‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে চলমান আন্দোলন আপাতত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। টানা চারদিন আন্দোলন চলার পর মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে বুধবার সকালে সচিবালয়ে যে কর্মসূচি পালনের কথা ছিল তা হচ্ছে না।

বৈঠক শেষে ভূমি সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেন, কর্মচারীদের দাবি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে আগামীকাল সাক্ষাৎ করব। এ জন্য কর্মচারীদের আন্দোলন আপাতত বন্ধ রাখতে বলেছি।

এদিকে বাংলাদেশ সচিবালয় সংযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো.

বাদিউল কবির বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে আলোচনা করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন কর্মসূচি বন্ধ রাখবো। তবে দাবি আদায় না হলে বৃহস্পতিবার থেকে আবার আন্দোলন চলবে।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচজন সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন সচিবালয়ের আন্দোলনরত কর্মচারীরা। 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দক্ষিণখানে নারীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

রাজধানীর দক্ষিণখানের চালাবন এলাকায় শিল্পী বেগম (২৫) নামে এক নারীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তাঁর স্বামী মো. তুহিন। মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। পরে তুহিনকে বেধড়ক পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেন জনতা। পুলিশ তাঁকে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের সহকারী কমিশনার নাসিম এ গুলশান সমকালকে বলেন, কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে অন্তত এক মাস ধরে দু’জন আলাদা থাকতেন। এর মধ্যে শিল্পী তালাক দেন স্বামীকে। মঙ্গলবার বিষয়টি জানার পর তুহিন ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটান। 

পুলিশ সূত্র জানায়, চালাবন এলাকার ভাড়া বাসায় থাকতেন শিল্পী। তিনি একটি পোশাক কারখানায় জুনিয়র অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। জান্নাত নামে তাঁর ৭ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে চালাবনের রাস্তায় শিল্পীর পথরোধ করেন তুহিন। এর পর তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দা দিয়ে কয়েকটি কোপ দেন। এতে ওই নারীর মাথা শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি ভোলার দুলালহাট উপজেলার আবু বাকেরপুর গ্রামে। বাবার নাম দুলাল মিয়া। তিনি উত্তরখানে থাকেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দোকানি কামাল শেখ সাংবাদিকদের জানান, কোপানোর দৃশ্য দেখে তিনি এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তুহিন তখন দা হাতে ভয়ংকর ভঙ্গিতে থাকায় আর এগোনোর সাহস করেননি। আরও কিছু লোক এ দৃশ্য দেখেছেন। তারাও নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন। স্ত্রীকে কোপানোর পর তুহিন পালানোর কোনো চেষ্টাই করেননি। বরং লাশের পাশে হাঁটাহাঁটি করছিলেন আর বলছিলেন, ‘এই মেয়ে আমার সব শেষ করে দিয়েছে।’ কিছুক্ষণ পর লোকজন তাঁকে আটক করে পিটুনি দেন। 


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ