সে অনেক অনেক দিন আগের কথা। দূর এক গ্রামে বাস করতো রাতকানা এক ছেলে। নাম ভোম্বল। সে কুচকুচে কালো। এতটাই কালো যে, তার ঠোঁটের ওপরে গোঁফ গজিয়েছে কিনা তাও বোঝা যেতো না। এক ঈদে মামার বাড়ি যেতে খুব ইচ্ছা হলো ভোম্বলের। সেই সঙ্গে গরুর হাঁট দেখারও। সে মাকে বললো তার ইচ্ছের কথা। মা বললেন, ঠিক আছে, সামনের ঈদে তুমি তোমার মামার বাড়ি যাবে। গরুর হাঁটেও যাবে কিন্তু একটা শর্ত আছে। ভোম্বল বললো, কী শর্ত?
মা বললেন, শর্তটি হলো তুমি মামার বাড়ি গিয়ে সবসময় বুদ্ধি খাটিয়ে চলবে–যেনো কেউ বুঝতে না পারে যে তুমি রাতকানা।
ভোম্বল বললো, ঠিক আছে মা। আমি কাউকে বুঝতে দেবো না।
পরদিন সকালে ভোম্বল রওনা হলো তার মামার বাড়ি এখলাসপুরের উদ্দেশ্যে। ভোম্বল যখন মামার বাড়ির কাছাকাছি এসে পড়েছে, তখন সে একটি গরুর হাঁট দেখতে পেলো। উৎসুক মনে হাঁটের ভেতর গেলো। কত্তো কত্তো গরু! লেজ ধরে সে গরু দেখছে। একটা গরু দেখে বলে, আরে, এটা তো আমার মামার বাড়ির গরু। সে যখন এটা বললো, তখন গরুটি বুঝতে পারলো যে কেউ তার লেজ ধরে আছে, গরুটি রেগে আগুন। অমনি মারলো গুঁতো। ভোম্বল কাদায় পিছলে পড়ে গেলো। তার ইচ্ছা করছিল খুব জোরে চিৎকার দিতে। সে চিৎকার দিচ্ছিল না। কারণ বাজারের সবাই শুনে ফেলবে। তাছাড়া মা বলেছেন বুদ্ধি খাটিয়ে চলতে। তাই সে কষ্ট সহ্য করে ফের মামার বাড়ির পথ ধরলো। বাড়ির সামনে এসেই ধপাস! তার মামি ঘর থেকে ছুটে এসে বলেন, কীরে ভোম্বল! তুই এইভাবে নিচে পড়ে আছিস কেন? ভোম্বল বলে, মামি আসার পথে তোমার গরুটা এসে আমার সামনে গোবর দিয়ে দিল, তখন আমি গোবরে পা দিয়ে ধপাস পড়ে গেলাম! মামি বললেন, ঠিক আছে তুই এখন ঘরে যা। তখন ভোম্বল ঘরে গিয়ে হাত-পা ধুয়ে মামিকে খাবার দিতে বললো। সন্ধ্যা হয়ে এলে তো সে আর কিছুই দেখবে না। খাওয়া শেষে সবার আগে ভোম্বল ঘুমিয়ে পড়লো। রাতে ভোম্বলের বাথরুমে যাওয়ার খুব দরকার হলো। সে এখন কী করবে, একা তো সে যেতে পারবে না!
ভোম্বল চিন্তায় পড়ে গেলো। ভাবতে ভাবতে তার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। সে গরুর মতো হাম্বা হাম্বা ডাক দিতে থাকলো। সবাই ভাবলো, বাড়িতে চোর পড়েছে। তাড়াহুড়ো করে লাইট জ্বালালো। ভোম্বলের হাতে একটা লাঠি এনে দিলেন মামি। তারপর সবাই চোর চোর করে বাইরে গেল। আর ভোম্বল লাঠির সাহায্যে রুম থেকে বের হয়ে বাথরুমে গেলো। তারপর সে ফের লাঠির সাহায্যে ঘরে এসে ঘুমাতে গেলো। পরদিন সকালে সে তার নিজের বাড়ি যাওয়ার জন্য রওনা হলো। বোকা ভোম্বল নিজের বাড়ির বাসে না ওঠে বান্দরবানের বাসে উঠলো! এখন তাহলে সে বান্দরবানে ঈদ করবে?
n বয়স: ২+২+২+২ বছর; তৃতীয় শ্রেণি, চৌমুহনী পাইলট স্কুল, নোয়াখালী
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ভ ম বল র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজকীয় ভোজে ট্রাম্প–মেলানিয়াকে কী কী খাওয়ালেন রাজা চার্লস
জমকালো সাজে সেজেছে যুক্তরাজ্যের উইন্ডসর ক্যাসলের সেন্ট জর্জেস হল। উপলক্ষটাও অনন্য, রাজকীয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সস্ত্রীক যুক্তরাজ্য সফর উপলক্ষে এখানে রাজকীয় নৈশ্যভোজ আয়োজন করেন রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলা।
বুধবার রাতের রাজকীয় এ আয়োজনে কূটনীতি, খাবার, ঐতিহ্য, সংগীত আর আভিজাত্য একসুতোয় বাঁধা পড়েছিল। ট্রাম্প–মেলানিয়াসহ রাজার অতিথি হয়েছিলেন বিশ্বের ১৬০ জন গণমান্য ব্যক্তি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্মানে রাজা তৃতীয় চার্লসের আয়োজন করা রাজকীয় ভোজের টেবিল। যুক্তরাজ্যের উইন্ডসর ক্যাসলের সেন্ট জর্জেস হল, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫