Risingbd:
2025-06-06@21:05:39 GMT

তিন শর্তে খুললো রুমা ও থানচি

Published: 6th, June 2025 GMT

তিন শর্তে খুললো রুমা ও থানচি

দীর্ঘ ১৩ মাস বন্ধ থাকার পর বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলা পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য আংশিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সমন্বয় সংক্রান্ত কোর কমিটির গত ৩ জুন তারিখের সভার সিদ্ধান্ত ও বান্দরবান সেনানিবাসের ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড এর সদর দপ্তর ৫ জুন তারিখের ১৪০/৫৯/জিএস (ইন্ট) পত্রের আলোকে নিম্নবর্ণিত পর্যটন এলাকাসমূহে আগামী ৬ জুন তারিখ থেকে পর্যটকদের ভ্রমণ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা নিম্নোক্ত শর্তসাপেক্ষে এতদ্বারা বাতিল করা হলো।

আরো পড়ুন:

এভারেস্ট দিবস
এ দেশে যে প্রশ্ন শুনতে হয় ‘এভারেস্টে উঠলে কী হয়?’ 

এক দিনের নিমন্ত্রণে ওমর সানীর ‘শ্বশুরবাড়ি’তে

ক) থানচি উপজেলা- থানচি থেকে মদক অভিমুখে তিন্দুমুখ পর্যন্ত এবং বাকলাই পাড়া অভিমুখে তমাতুঙ্গি পর্যন্ত

খ) রুমা উপজেলা- রুমা বাজার হতে বগালেক পর্যন্ত (মুনলাই পাড়াসহ)

শর্তাবলি:

ক) সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় উপর্যুক্ত স্থানসমূহ ব্যতীত রুমা ও থানচি উপজেলার অন্য জায়গায় পর্যটকদের গমনাগমন নিষিদ্ধ থাকবে।

খ) জেলা/উপজেলা প্রশাসনের নিবন্ধিত টুরিস্ট গাইড ব্যতীত ভ্রমণ করা যাবে না।

গ) পর্যটন কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট চেকপোস্ট/পর্যটক তথ্য সেবা কেন্দ্রে চাহিত তথ্য অবশ্যই সরবরাহ করতে হবে।

ঢাকা/চাইমং/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ রমণ পর যটক উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের ছুটি উপলক্ষে সাজেকের রিসোর্ট-কটেজে আগাম কক্ষ বুকিংয়ের হিড়িক

পবিত্র ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটি উপলক্ষে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটনকেন্দ্রের রিসোর্ট-কটেজে বেড়েছে আগাম কক্ষ বুকিং। এরই মধ্যে সাজেকের রিসোর্ট-কটেজগুলোর প্রায় ৮০ শতাংশের আগাম বুকিং হয়েছে।

পর্যটকদের কাছে সারা বছরই পছন্দের তালিকায় থাকে রাঙামাটির সাজেক পর্যটনকেন্দ্র। এবার ঈদের ছুটি তুলনামূলক দীর্ঘ হওয়ায় সাজেকে পর্যটক সমাগম অন্যবারের তুলনায় বেশি হবে বলে আশাবাদী পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সাজেকের রিসোর্ট-কটেজে আগাম কক্ষ বুকিং নেওয়া হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত রিসোর্ট-কটেজের প্রায় ৮০ শতাংশের বুকিং হয়েছে। বেশির ভাগ পর্যটক আগাম বুকিং দিয়েছেন ৮ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সময়ের জন্য। এর মধ্যে ৯ ও ১০ জুন দু-একটি ছাড়া সব রিসোর্ট-কটেজের বুকিং শেষ। এই দুই দিন আগাম কক্ষ বুকিং না দিয়ে সাজেকে এলে পর্যটকদের স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িঘর, ক্লাবঘরে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির নেতারা। বর্তমানে সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে চালু রয়েছে ৯৮টির মতো রিসোর্ট-কটেজ।

সাজেক ভ্যালির হলিডে ও টারেং রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী রিন্টু চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার দুটি রিসোর্টের মধ্যে টারেং রিসোর্টের ১৩টি কক্ষের আগাম বুকিং হয়ে গেছে। এই ১৩ কক্ষে ৩৭ জন থাকতে পারেন। অন্যদিকে হলিডে রিসোর্টে এখন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। ওই রিসোর্টের ২২টি কক্ষে ৫৫ জনের থাকার সুযোগ রয়েছে।’

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এবার লম্বা ছুটি, তাই পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে চাপ বেশি হওয়াই স্বাভাবিক। সাজেকেও আগাম বুকিংয়ের হিড়িক পড়েছে। রিসোর্ট-কটেজের ৮০ শতাংশের বুকিং এরই মধ্যে হয়ে গেছে। তবে আগাম বুকিং চলমান। আশা করছি, এবার ঈদের পর সপ্তাহজুড়েই সাজেকে মানুষের ভিড় থাকবে।’

এদিকে সাজেকের মতো জেলা শহর রাঙামাটির হোটেল-মোটেলগুলোতেও আগাম বুকিংয়ের হিড়িক পড়েছে। এরই মধ্যে আবাসিক হোটেল-মোটেলের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়েছে।

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সে ৮৭টি কক্ষ রয়েছে। ৮০ শতাংশ কক্ষ এরই মধ্যে বুকিং হয়ে গেছে। ৯ থেকে ১৩ জুনের জন্য আগাম বুকিং চলছে। তিনি বলেন, গত ঈদুল ফিতরের পর পর্যটন কমপ্লেক্সে ‘সানরাইজ ইকো পার্ক’ নির্মাণ করা হয়েছে, যেখান থেকে কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্যসহ চারপাশের নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করা যায়। তাই এবার পর্যটন কমপ্লেক্সে পর্যটকদের আগ্রহ তুলনামূলক বেশি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঈদের লম্বা ছুটিতে পর্যটক টানতে ছাড়ের প্রতিযোগিতা 
  • সিলেটের সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্র খুলছে শুক্রবার থেকে
  • যেভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কক্সবাজারের ‘ইকোট্যুরিজম’
  • পর্যটক বরণে প্রস্তুত হাওর ও পাহাড়
  • ঈদের ছুটি উপলক্ষে সাজেকের রিসোর্ট-কটেজে আগাম কক্ষ বুকিংয়ের হিড়িক