মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তির অভিযোগ তুলে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও নির্যাতনের ঘটনার বিচার দাবি করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। গতকাল মঙ্গলবার পরিষদের একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে এ দাবি জানান।

আজ বুধবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এসব কথা জানিয়েছে।

বিবৃতিতে ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ বলেন, গত ২৬ জুলাই রংপুর আইটিসি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র রঞ্জন রায়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানার পরই রঞ্জনের বাবা সুজন রায় ছেলেকে থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তারপরও রাত ৮টার দিকে আশপাশের এলাকা থেকে ৬-৭ শ লোক উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে হিন্দুপাড়ায় হামলা চালায়। তারা রঞ্জনের বাড়িসহ চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে।

পরদিন ২৭ জুলাই বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আরও প্রায় ৩-৪ হাজার লোক ফের হিন্দুপাড়ায় হামলা চালায়। তারা আরও ১৮টি পরিবারের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে, গরু-ছাগলসহ মালামাল লুট করে এবং আখের জমি নষ্ট করে দেয়।

এই প্রেক্ষাপটে মনীন্দ্র কুমার নাথের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এরপর তাঁরা রংপুর জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান। একই সঙ্গে স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণেরও দাবি জানিয়েছেন।

প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল বর্মণ, রংপুর জেলা ও মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার রায় ও অলোক কুমার নাথ, যুব ও ছাত্র ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি শিমুল সাহা ও সজীব সরকার, সন্তু সাহা প্রমুখ।

আরও পড়ুনগঙ্গাচড়ায় হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা মানবাধিকারের লঙ্ঘন, বিচার দাবি২৯ জুলাই ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বরাদ্দের ১০ দিনের মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের বাসা ‘দখলে’ নিতে হবে

বরাদ্দ পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে খালি বাসার ‘দখল’ নিতে হবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। অথবা ‘দখল’ নিতে ইচ্ছুক না হলে সেটাও জানাতে হবে আবাসন পরিদপ্তরকে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা শহরে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন শ্রেণির সরকারি বাসা-বাড়ি কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মূল দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর

সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান

বরাদ্দপত্রে উল্লিখিত শর্ত অনুযায়ী, বাসা খালি হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে বাসার দখল গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু, অনেক সময় বরাদ্দপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কিছু বরাদ্দগ্রহীতা বাসা খালি থাকা সত্ত্বেও বাসার দখলভার গ্রহণ করেন না।

তাছাড়া, অনেক বরাদ্দগ্রহীতা বরাদ্দ করা বাসাটি খালি থাকা সত্ত্বেও বাসার দখল গ্রহণ না করে দীর্ঘদিন পর বরাদ্দ করা বাসাটির পরিবর্তে অন্য একটি বাসা বরাদ্দের জন্য আবেদন করেন কিংবা বাসাটির বরাদ্দ বাতিলের আবেদন করেন। এতে বাসাটি দীর্ঘদিন খালি থাকার কারণে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব আহরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে বাসার দখল ধরে রাখার কারণে অন্য কর্মচারীকে বাসা বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সরকারি আবাসনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং সরকারি রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন বাসা-বাড়ির বরাদ্দপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেন বরাদ্দ পাওয়ার পর বরাদ্দপত্রের শর্ত মোতাবেক বাসাটি খালি হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে দখলভার গ্রহণ করেন কিংবা দখলভার গ্রহণে ইচ্ছুক না হলে তা দ্রুততার সঙ্গে আবাসন পরিদপ্তরকে অবহিত করেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ