কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ‘ঈদমনি লাল ব্রিজ’ নামের এলাকায় সড়কের পাশ থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে চকরিয়া থানা–পুলিশ। ওই নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

নিহত নারীর নাম বুলবুল আক্তার (২৭)। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখিল ইউনিয়নের টেকপাড়ার আবদুল গফুরের স্ত্রী। তাঁর লাশ উদ্ধারের পর আজ বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন বলেন, রাত ১০টার দিকে ঈদমনি লাল ব্রিজ এলাকায় এবিসি আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ওই নারীর রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অভিজিত দাস প্রথম আলোকে বলেন, ওই নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর লাশ সড়কের পাশে রেখে গেছেন কেউ। নিহত নারীর পেটের দুই পাশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনার জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সড়ক র প শ

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে গাড়িচালকের পরিকল্পনাতেই ছিনতাই: পুলিশ

যশোরের মনিরামপুরে আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদের প্রাইভেট কার ঠেকিয়ে ৩৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ছিনতাই হওয়া ৩২ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে। নগদ ডিস্ট্রিবিউটরের প্রাইভেট কারচালকের যোগসাজশে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 
আজ বুধবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– নগদ ডিস্ট্রিবিউটরের প্রাইভেট কারচালক ও যশোর শহরের পোস্ট অফিসপাড়ার ইউসুফ আলী সাজু, ঝিকরগাছার বাঁকড়া দিগদানা গ্রামের রনি গাজী, সুজন ইসলাম, ইমদাদুল গাজী, নাসিম গাজী, একই উপজেলার খোষালনগর গ্রামের সাগর হোসেন ও সোহেল রানা।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে যশোরের নগদ ডিস্ট্রিবিউটর রবিউল ইসলাম প্রাইভেট কারযোগে মনিরামপুর যাচ্ছিলেন। পথে জামতলা নামক স্থানে পেছনের দিক থেকে দুটি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা তাঁর গতিরোধ করে। তারা মোটরসাইকেল থেকে নেমে প্রাইভেট কারের কাচ ভাঙচুর এবং চাপাতি দিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে ডিস্ট্রিবিউটরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁর কাছে থাকা ৩৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি রবিউল ইসলাম জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনার আগে ও পরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। ডিবিসহ জেলা পুলিশের একাধিক দল বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেলের সূত্র ধরে আসামি সাগর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। সাগরের তথ্যের ভিত্তিতে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। ইমদাদুল গাজীর হেফাজত থেকে ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং সুজনের বাড়ি থেকে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

নূর-ই-আলম সিদ্দিকী আরও বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনার পর নগদের লোকজন টাকার পরিমাণ ৫৫ লাখ বলেছিলেন, যা সঠিক নয়। প্রকৃত টাকার পরিমাণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার, মনিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমদাদুল হক, ডিবির ওসি মঞ্জুরুল হক ভূঞা, মনিরামপুর থানার ওসি বাবলুর রহমান খান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ