ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ
Published: 10th, July 2025 GMT
ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। তিনি বলেন, ব্যবসা বৈধ করা সংক্রান্ত যেকোনো প্রয়োজনে উদ্যোক্তারা এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে সব ধরনের সহায়তা দেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
মোহাম্মদ এজাজ জানান, সরকার আগারগাঁও এলাকাকে একটি মডেল এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যেখানে সব ক্ষুদ্র ও অনানুষ্ঠানিক ব্যবসায়ীকে বৈধ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আজ বৃহস্পতিবার এসএমই ফাউন্ডেশন ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) উদ্যোগে ‘ফরমালাইজ ইয়োর বিজনেস’ প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ এজাজ এ কথা বলেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো.
তিন দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা অনানুষ্ঠানিক খাতে পরিচালিত খাবারের স্টল, কসমেটিকস ও বিউটি পণ্য, পোশাক, ই–কমার্স ও প্ল্যাটফর্মভিত্তিক উদ্যোক্তাদের ব্যবসা বৈধকরণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করা এবং তাঁদের আইনি, আর্থিক ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় সক্ষম করে তোলা। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তারা দীর্ঘদিন ধরে ট্রেড লাইসেন্স বা নিবন্ধন ছাড়া নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তাঁরা প্রশিক্ষণে ব্যবসা বৈধকরণ ও ট্রেড লাইসেন্সের প্রক্রিয়া, আয়কর ও ভ্যাটবিষয়ক নিয়মাবলি এবং খাদ্য ও পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে ধারণা লাভ করেন।
বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান ৩২ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২৪ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষার প্রাথমিক প্রতিবেদন বলছে, দেশে প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। শিল্প খাতের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫ শতাংশ এসএমই খাতে। এই খাতে তিন কোটির বেশি জনবল কর্মরত আছেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
আইপিওর অর্থ এসএমইতে বিনিয়োগ করবে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক
পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ এসএমইতে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ ব্যয়ের জন্য সময় চায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আগামী ২০২৬ সালের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত আইপিও অর্থ ব্যয়ের সময়সীমা বাড়াতে চায় ব্যাংকটি।
বুধবার (৯ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, শেয়ারহোল্ডার, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের (যদি থাকে) অনুমোদন সাপেক্ষে, আইপিওর অবশিষ্ট পরিমাণ অর্থে ব্যবহার ২০২৬ সালের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ আরো অতিরিক্ত ২৪ মাস সময় বৃদ্ধি করা।
এছাড়া শেয়ারহোল্ডার, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের (যদি থাকে) অনুমোদন সাপেক্ষে ‘আনুমানিক আইপিও ব্যয়’ শিরোনামে অবশিষ্ট ৩১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২ টাকা এসএমই বিনিয়োগ শিরোনামে স্থানান্তর করা।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি পুঁজিবাজার থেকে আইপিও’র মাধ্যমে ৪২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। সংগহীত অর্থ দিয়ে ব্যাংকটি এসএমই, সরকারি সিকিউরিটিজ ও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের ব্যয় নির্বাহ করবে বলে জানায়।
ঢাকা/এনটি/