ইবি শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে জবিতে মানববন্ধন
Published: 6th, August 2025 GMT
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহকে শ্বাসরোধ করে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন মিল্লাতিয়ানস সোসাইটি অব জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৬ আগস্ট) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেয় সংগঠনটির নেতাকর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা ‘তুমি কে আমি কে, সাজিদ সাজিদ’, ‘আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
আরো পড়ুন:
ইবি শিক্ষার্থী সাজিদ হত্যা: তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি
নেত্রকোনায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সাজিদকে হত্যা করে ঘটনাকে পানিতে ডুবে মৃত্যু হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যর্থতার বড় উদাহরণ। স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তারা আরো বলেন, ইবি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি প্রাঙ্গণ সিসিটিভির আওতায় আনা ও নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করতে হবে। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।
মিল্লাতিয়ানস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, “গত ১৭ জুলাই সাজিদকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে, যা আমাদের গভীরভাবে মর্মাহত করেছে। যদি ইবি প্রশাসন তালবাহানা করে, তবে সেটি তাদের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে।”
সভাপতি তারেকুল ইসলাম বলেন, “আজ আমরা কোনো ব্যক্তির পক্ষ অবলম্বন করছি না, দাঁড়িয়েছি একজন শহীদ ভাইয়ের হত্যার বিচার দাবিতে। একজন সন্তানহারা মায়ের সন্তানের খুনের বিচার চাই। আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
গত ১৭ জুলাই বিকেলে শাহ আজিজুর রহমান হল পুকুর থেকে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের ও তামিরুল মিল্লাত মাদরাসার সাবেক শিক্ষার্থী সাজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ৩ আগস্ট প্রাপ্ত ভিসেরা রিপোর্টে সাজিদকে শ্বাসরোধ করা হত্যা করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়। তার মৃত্যুর সময় ছিল ১৬ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা (আনুমানিক)।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য ইসল ম তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসু নেতার প্রবীণ ব্যক্তিকে লাঠি হাতে শাসানো নিয়ে সমালোচনা-বিতর্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডাকসুর এক নেতার একজন প্রবীণ ব্যক্তিকে লাঠি হাতে শাসানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্য সর্বমিত্র চাকমা ওই ব্যক্তিকে লাঠি হাতে শাসাচ্ছেন এবং ক্যাম্পাস থেকে চলে যেতে বলছেন। ভিডিওতে আরও দেখা যায়, প্রক্টরিয়াল টিমের একজন সদস্য ওই ব্যক্তির ব্যাগে লাঠি দিয়ে কয়েকবার আঘাত করছেন।
গত মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা। অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবীণ এক ব্যক্তির সঙ্গে এমন আচরণের প্রতিবাদ জানান। আবার কেউ কেউ এ ঘটনার পক্ষে অবস্থান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সর্বমিত্র চাকমা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যে বৃদ্ধ লোকটিকে দেখছেন, আমি শুরুর দিন থেকে এই লোককে সেই মেট্রোস্টেশন থেকে তুলছি প্রতিরাতে। লোকটা ক্যাম্পাস ছেড়ে যায়-ই না, ওনার সাথে আরেকজন আরও বৃদ্ধ, উনিও মাদকাসক্ত। এই লোকের কাছে এর আগে একবার গাঁজা পাওয়া গেছিল। এই লোকগুলোকে তোলাটা অত্যন্ত কঠিন, তুললে আগায় ৪ কদম। তাই লাঠিসোঁটা ছাড়া বা ভয়-ভীতি প্রদর্শন না করে তাদের তোলা যায়–ই না।’
ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এ বি জুবায়ের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে সর্বমিত্র যেই মুরুব্বিকে লাঠি হাতে শাসাচ্ছে, তিনি একজন মাদক কারবারি। বেশভূষা দেখে বোঝার উপায় না থাকলেও সত্য হচ্ছে, তিনি ক্যাম্পাস এরিয়ায় মাদক কারবারের সাথে জড়িত। তাকে বারবার উঠিয়ে দেওয়া হলেও তিনি ক্যাম্পাস এরিয়া ছাড়ছেন না। কারণ, এইখানে তার মাদকের কারবার! সর্বমিত্রের নিজেই লাঠি হাতে নিয়ে মুরুব্বিকে শাসানোর এই অ্যাপ্রোচকে আমি ঠিক মনে করি না। প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে ব্যাপারটা আরও সুন্দর হতো।’
ঘটনার সমালোচনা করেছেন ছাত্রদলের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইব্রাহিম হোসেন। ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘বাবা, তুমি একটু শান্ত হও, তার হাঁটুর বয়সও হয়নি তোমার। ক্ষমতা পাইছ, তার মানে এই না যে অপব্যবহার করবে। সেদিন তো ছবি তোলা নিয়ে কত জ্ঞান দিলেন—মবের ছবি তোলা নিষিদ্ধ, আজকে কে যেন ভুলে ভিডিও করছে।’