ট্রুডো ও সোফি: জীবন থেমে থাকে না, হৃদয় আবার ডাকে
Published: 6th, August 2025 GMT
জাস্টিন ট্রুডো যখন রাজনীতিতে আসেন, তখন থেকেই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। বিশেষ করে তাঁর স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল অনেকের কাছে এক আদর্শ প্রেমের গল্প। কিন্তু ২০২৩ সালের আগস্টে তাঁদের বিচ্ছেদের ঘোষণায় অনেকেই বিস্মিত হন। কারণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের তুমুল প্রেমময় ছবি, সন্তানদের হাস্যোজ্জ্বল মুখ দেখে ভক্তরা ধারণা করেছিলেন, এমন জুটির ভাঙন কখনো সম্ভব নয়। হাতে হাত রেখে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাটাবেন তাঁরা। কিন্তু মানুষ ভাবে এক, হয় আর এক।
‘এক বৈশাখে দেখা হল দুজনার/ জ্যৈষ্ঠিতে হল পরিচয়/ আসছে আষাঢ় মাস মন তাই ভাবছে/ কি হয় কি হয়!’
ট্রুডো ও সোফির প্রথম দেখা বৈশাখ মাসে হয়তো হয়নি। তাঁদের দেখা হয়েছিল শৈশবে। সোফি ছিলেন ট্রুডোর ছোট ভাই মিশেলের স্কুলের সহপাঠী ও বন্ধু। এই সূত্রে ট্রুডো পরিবারে যাতায়াত ছিল সোফির। সে সময় তাঁদের মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। তাঁদের প্রেমের সূত্রপাত হয় অনেক বছর পরে, ২০০৩ সালে, যখন তাঁরা একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ট্রুডোর বয়স তখন ৩১, আর সোফির ২৮।
সোফি তখন একজন টেলিভিশন ও রেডিও উপস্থাপক। ট্রুডো ছিলেন একজন শিক্ষক ও বক্তা। সেই অনুষ্ঠানে তাঁদের মধ্যে এক গভীর সংযোগ তৈরি হয়। সোফি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ট্রুডোর সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি যেন তাঁর ‘আত্মার আয়না’ দেখতে পাচ্ছিলেন। ট্রুডোও সোফির বুদ্ধিদীপ্ত, প্রাণবন্ত উপস্থিতি ও সামাজিক সচেতনতায় মুগ্ধ হয়েছিলেন। দ্রুতই তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। ২০০৪ সালের অক্টোবরে সোফিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ট্রুডো। সোফি সানন্দে রাজি হন।
জাস্টিন ট্রুডো ও সোফি গ্রেগোয়ার.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নেপালে তুষারধসে ৭ পর্বতারোহীর মৃত্যু
নেপালে একটি পর্বতের বেস ক্যাম্পে তুষারধসে তিনজন ইতালীয়সহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের দেহাবশেষ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার এক অভিযান সংগঠন এ তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার সকালে ৫ হাজার ৬৩০ মিটার উঁচু ইয়ালুং রি শৃঙ্গের বেস ক্যাম্পে ১২ জনের একটি দল তুষারধসের কবলে পড়ে।
অভিযান সংগঠক ড্রিমার্স ডেস্টিনেশনের ফুরবা তেনজিং শেরপা এএফপিকে জানিয়েছেন, দুই নেপালিসহ একজন জার্মান এবং একজন ফরাসি পর্বতারোহীও মারা গেছেন।
উদ্ধার অভিযানের জন্য সোমবার তুষারধস স্থানে পৌঁছানো শেরপা বলেন, “আমি সাতজনের মৃতদেহই দেখেছি।”
শেরপার কোম্পানি সাতজনের মধ্যে তিনজনের জন্য অভিযান পরিচালনা করেছিল।
দোলখা জেলার একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জ্ঞান কুমার মাহাতো জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে দুই ফরাসি এবং দুই নেপালিসহ পাঁচজন বেঁচে থাকা পর্বতারোহীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আজ ভোরে হেলিকপ্টারে করে উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।”
মাউন্ট এভারেস্টসহ বিশ্বের ১০টি সর্বোচ্চ শৃঙ্গের মধ্যে আটটি অবস্থিত নেপালে। এখানে প্রতি বছর শত শত পর্বতারোহী এবং ট্রেকাররা ভ্রমণ করেন।
ঢাকা/শাহেদ