ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে বিশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এই প্রতিনিধি সম্মেলন হয়।

ডাকসুর সহ–সভাপতি ( ভিপি) সাদিক কায়েমের সভাপতিত্বে ও জিএস ( সাধারণ সম্পাদক)  এস এম ফরহাদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, সহ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। সম্মেলনে বিভিন্ন হলের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

প্রতিনিধি সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এদেশের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা একটি বিশ্ববিদ্যালয় হলেও সমাজের একটি বড় অংশ। মানুষের মমতায় আমাদের বসবাস। পুরো দেশ আমাদের সঙ্গে কোন না কোন ভাবে যুক্ত। এজন্য আমরা আমাদের প্রতিটি কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তাদের ওয়াকিবহাল করতে চাই।

তিনি বলেন, আমরা একটি কঠিন সময় পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

সহ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ বলেন, ডাকসু ও হল সংসদ নেতৃবৃন্দ গত ২ মাসে অনেক অসাধারণ কিছু কাজ করেছেন। প্রতিকূলতা ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেও যে অনেক অসাধারণ উন্নয়নমূলক কার্যক্রম করেছেন এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। তিনি আরও বলেন, আমাদের বাজেটের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তারপরও আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে যেতে হবে। আমরা সবাই মিলে একটি পরিবার। আমরা একসাথে কাজ করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাবে, দেশ এগিয়ে যাবে।

সহ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তরুণরা আত্মাহুতি দিয়েছিল একটা পরিবর্তনের আশায়। ডাকসুর মাধ্যমে আমরা সে পরিবর্তন প্রত্যাশা করি। গত দুমাসে আমরা ডাকসুর কাজের যে অগ্রগতি দেখেছি সেটা যদি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকে তাহলে বড় ধরনের একটা পরিবর্তন সম্ভব।

সভাপতির বক্তব্যে ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, আজকে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করছি সেখানে কোন গণরুম-গেস্টরুম নেই। কোনো টেন্ডারবাজি, ফাও খাওয়ার প্রবণতা নাই। এজন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ দিতে চাই।

তিনি উল্লেখ করেন, আমরা কেউ নেতা না। আমরা শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত প্রতিনিধি। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ফ্যাসিবাদী কাঠামো তৈরি হয়েছে আমরা সে কাঠামো ভেঙে দিতে চাই। প্রগতিশীল শিক্ষক নামের এক শ্রেণির কুলাঙ্গাররা হাসিনার পক্ষে বৈধতা উৎপাদন করছে। যারা খুনির পক্ষ নিচ্ছে, তাদের শিক্ষকতা করার কোন অধিকার নেই। তিনি  বলেন, যে জুলাইয়ের মাধ্যমে আজাদ পেয়েছি, সেই জুলাইকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম দ র এজন য

এছাড়াও পড়ুন:

চিত্রকর্মটি বিক্রি হলো ২,৮৯১ কোটি টাকায়

পোর্ট্রেট অব এলিজাবেথ লেডেরার এখন সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়া চিত্রকর্মের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এসেছে। প্রথমে রয়েছে জগদ্বিখ্যাত ইতালিয়ান শিল্পী লেওনার্দো দা ভিঞ্চির আঁকা ‘সালভাতর মুন্দি’। যিশুখ্রিষ্টকে নিয়ে আঁকা চিত্রকর্মটি ২০১৭ সালে ৪৫ কোটি ৩০ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল।

পোর্ট্রেট অব এলিজাবেথ লেডেরার আঁকা হয় ১৯১৪ থেকে ১৯১৬ সালের মধ্যে। অস্ট্রিয়ার প্রভাবশালী ইহুদি পরিবারের মেয়ে এলিজাবেথ লেডেরারের বাবা অগাস্ট লেডেরার ছিলেন ক্লিমটের বড় পৃষ্ঠপোষক। ১৯৩৮ সালে অস্ট্রিয়া দখলের সময় চিত্রকর্মটি জব্দ করে নাৎসি বাহিনী। আশির দশকে সেটি আবার চিত্রকর্মের বাজারে আসে। তখন থেকেই এটি ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় ছিল।

গুস্তাফ ক্লিমট

সম্পর্কিত নিবন্ধ