কুৎসা রটিয়ে বিএনপিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে: আযম খান
Published: 13th, July 2025 GMT
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, “বিএনপিতে চাঁদাবাজ, খুনি ও ডাকাতের কোন ঠাঁই নেই। দুয়েকটি দল বিএনপির বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটিয়ে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা বলে নির্বাচন বিলম্ব করার ষড়যন্ত্র করছে তারা।”
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে পাবনার চাটমোহর বালুচর খেলার মাঠে পাবনা-৩ আসনের নির্বাচনী এলাকার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও পাবনা-৩ আসনের বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সঙ্গে পরিচয় ও মতবিনিময়ের জন্য এই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় আযম খান আরো বলেন, “আসলে মাঠ তো এখন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে ভরা। আপনারা যখন ক্ষমতায় যাবেন তখন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে নাকি? ওসব না বলে নির্বাচনে আসুন। আপনারা বিএনপিকে বিতর্কিত করছেন। বিএনপির নামে যদি কেউ চাঁদাবাজি করে তাহলে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। ওই সব দলকে বলব আপনারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারবেন না।”
তিনি কেন্দ্রীয় কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান জাফির তুহিনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক তারেক রহমান পাবনা-৩ আসনে আমার কাছে মধুর একটি উপহার দিয়ে পাঠিয়েছেন। যেটা আমি আপনাদের আজকে উপহার দিতে আসছি। বিষ্ময় সেই বালকের নাম কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন। অসংখ্য ছাত্রদের নেতৃত্ব দিয়েছেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায়। একদিন বাংলাদেশকে জয়ী করবে তুহিন। তাকে সেবক হিসেবে আপনাদের কাছে রেখে দিয়ে গেলাম। আগামীতে বিপুল ভোটে তাকে ধানের শীষের এমপি নির্বাচন করবেন।”
কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন তার বক্তব্যে বলেন, “দলের নির্দেশনা পেয়ে ধানের শীষ নিয়ে এখানে এসেছি। যারা মান অভিমান করে আছেন, তাদের হাতজোড় করে বলব- আসুন আমরা সবাই এক পতাকার তলে এসে ধানের শীষকে জয়ী করি। এখানে আমার কোন নিকট আত্মীয় নেই, নেই কোন ভাইবোন। আগামী নির্বাচনে আপন ভাই-বোনের মত পাশে থাকবেন। আমিও আপন ভাইয়ের মত আপনাদের পাশে থাকব। পাবনা-৩ আসনকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাব এই প্রতিশ্রুতি দিলাম।”
এর আগে দুপুর থেকে পাবনা-৩ আসনের চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বালুচর মাঠের সমাবেশস্থলে মিলিত হন। ব্যানার ফেস্টুন ও প্লেকার্ড সম্বলিত ধানের শীষের স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয় পুরো শহর।
চাটমোহর পৌর বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান আরশেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দিপু হায়দার, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনিছুল হক বাবু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আরিফা সুলতানা রুমা, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুন্নবী স্বপন, পাবনা পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আহমেদ মোস্তফা নোমান, জাসাসের আহবায়ক খালেদ হোসের পরাগ, কৃষকদলের পাবনা জেলা সভাপতি আবুল হাশেম প্রমুখ।
ঢাকা/শাহীন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র স র ব এনপ ৩ আসন
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে রেললাইনে শুয়ে ‘ডাবল রেলপথ’ ও নতুন ট্রেন চালুর দাবি
সিলেটের রেললাইনে শুয়ে সিলেট-ঢাকা রেলপথকে ডাবল লাইন করার দাবি জানিয়েছেন একদল মানুষ। পাশাপাশি কর্মসূচি থেকে নতুন ট্রেন চালুরও দাবি জানানো হয়।
আজ বুধবার বেলা তিনটায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমার রেলগেটে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সিলেটের সামাজিক সংগঠন সিলেট কল্যাণ সংস্থা, সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা ও সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা। সেখানে নাগরিক সমাবেশও অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে দুর্ভোগের কারণে এখন যাত্রীরা রেলপথে কিছুটা স্বস্তি খোঁজেন। রেলপথে যাতায়াতের জন্য চেষ্টা করেন। কিন্তু এ পথে ট্রেনের টিকিট এখন সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। রেলের টিকিট ১০ দিন আগেই বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু বিক্রি শুরুর দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যেই হাওয়া হয়ে যায়। রেলের টিকিট সিন্ডিকেট হচ্ছে। কালোবাজারে দিগুণ থেকে তিন–চার গুণ দামে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু কালোবাজারে টিকিট বিক্রির কথা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে। এতে যাত্রীদের প্রশ্ন থেকে যায়, রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষের কোনো যোগসাজশ ছাড়া টিকিট কেমন করে নিমিষেই হাওয়া হয়ে যায়।
সিলেটকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে পিছিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা। তাঁরা দ্রুত সিলেট-ঢাকা রেলপথকে ডাবল লাইন করা, সিলেট-ঢাকার রেলপথে নতুন ট্রেন সংযোজন, সিলেট-চট্টগ্রাম ও সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে বিরতিহীন নতুন ট্রেন চালু, ট্রেনের মানোন্নয়ন, সিলেট-ছাতক রুটে পুনরায় ট্রেন চালু, যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন ও সিলেটের সঙ্গে চলাচলকারী ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় রোধে ত্রুটিমুক্ত ইঞ্জিন যুক্ত করার দাবি জানান।
কর্মসূচিতে সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক বলেন, আগামী এক মাসের মধ্যে সিলেট-ঢাকা রেলসেবার উন্নতি এবং নতুন রেল যুক্ত করা না হলে রেলের ইঞ্জিনের সামনে শোয়া কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান।