প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ করেন কানাডার হাইকমিশনার। সাক্ষাৎকালে তাঁরা পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যকার ঐতিহাসিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় কানাডার হাইকমিশনার সাম্প্রতিক সময়ে বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বতন্ত্রীকরণের বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনগুলোতে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে বর্তমান প্রধান বিচারপতির বলিষ্ঠ নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি একটি শক্তিশালী বিচার বিভাগ গঠনে তাঁর দেশ বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত মর্মে প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করেন।

প্রধান বিচারপতি কানাডার হাইকমিশনারকে চব্বিশের জুলাই বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং উভয় দেশের বিচার বিভাগের পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রধান বিচারপতি বিশেষ করে উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ দেশে মানবাধিকারের সর্বোচ্চ সুরক্ষা প্রদানে বদ্ধপরিকর।

সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো.

শফিকুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৫ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র হতে পারে, আশা আসিফ মাহমুদের

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে কাজ চলছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা রয়েছে, যাতে আগামী ৫ আগস্ট ঘোষণাপত্র দেওয়া যায়। সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই রাজনৈতিক ঐকমত্যে আসা প্রয়োজন। সবার মতামতের ভিত্তিতে সরকার জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে চায়। আমরা আশা করছি, আগামী ৫ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে।’

শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ এ কথা বলেন।

নির্বাচন প্রসঙ্গে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজনের জন্য যেসব স্টেকহোল্ডার রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত, সবাই যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে নিচ্ছে। এখনো তো সরকারের চূড়ান্ত তারিখ পাইনি আমরা, সবেমাত্র সম্ভাব্য ডেট পেয়েছি, চূড়ান্ত ডেট পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সংস্কার প্রসঙ্গে এই উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কারের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। আপনারা জানেন সংস্কার কমিশনগুলো কাজ করছে। সবাই ঐকমত্যে পৌঁছাচ্ছেন। সেই ভিত্তিতে একটা জুলাই চার্টার হবে, কী কী সংস্কার হবে। এর মধ্যে যেগুলো বাস্তবায়নযোগ্য, সেগুলো বাস্তবায়ন হবে। ইতিমধ্যে আমরা কাজ করছি। স্থানীয় সরকার বিভাগকে যেসব সংস্কার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সেগুলো আমরা বাস্তবায়নে কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। আশা কিছুদিনের মধ্যে হয়তো আপনারা ফলাফল দেখতে পাবেন।’

এ সময় কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. সহিদ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমানসহ অন্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ