যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে ১ হাজার ৩০০-এর বেশি কর্মী ছাঁটাই
Published: 11th, July 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার এসব কর্মীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সিএনএনের হাতে আসা একটি অভ্যন্তরীণ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য উঠে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, এই ছাঁটাইয়ের আওতায় পড়বেন মন্ত্রণালয়ের সিভিল সার্ভিসের ১ হাজার ১০৭ কর্মকর্তা এবং ফরেন সার্ভিসের ২৪৬ কর্মকর্তা। এ ছাড়া এই পরিবর্তনের ফলে মন্ত্রণালয়ের শত শত কার্যালয় ও ব্যুরো বিলুপ্ত বা পুনর্গঠন করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে প্রায় ৩ হাজার সদস্যকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ত্যাগ করতে হবে। এর মধ্যে মন্ত্রণালয়ের চাকরিচ্যুত করা কর্মীদের পাশাপাশি যাঁরা স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ছেন, তাঁরাও রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘২০২৫ সালের ২২ এপ্রিলে প্রথমবারের মতো মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পুনর্গঠনের ঘোষণা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে দপ্তরটি অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম সুশৃঙ্খল করছে, যাতে কূটনৈতিক অগ্রাধিকারে বেশি গুরুত্ব দেওয়া যায়।’
যেসব ফরেন সার্ভিস কর্মকর্তাকে শুক্রবার জনবল হ্রাসের নোটিশ দেওয়া হবে, তাঁদের ১২০ দিনের জন্য প্রশাসনিক ছুটিতে রাখা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এরপর তাঁদের চাকরি মেয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে। আর চাকরিচ্যুত হওয়া অধিকাংশ সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তাকে প্রথমে ৬০ দিনের ছুটিতে রাখা হবে। এরপর তাঁদের ছাঁটাই কার্যকর হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চুয়াডাঙ্গায় তরুণের লাশ উদ্ধার, ঘোষণা দিয়ে প্রতিপক্ষ হত্যা করেছে– অভিযোগ পরিবারের
চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছিতে এক তরুণকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তাঁর মরদেহ ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেলগাছি গ্রামের খরার মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়।
নিহত সোহেল রানা (২৫) পৌর এলাকার বেলগাছি গ্রামের বকচরপাড়ার আসাবুল হকের ছেলে। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, প্রতিপক্ষ ঘোষণা দিয়ে গলা কেটে তাঁকে খুন করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেলগাছি গ্রামের কৃষকেরা স্থানীয় মাঠে কৃষিকাজ করতে গিয়ে সোহেল রানার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান এবং স্বজনদের খবর দেন। বিষয়টি মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অনুজ কুমার লাশের সুরতহাল তৈরি করে প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির গলায় সামনের দিকে বড় করে একটি কাটা দাগ ও পেছনে আরও একটি কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া মাথায় পূর্বের আঘাতের অন্তত চারটি কাটা দাগও রয়েছে।
নিহত ব্যক্তির বাবা আসাবুল হক বলেন, তিনি খেজুরগাছ কাটাসহ কৃষিকাজ করেন। সোহেল রানা এসব কাজে তাঁকে সহযোগিতা করতেন। সোমবার বিকেল থেকে বাবা ও ছেলে একসঙ্গে মাঠে কাজ করছিলেন। সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে ফোন এলে আসাবুল হক খড়ি (জ্বালানি কাঠ) নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেন এবং সোহেল রানা পরে আসবেন বলে জানান। রাত ১০টা পর্যন্ত বাড়িতে না এলে তিনি চারদিকে খোঁজ করতে থাকেন। আজ মঙ্গলবার সকালে আবার খোঁজ করতে গিয়ে মাঠে ছেলের গলাকাটা লাশ দেখতে পান।
আসাবুল হকের অভিযোগ, একই গ্রামের জোয়ার্দ্দারপাড়ার ফারুক ও হারুনের সঙ্গে সোহেল রানার নানা কারণে বিরোধ ছিল। আট দিন আগে তারা সোহেল রানার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করেছিল, তাতেও সে বেঁচে গিয়েছিল। এরপর হামলাকারীরা কয়েক দিন ধরে তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছিল।
নিহত ব্যক্তির ভাই জামাল হোসেন বলেন, ‘৪–৫ দিন আগে সোহেল রানা খেজুরগাছ থেকে রসের ভাঁড় পাড়তে আসেন। জমির আইল দিয়ে যাওয়ার সময় পেয়ারাবাগানের জমিতে পা দেওয়ায় কথা–কাটাকাটি হয়। এরপর ফারুকসহ তিন-চারজন মিলে গালাগালি দিয়ে দা দিয়ে মাথায় আঘাত করে। সোমবার তাঁর মাথার সেলাই খোলা হয়। এরপর সোহেলকে একা পেয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে। আজ সকালে ফারুক নিজেই লাশ দেখতে এসেছিল। আমি তাকে বলি, “তুই আমার ভাইকে খুন করেছিস।” ফারুক তখন বলে, “তোর ভাইকে খুন করেছি তো কী হয়েছে?”’
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, গতরাত থেকে ভোররাতের মধ্যে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। লাশের সুরতহাল তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তও করা হবে। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের গ্রেপ্তার করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।