বরিশালে স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার আন্দোলনে হামলার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে গেলে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে হাসপাতালের কর্মচারীদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এদিকে হাসপাতালে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে চিকিৎসক-কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

আজ রোববার বেলা একটায় নগরের সদর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে স্বাস্থ্যসেবা সংস্কারসহ চার দফা দাবিতে ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে গেলে প্রধান ফটকে থামিয়ে দেয় পুলিশ। পরে সেখানে শিক্ষার্থীরা হামলার বিচার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় বিক্ষোভকারী ব্যক্তিদের হাতে লাঠি দেখা যায়।

আরও পড়ুনবরিশালে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার আন্দোলনের সংগঠক মহিউদ্দিনসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ১৫ আগস্ট ২০২৫

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা হাসপাতালের সামনে এলে মূল ফটক আটকে দেওয়া হয়। এ সময় তাঁরা ছাত্রদের অনশনে হামলাকারী ব্যক্তিদের বিচারের জন্য আশ্বাস চেয়ে হাসপাতাল পরিচালককে এক ঘণ্টার সময়সীমা দেন। এতে হাসপাতালের কর্মচারী ও বিক্ষোভকারী ব্যক্তিদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে একজন ইন্টার্ন চিকিৎসকের হাসপাতাল ফটকে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীরা ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং কয়েকজন চিকিৎসক-কর্মকর্তা হাসপাতাল পরিচালকের কাছে গিয়ে তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা জানান। পরিচালক এ সময় সাধারণ রোগীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে ধর্মঘটে না যাওয়ার অনুরোধ করেন এবং আগামীকাল সোমবার সকাল ১০টায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সভা আহ্বান করেন। সেখানে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলে ক্ষুব্ধ চিকিৎসক-কর্মচারীরা তাঁদের সিদ্ধান্ত আগামীকাল ১০টা পর্যন্ত স্থগিত করেন। এই উত্তেজনার মধ্যেই সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বেলা পৌনে তিনটার দিকে বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা বিক্ষোভ করে হাসপাতাল এলাকা ত্যাগ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে আসেন। সেখানে তাঁরা এক ঘণ্টা অবস্থান করে দাবির পক্ষে স্লোগান দেন। পরে আন্দোলনের সংগঠক মহিউদ্দিন রনি আগামীকাল সকালে নগরের আমতলা মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে কর্মসূচি শেষ করেন।

বিক্ষোভের একপর্যায়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল র স মন

এছাড়াও পড়ুন:

ফুল দিতে আসা একজনকে ফেরত পাঠাল পুলিশ, আরেকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেল

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভেঙে দেওয়া বাড়িতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়া এক নারীকে ফেরত পাঠিয়েছে পুলিশ। আরেকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বিধ্বস্ত বাড়িতে ফুল দিতে এসে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় সালিনা বেগম নামে এক নারীর। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাসিন্দা এই নারী নিজেকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের কর্মী পরিচয় দেন।

সালিনা বেগম বলেন, ‘আজকে ১৫ আগস্ট। এই বাড়িতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। এটা বঙ্গবন্ধুর বাড়ি। আমি ফুল দিয়াই যামু। আমি আপনাদের কাছে হেল্প চাই। আমাকে হেল্প করুন।’ পুলিশ সদস্যরা সালিমা বেগমকে বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বন্ধ আছে। এ মুহূর্তে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।

পুলিশের সঙ্গে বাগ বিতণ্ডার একপর্যায়ে সালিমা বেগমের হাতে থাকা ফুল সেখানে উপস্থিত থাকা স্থানীয় কয়েকজন মাটিতে ফেলে দেন। পরে পুলিশ সালিমা বেগমকে রিকশায় বাড়ি পাঠিয়ে দেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত লালমাটিয়া থানা ছাত্রদলের সদস্য তামজিদ ইসলাম বলেন, ওই নারী ভাইরাল হওয়ার জন্য এসেছেন। আওয়ামী লীগের সত্যিকার কর্মী হলে তিনি আসতেন না। দলটির বড় নেতারাও পালিয়ে আছেন। ওই নারী বারবার বলছিলেন, হাসিনা খুন করেননি। তখনই উত্তেজিত জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর হাতে থাকা ফুল ফেলে দেয়। একপর্যায়ে তাঁকে বুঝিয়ে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কোনো বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হয়নি বলে তিনি জানান।

পুলিশ ফুল দিতে আসা এই নারীকে রিকশায় তুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নেশার টাকা না পেয়ে যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও, ধস্তাধস্তিতে বাবার হাতে খুন
  • জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হল থেকে মেয়াদোত্তীর্ণদের সরাতে অভিযান, বিক্ষুব্ধদের প্রতিবাদ
  • নোয়াখালীতে সাবেক যুবলীগ নেতার বাড়িতে আগুন
  • বাতিল ঘোষণা করা ‘পোষ্য কোটা’ ভিন্ন নামে ফিরছে, তবে যুক্ত হচ্ছে শর্ত
  • ফুল দিতে আসা একজনকে ফেরত পাঠাল পুলিশ, আরেকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেল