ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) শুরুর পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, রাজ্যে এসআইআর শুরুর পর ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার সকালে এক্সে (সাবেক টুইটার) তিনি এ কথা বলেছেন।

অক্টোবরের শেষদিকে বাংলায় এসআইআর প্রক্রিয়া চালুর ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল, যাদের ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, বা পরিবারের কারও নাম রয়েছে, তাঁদের চিন্তার কোনও কারণ নেই।

কিন্তু তা সত্ত্বেও এসআইআর নিয়ে মানুষের মনে নানা প্রশ্ন জানা বেঁধেছে। দেশছাড়া হওয়ার আতঙ্কে অনেকেই আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। শুধু তা-ই নয়, বিএলওরা কাজের চাপে আত্মহত্যা করছেন, এমন অভিযোগও উঠছে। বুধবার সকালে মালবাজারে এক মহিলা বিএলও’র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের দাবি, এসআইআরের কাজের চাপের কারণেই এই চরম সিদ্ধান্ত।

মমতা ক্ষোভ প্রকাশ করে এক্সে লিখেছেন, ‘আজ আরও একজন বিএলওকে হারালাম। অঙ্গনওয়াড়িতে কাজ করতেন ওই মহিলা। এসআইআরের এত চাপ নিতে পারেননি। অপরিকল্পিতভাবে একটা কাজ শুরু করে, কর্মীদের এত চাপ দেওয়া হচ্ছে কমিশনের তরফে যার জেরে মূল্যবান প্রাণ চলে যাচ্ছে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) শুরু করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে আতঙ্ক চরমে পৌঁছেছে। 

বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ভারতীয় সীমান্তে জড়ো হচ্ছে শত শত মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানা এলাকার হাকিমপুর সীমান্তে এমন ঘটনা দেখা গেছে। বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র এই সীমান্তেই জড়ো হয়েছেন নারী শিশু সহ অন্তত ৩০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক।

আরো পড়ুন:

সৌদিতে বাস-ট্যাংকার সংঘর্ষ, ৪২ ভারতীয় হজযাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা

দিল্লির আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর সহযোগী গ্রেপ্তার

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে, শহর থেকে বিভিন্ন সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশকারী এই বাংলাদেশিরা ফের বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য হাকিমপুর সীমান্তে এসে পৌঁছেছেন। কেউ দালালের মাধ্যমে কেউ আবার নিজেরাই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এসেছেন সীমান্তে। কিন্তু বিএসএফের বাধায় সীমান্তেই আটকে পড়েছেন এই বাংলাদেশিরা। 

আটকে পড়া ব্যক্তিরা বলছেন, বিভিন্ন সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশের পর তারা কলকাতা, দিল্লি, ব্যাঙ্গালুরু থেকে মুম্বাইয়ের মতো শহরে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ভারত জুড়ে শুরু হওয়া এসআইআরের কারণে জেল ও জরিমানা এড়াতে দেশে তারা ফিরতে চাইছেন। 

অফিসিয়াল বিবৃতি জারি না করলেও বিএসএফ সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে এমন ছবি শুধুমাত্র হাকিমপুর সীমান্তের নয়। এই সীমান্তে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সংখ্যাটা অনেক বেশি। বিএসএফ জানিয়েছে, আটকে পড়া এই বাংলাদেশিদের মানবিক বিবেচনায় গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাদের বাংলাদেশি নাগরিকত্বের দাবির স্বপক্ষে নিথিপত্র বিএসএফের ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়ন খতিয়ে দেখছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের ভিত্তিতে আগামী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন