বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দীর্ঘদিন ধরে আইটি পরিষেবা নিয়ে কাজ করছে টেক রিপাবলিক। উদ্ভাবনী প্রযুক্তি বিপণনে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড জাবরা ও স্টিলসিরিজের সঙ্গে অ্যাভোকর ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিসপ্লের পরিবেশক হিসেবে এবার প্রতিষ্ঠানটি আত্মপ্রকাশ করেছে। উদ্যোক্তারা বলেন, সুপরিচিত অ্যাভোকর ইন্টারঅ্যাকটিভ ফ্ল্যাট প্যানেল (আইএফপি) এখন সময়োপযোগী চাহিদা। শুধু পণ্য নয়, বরং পূর্ণাঙ্গ প্রযুক্তিগত অভিজ্ঞতা দেশের ব্যবসা, শিক্ষা ও সরকারি খাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বমানের ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিসপ্লে প্রযুক্তি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে জরুরি পরিষেবা পণ্য। যেখানে আধুনিক যোগাযোগ, কার্যকর সহযোগিতা ও ভবিষ্যৎমুখী শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রের প্রচলিত পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে গড়ে তুলবে হাইব্রিড, অংশগ্রহণমূলক ও প্রযুক্তিনির্ভর পরিবেশ; যেখানে চিন্তা, আলোচনা ও সহযোগিতা হবে জীবন্ত, বাস্তবভিত্তিক আর ফলপ্রসূ। ভারত ও মধ্যপ্রাচ্যের ডিরেক্টর অব সেলস রোহিত এ কে ভিডিও বার্তায় বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের প্রযুক্তি বাজারে অ্যাভোকর ব্র্যান্ডের পণ্য এখন সুপরিচিত। সর্বাধুনিক টাচস্ক্রিন ও ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিসপ্লে প্রযুক্তি খাতে কাজ করছে ব্র্যান্ডটি। ভারত ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রযুক্তি বাজারে কার্যক্রম পরিচালনা করার পর টেক রিপাবলিক লিমিটেডের মাধ্যমে ব্র্যান্ডটি এবার বাংলাদেশের প্রযুক্তি বাজারে নিজেদের উপস্থিতির কথা জানাল।
ফ্ল্যাট প্যানেলের মূল বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে ফোরকে ইউএইচডি রেজ্যুলেশন, নিখুঁত ও স্পষ্ট দৃশ্যমানতা, যা শ্রেণিকক্ষ ও সভাকক্ষের অভিজ্ঞতাকে পরিপূর্ণ রূপ দেবে। মাল্টিটাচ প্রযুক্তিতে রয়েছে ৪০ পয়েন্ট মাল্টিটাচ সাপোর্ট সুবিধা। ফলে অনেকে একসঙ্গে ইন্টারঅ্যাক্ট করতে পারবেন; যা গ্রুপওয়ার্ক, ডিজিটাল হোয়াইটবোর্ডিং পরিবেশে ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে। গুগল ইডিএলএ সার্টিফিকেশনের কারণে গুগল প্লে স্টোর ও গুগল ওয়ার্কস্পেসের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ, শিক্ষা ও করপোরেট জগতে তথ্যচিত্র উপস্থাপনে ভিন্নতা আনবে। নিরবচ্ছিন্ন ইন্টিগ্রেশনে উইন্ডোজ, ম্যাকওএস, ক্রোমওএস– মাইক্রোসফট টিমস, জুম ও গুগল মিটের সঙ্গে সহজে ব্যবহারযোগ্য। মানোন্নত প্রসেসর ও গতিময় র‌্যাম ও যথাযথ স্টোরেজের কারণে সব রকম অ্যাপ্লিকেশন নির্বিঘ্নে চালানোর জন্য উপযুক্ত। ৬৫, ৭৫ ও ৮৬ ইঞ্চির মডেলের কারণে ছোট থেকে বড় কনফারেন্স বা রুম সব ধরনের পরিবেশের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম।
বাংলাদেশে অ্যাভোকর ব্র্যান্ডের ইন্টারঅ্যাকটিভ ফ্ল্যাট প্যানেলের কারিগরি বিষয়ে টেক রিপাবলিক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এইচ এম ফয়েজ মোর্শেদ বলেন, আধুনিক ডিসপ্লে স্মার্ট কাজের পরিবেশ, সভাকক্ষ, ক্লাসরুম, অনলাইন কনফারেন্সিং ও রিয়েল টাইম কনটেন্ট তৈরিতে 
নতুন মাত্রা যোগ করবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র পর ব শ অ য ভ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রপ্তানিকারকদের সুবিধা বাড়ল, বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব থেকে সোয়াপ করে টাকা তোলা যাবে

রপ্তানিকারকদের সুবিধা বাড়ল। এখন থেকে রপ্তানিকারকেরা নিজেদের বৈদেশিক মুদ্রা (এফসি) হিসাব থেকে সোয়াপের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন।

আজ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোকে ৩০ দিনের পুলে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা এবং রপ্তানিকারকের রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) হিসাবের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা-টাকা সোয়াপ চুক্তি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সোয়াপ কী

সার্কুলার অনুসারে, আলোচ্য সোয়াপ চুক্তি বলতে একটি নির্দিষ্ট হারে ও মেয়াদে টাকার বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রার স্পট ক্রয় এবং একই সঙ্গে একটি নির্ধারিত তারিখে পুনঃবিক্রয়ের ব্যবস্থাকে বোঝাবে। এ ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকের নিজস্ব উৎসের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহৃত হবে। সোয়াপের মেয়াদ ইআরকিউ তহবিলের ব্যবহারযোগ্য মেয়াদের বেশি হতে পারবে না এবং ৩০ দিনের পুল তহবিলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ দিন মেয়াদি সোয়াপ করা যাবে।

সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, সোয়াপের হার নির্ধারণে বাজারভিত্তিক বা খরচভিত্তিক সুদ বা মুনাফার পার্থক্য বিবেচনায় নেওয়া যাবে। আলোচ্য সোয়াপ লেনদেনকে ঋণ বা অর্থায়ন সুবিধা হিসেবে গণ্য করা হবে না। সোয়াপের মাধ্যমে প্রাপ্ত টাকা শুধু রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চলতি মূলধনের চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করা যাবে। কোনো ফটকা উদ্দেশ্যে ওই অর্থ ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

শিল্প খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ উদ্যোগের কারণে রপ্তানিকারকদের স্বল্পমেয়াদি তারল্য চাপ কমাতে সহায়তা করবে। এতে প্রচলিত রপ্তানি ঋণের ওপর নির্ভর না করেও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালাতে পারবেন। পাশাপাশি এটি বাজারভিত্তিক বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনাকেও উৎসাহিত করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ