বেতন বাড়ানোর দাবিতে কেবিন ক্রুদের ডাকা ধর্মঘটের কারণে সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে কানাডার সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ পরিচালনা প্রতিষ্ঠান এয়ার কানাডা। এর ফলে প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়বেন। সাময়িক এ অসুবিধার জন্য ভুক্তভোগী যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এয়ার কানাডার সহযোগী সংস্থা সাশ্রয়ী সেবা দেওয়া এয়ার কানাডা রুজের অধীনে চলাচল করা ফ্লাইটও স্থগিতের আওতায় রয়েছে। এ অবস্থায় অন্য কোনো এয়ারলাইনসে ভ্রমণ নিশ্চিত না করে বিমানবন্দরে না যেতে ভুক্তভোগী যাত্রীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বেতন বাড়ানোর দাবি করছেন কেবিন ক্রুরা। এ ছাড়া বর্তমানে কেবিন ক্রুদের উড়োজাহাজ চলাচলের সময়ের জন্য বেতন দেওয়া হয়। ফ্লাইটের মাঝে এবং যাত্রীদের বিমানে উঠতে সহায়তার সময়ে কোনো পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। এই সময়ের জন্যও পারিশ্রমিক দাবি করছেন তাঁরা।

স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১২টা ৫৮ মিনিটে ধর্মঘট শুরু হয়। তবে এর আগেই এয়ার কানাডা তাদের কার্যক্রম সীমিত করা শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতিদিন প্রায় ৫০০টি ফ্লাইট এই ধর্মঘটের কারণে বন্ধ থাকবে।

বিশ্বের ১৮০টি শহরে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে এয়ার কানাডা। কোম্পানিটি জানিয়েছে, ধর্মঘটের কারণে তাদের সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। তবে এয়ার কানাডা জ্যাজ, পিএএল এয়ারলাইনস ও এয়ার কানাডা এক্সপ্রেসের ফ্লাইটগুলো এই ধর্মঘটের কারণে প্রভাবিত হবে না।

উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থাটি জানিয়েছে, কর্মী নিয়োগের চুক্তিপত্রে চার বছরে কেবিন ক্রুদের ৩৮ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম বছরেই ২৫ শতাংশ বেতন বাড়ানোর কথা বলা আছে।

শ্রমিক সংগঠন কানাডিয়ান ইউনিয়ন অব পাবলিক এমপ্লিয়জ (সিইউপিই) বলেছে, এই প্রস্তাব মূল্যস্ফীতি, বাজারমান ও ন্যূনতম মজুরির চেয়ে কম। পাশাপাশি এর ফলে যাত্রী ওঠানো বা ফ্লাইটের আগে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করার সময়ের জন্য কেবিন ক্রুরা বেতন পান না।

একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর সদিচ্ছা নিয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন ও এয়ার কানাডা একে অপরকে দোষারোপ করেছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে এই ইউনিয়নে থাকা ৯৯ দশমিক ৭ শতাংশ কর্মী ধর্মঘটের পক্ষে ভোট দেন।

কানাডার কর্মসংস্থানমন্ত্রী প্যাটি হাজডু চলতি সপ্তাহে এয়ার কানাডা ও ইউনিয়নকে ধর্মঘট এড়াতে আলোচনার টেবিলে ফেরার আহ্বান জানান। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসা করতে এয়ার কানাডা তাঁকে অনুরোধ করেছে।

অন্যদিকে ইউনিয়নের দাবি, টানা আট মাসের বেশি সময় ধরে আন্তরিকভাবে আলোচনা চালিয়ে আসছে তারা। কিন্তু এয়ার কানাডা সরকারের নির্দেশিত সালিসি পথ বেছে নিয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য ফ ল ইট

এছাড়াও পড়ুন:

‘ভাষা আন্দোলনের তাত্ত্বিক বিষয় আমাকে আকর্ষণ করেছিল’

ছবি: প্রথম আলো

সম্পর্কিত নিবন্ধ