রাঙামাটিতে বাসের ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে কাপ্তাই জেটিঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম মো. ইলিয়াস (৪৫)। তিনি কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শিলছড়ি এলাকার মৃত নুর আহামদের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত ইলিয়াস কাপ্তাইয়ের জেটিঘাট এলাকার একটি বাস কাউন্টারে টিকিট বিক্রি করতেন। গতকাল রাতে তিনি সড়কে হাঁটছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী একটি বাস তাঁকে ধাক্কা দেয়। ওই বাসের মালামাল রাখার বাক্স খোলা ছিল। এটিতেই আঘাতপ্রাপ্ত হন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রুইহ্লা অং মারমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই ইলিয়াসের মৃত্যু হয়েছে।’

কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কায় কিসলু বলেন, বাসের ধাক্কায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

লোহাগাড়ায় কাজে আসছে না কোটি টাকার সেতু

প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে আড়াই বছর আগে। তবে সড়কের সঙ্গে এটি যুক্ত করা হয়নি। এ কারণে কোটি টাকার সেতুটি কোনো কাজে আসছে না। সেতুটিতে জন্মেছে শেওলা, খসে পড়ছে পলেস্তারা।

এই সেতুটি অবস্থিত চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের হিন্দুপাড়ার জামছড়ি খালের ওপর। গ্রামীণ রাস্তায় সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৯৯ লাখ ৬১ হাজার টাকা ব্যয়ে জামছড়ি খালের ওপর সেতুটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করেছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।

২০২১-২২ অর্থবছরে ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৮ ফুট প্রস্থের সেতুটি নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। নির্মাণকাজ পরিচালনার দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাশেম ব্রাদার্স। তবে প্রতিষ্ঠানটির হয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেন উপজেলা সদরের বাসিন্দা মিনহাজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি।

লোহাগাড়া উপজেলা সদর থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ধরে তিন কিলোমিটার উত্তরে বার আউলিয়া গেট। সেখান থেকে বার আউলিয়া সড়ক ধরে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ৬ কিলোমিটার এগোলেই চরম্বা দিঘির কোণ এলাকা। সেখানে দিঘির পাড়া সড়ক নামে একটি গ্রামীণ সড়ক ধরে ১ কিলোমিটার উত্তরে গেলেই সেতুটির দেখা মেলে।

আগে এই এলাকাটিতে সেতু ছিল না। এ কারণে এলাকাবাসীকে দুর্ভোগে পড়ত হতো। দুর্ভোগ কমাতে খালের ওপর পাঁচ বছর আগে বেইলি সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এরপর আড়াই বছর আগে এর পাশেই পাকা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, পাকা সেতুটির খুব কাছেই রয়েছে সড়ক। দুই পাশে ১৫০ ফুটের মতো সংযোগ সড়ক নির্মাণ করলেই সেতুটি মূল সড়কের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে। তবে সেটি না করায় পাকা সেতুটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। পাশে স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে নির্মিত একটি বেইলি সেতু দিয়ে লোকজন চলাচল করছে।

বাসিন্দারা জানান, আগে এই এলাকায় সেতু ছিল না। এ কারণে এলাকাবাসীকে দুর্ভোগে পড়ত হতো। দুর্ভোগ কমাতে খালের ওপর পাঁচ বছর আগে বেইলি সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এরপর আড়াই বছর আগে এর পাশেই পাকা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি সড়কের সঙ্গে যুক্ত করা হয়নি। তাই সেতুটি এলাকাবাসীর কোনো কাজে আসছে না। সম্প্রতি তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ