রুনা লায়লার ‘মাস্ত কালান্দার’-এর পেছনের গল্প জানেন কি
Published: 20th, November 2025 GMT
‘মাস্ত কালান্দার’ মূলত সুফিগান। রুনা লায়লা গানটি গাওয়ার সময় যখন হাত কপালে ঠেকিয়ে সালাম করছিলেন, তখনই বোঝা যায় এ গানের আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্য। কাওয়ালি ঘরানার গানটি ভারতের পাঞ্জাব, পাকিস্তানের সিন্ধ আর ইরানেও অত্যন্ত জনপ্রিয়। পাকিস্তানের সিন্ধের সুফিসাধক সৈয়দ উসমান মারভান্দির (১১৭৭-১২৭৪) প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গানটি গাওয়া হয়েছে।
কে এই কালান্দার
সব ধর্ম ও শ্রেণির লোকের কাছেই জনপ্রিয় ও শ্রদ্ধেয় গুরু ছিলেন সৈয়দ উসমান মারভান্দি। ভক্তরাই তাঁর নাম দেন ‘লাল শাহবাজ কালান্দার’, যার প্রতিটি অংশের আলাদা আলাদা অর্থ রয়েছে। তিনি লাল বা গেরুয়া রঙের পোশাক পরতেন। আবার প্রিয়জন বোঝাতেও ব্যবহার করা হয় ‘লাল’ শব্দ। সুফিবাদে লাল রং ভক্তি, প্রেম ও আধ্যাত্মিক শক্তির প্রতীক। ‘লাল’ শব্দটি তাই লাল শাহবাজ কালান্দারের যৌবন, তাঁর কিংবদন্তি রক্তিম আভা কিংবা তাঁর লাল পোশাক—সবকিছুর দিকেই ইঙ্গিত করে। শাহ অর্থ রাজা, বাজ বলতে বাজপাখি। সাধক হিসেবে তাঁর উচ্চমন আর আধ্যাত্মিকতাকে বোঝাতে তাঁকে শাহবাজ বলা হয়। কালান্দার ভ্রাম্যমাণ সুফিসাধক। দুনিয়ার মোহ থেকে মুক্ত বোঝাতেও বলা হয়ে থাকে। তাই ‘লাল শাহবাজ কালান্দার’ নামের মধ্যেই তাঁর প্রতি ভক্তদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা লুকিয়ে আছে।
লাল শাহবাজ কালান্দার ইরানের মারভান্দ অঞ্চলে আনুমানিক ১১৭৭ সালের দিকে জন্মগ্রহণ করেন। তরুণ বয়সে আধ্যাত্মিক সাধনা ও জ্ঞানার্জনের জন্য তিনি মধ্যপ্রাচ্য ও উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করেন। অবশেষে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের সেহওয়ান শরিফে এসে স্থায়ী হন। এখানেই তিনি মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিক জ্ঞান প্রচার করেন। ১২৭৪ সালে তিনি সেহওয়ান শরিফে মৃত্যুবরণ করেন। সেহওয়ান শরিফে তাঁর দরগাহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুফি তীর্থস্থান।
রুনা লায়লা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল ল শ হব জ ক ল ন দ র
এছাড়াও পড়ুন:
রুনা লায়লার ‘মাস্ত কালান্দার’-এর পেছনের গল্প জানেন কি
‘মাস্ত কালান্দার’ মূলত সুফিগান। রুনা লায়লা গানটি গাওয়ার সময় যখন হাত কপালে ঠেকিয়ে সালাম করছিলেন, তখনই বোঝা যায় এ গানের আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্য। কাওয়ালি ঘরানার গানটি ভারতের পাঞ্জাব, পাকিস্তানের সিন্ধ আর ইরানেও অত্যন্ত জনপ্রিয়। পাকিস্তানের সিন্ধের সুফিসাধক সৈয়দ উসমান মারভান্দির (১১৭৭-১২৭৪) প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গানটি গাওয়া হয়েছে।
কে এই কালান্দার
সব ধর্ম ও শ্রেণির লোকের কাছেই জনপ্রিয় ও শ্রদ্ধেয় গুরু ছিলেন সৈয়দ উসমান মারভান্দি। ভক্তরাই তাঁর নাম দেন ‘লাল শাহবাজ কালান্দার’, যার প্রতিটি অংশের আলাদা আলাদা অর্থ রয়েছে। তিনি লাল বা গেরুয়া রঙের পোশাক পরতেন। আবার প্রিয়জন বোঝাতেও ব্যবহার করা হয় ‘লাল’ শব্দ। সুফিবাদে লাল রং ভক্তি, প্রেম ও আধ্যাত্মিক শক্তির প্রতীক। ‘লাল’ শব্দটি তাই লাল শাহবাজ কালান্দারের যৌবন, তাঁর কিংবদন্তি রক্তিম আভা কিংবা তাঁর লাল পোশাক—সবকিছুর দিকেই ইঙ্গিত করে। শাহ অর্থ রাজা, বাজ বলতে বাজপাখি। সাধক হিসেবে তাঁর উচ্চমন আর আধ্যাত্মিকতাকে বোঝাতে তাঁকে শাহবাজ বলা হয়। কালান্দার ভ্রাম্যমাণ সুফিসাধক। দুনিয়ার মোহ থেকে মুক্ত বোঝাতেও বলা হয়ে থাকে। তাই ‘লাল শাহবাজ কালান্দার’ নামের মধ্যেই তাঁর প্রতি ভক্তদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা লুকিয়ে আছে।
লাল শাহবাজ কালান্দার ইরানের মারভান্দ অঞ্চলে আনুমানিক ১১৭৭ সালের দিকে জন্মগ্রহণ করেন। তরুণ বয়সে আধ্যাত্মিক সাধনা ও জ্ঞানার্জনের জন্য তিনি মধ্যপ্রাচ্য ও উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করেন। অবশেষে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের সেহওয়ান শরিফে এসে স্থায়ী হন। এখানেই তিনি মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিক জ্ঞান প্রচার করেন। ১২৭৪ সালে তিনি সেহওয়ান শরিফে মৃত্যুবরণ করেন। সেহওয়ান শরিফে তাঁর দরগাহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুফি তীর্থস্থান।
রুনা লায়লা