লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
Published: 10th, June 2025 GMT
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে সিলেট–কোম্পানীগঞ্জ–ভোলাগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার খাগাইল মোড় এলাকায় প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা।
সড়ক অবরোধের নেতৃত্বদানকারী খাগাইল গ্রামের বাসিন্দা ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘‘গত কয়েকদিনের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ সাধারণ লোকজন। সোমবার রাতে প্রচণ্ড গরমে খাগাইল গ্রামের এক বাসিন্দা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এর প্রতিবাদে আজ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন তারা।’’
এদিকে, অবরোধের সময় মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের তৈরি হয়। এতে কোম্পানীগঞ্জের পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে যাওয়া পর্যটক ও সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ বলেন, ‘‘বিক্ষুব্ধ লোকজন ও পল্লী বিদ্যুতের উপ-মহাব্যবস্থাপকের সঙ্গে আলাপ করে বিষয়টির সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপর অবরোধকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।’’
এ বিষয়ে জানতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ঢাকা/নূর/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের বিরুদ্ধে শেয়ার কারসাজির মামলা
শেয়ার কারসাজি করে প্রায় ২৫৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ক্রিকেটার ও মাগুরার সাবেক এমপি সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে মামলাটি করেন।
অন্য আসামিরা হলেন- সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক আবুল খায়ের ওরফে হিরু, তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, খিলগাঁওয়ের আবুল কালাম মাদবর, তার মেয়ে কনিকা আফরোজ, ছেলে মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, শরীয়তপুরের নড়িয়ার আলেয়া বেগম, কাজি ফুয়াদ হাসান, কাজি ফরিদ হাসান, মাগুরা পৌরসভার শিরিন আক্তার, ঢাকার গুলশানের জাভেদ এ মতিন, চাঁদপুরের মিরপুর উপজেলার জাহেদ কামাল, যশোরের শার্শা উপজেলার মো. হুমায়ূন কবির ও ঢাকার কেরাণীগঞ্জের তানভীর নিজাম।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দ্রুত সময়ে আর্থিকভাবে লাভবান হতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ-সংক্রান্ত প্রচলিত আইন ও বিধি পরিকল্পিতভাবে লঙ্ঘন করেছেন। নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিও অ্যাকাউন্টগুলোতে অবৈধ উপায়ে ফটকা ব্যবসার মতো সিরিজ লেনদেন, প্রতারণামূলক ট্রেডিং, মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বাজারকে প্রভাবিত করেছেন। পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট কিছু শেয়ার সংঘবদ্ধভাবে ক্রমাগত ক্রয়-বিক্রয় করে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়িয়েছেন। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ওই শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করে তাদের ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা অস্বাভাবিক রিয়ালাইজড ক্যাপিটাল গেইনের নামে অর্জিত অপরাধলব্ধ অর্থ শেয়ারবাজার থেকে সংঘবদ্ধভাবে উত্তোলন করেন। আসামি আবুল খায়ের কর্তৃক তার স্ত্রী সাদিয়ার সহায়তায় ক্যাপিটাল গেইনের নামে অর্জিত অপরাধলব্ধ অর্থের ২৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার টাকার উৎস গোপনের অভিপ্রায়ে লেয়ারিং করে বিভিন্ন খাতে স্থানান্তর করেন। আবুল খায়েরের ১৭টি ব্যাংক হিসাবে ৫৪২ কোটি ৩১ লাখ ৫১ হাজার টাকার অস্বাভাবিক, অযৌক্তিক এবং সন্দেহজনক প্রকৃতির লেনদেন করা হয়।
সাকিব আল হাসানের অপরাধ: এজাহারে বলা হয়, আসামি আবুল খায়ের কর্তৃক শেয়ারবাজারে কারসাজিকৃত প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স এবং সোনালী পেপারসের শেয়ারে সাকিব আল হাসান বিনিয়োগ করে বাজার কারসাজিতে যোগসাজশ করেছেন। তিনি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কারসাজিকৃত শেয়ারে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করে তাদের ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা রিয়ালাইজড ক্যাপিটাল গেইনের নামে অপরাধলব্ধ আয় হিসেবে শেয়ারবাজার থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
এর আগে গত এপ্রিলে সাকিবে বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে জন্য দুদকের উপপরিচালক মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।