশনি, খণ্ডকালীন চাকরি করতে বাধ্য হয়; যা তাদের একাডেমিক দক্ষতা অর্জনের পথে বাধা তৈরি করে। সেজন্য তাদের আবাসন বৃত্তি ও ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবি খুবই যৌক্তিক। তাই সরকারকে আহ্বান করব, অতি দ্রুত সম্ভাব্য যেকোনো পন্থায় তাদের দাবি পূরণের ব্যবস্থা করুন।”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের শক্তি প্রয়োগ এবং তাদের সমাবেশ থেকে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপরে বোতল নিক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “পতিত স্বৈরাচার রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারা যৌক্তিক আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে সুযোগ নিতে পারে। সেজন্য সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। তাই এই আন্দোলন রাজপথে না বরং আলোচনার টেবিলে সমাধান করুন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র র র জপথ ই সরক
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আদেশে বিপাকে সুপ্রিম কোর্ট
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার সীমিত করে দেওয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ নিয়ে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে তুমুল বিতর্ক হয়েছে। প্রেসিডেন্টের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিনেই সই হওয়া ওই আদেশ অনুযায়ী, যেসব শিশুর বাবা-মায়ের কেউ মার্কিন নাগরিক বা গ্রিন কার্ডধারী নন, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মালেও তারা আর নাগরিকত্ব পাবে না।
রয়টার্স জানায়, ট্রাম্প চাচ্ছেন নাগরিকত্ব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে দেওয়া প্রচলিত ব্যাখ্যায় বড় পরিবর্তন আনতে। তাঁর এ চেষ্টা সফল হলে তা প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া লাখো শিশুর নাগরিকত্বকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে। ট্রাম্পের ওই আদেশ বাস্তবায়নে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন মেরিল্যান্ড, ওয়াশিংটন ও ম্যাসাচুসেটসের ফেডারেল বিচারকরা। ট্রাম্প প্রশাসন চাইছে, এ বিচারকদের ক্ষমতা খর্ব করতে যেন তাদের আদেশ দেশজুড়ে কার্যকর না হয়।
ট্রাম্পের আদেশ আটকে দেওয়া স্থগিতাদেশগুলো প্রত্যাহারে প্রশাসনের জরুরি আবেদন নিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে দুই ঘণ্টার বেশি শুনানি হয়েছে। সরকার পক্ষের যুক্তি হচ্ছে, ফেডারেল বিচারকরা দেশজুড়ে একসঙ্গে স্থগিতাদেশ দেওয়ার এখতিয়ার রাখেন না। সেজন্য তাদের স্থগিতাদেশগুলো বাতিল করে প্রশাসনকে প্রেসিডেন্টের আদেশ বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিতে হবে।
প্রশাসনের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল ডি জন সাওয়ার বলেন, বিচারকদের দেশজুড়ে স্থগিতাদেশ জারির ক্রমবর্ধমান প্রবণতা ‘বিকারে’ পরিণত হয়েছে।অন্যদিকে লিবারেল বিচারক সোনিয়া সোটোমেয়র বলেছেন, ‘আমরা যদি সেই হাজার হাজার শিশুর কথা চিন্তা করি, নাগরিকত্বের কাগজপত্র ছাড়া জন্মগ্রহণ করায় যারা রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়তে পারে এবং তারা সরকারি সুযোগ-সুবিধাও পাবে না, তাহলে অবশ্যই আদালতের এই (নির্বাহী) আদেশের বৈধতা বিবেচনা করা উচিত।’
ট্রাম্পের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যারা মামলা করেছেন তারা বলছেন, প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ কার্যকর হলে প্রতি বছর দেড় লাখের বেশি নবজাতক নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হবে। মামলাকারীদের তালিকায় ২২টি অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট অ্যাটর্নি জেনারেলের পাশাপাশি অভিবাসন অধিকার কর্মী ও অন্তঃসত্ত্বা অভিবাসীরাও আছেন।