বরিশালে বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা, কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি চিকিৎসক-কর্মচারীদের
Published: 17th, August 2025 GMT
বরিশালে স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার আন্দোলনে হামলার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে গেলে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে হাসপাতালের কর্মচারীদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এদিকে হাসপাতালে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে চিকিৎসক-কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
আজ রোববার বেলা একটায় নগরের সদর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে স্বাস্থ্যসেবা সংস্কারসহ চার দফা দাবিতে ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে গেলে প্রধান ফটকে থামিয়ে দেয় পুলিশ। পরে সেখানে শিক্ষার্থীরা হামলার বিচার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় বিক্ষোভকারী ব্যক্তিদের হাতে লাঠি দেখা যায়।
আরও পড়ুনবরিশালে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার আন্দোলনের সংগঠক মহিউদ্দিনসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ১৫ আগস্ট ২০২৫প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা হাসপাতালের সামনে এলে মূল ফটক আটকে দেওয়া হয়। এ সময় তাঁরা ছাত্রদের অনশনে হামলাকারী ব্যক্তিদের বিচারের জন্য আশ্বাস চেয়ে হাসপাতাল পরিচালককে এক ঘণ্টার সময়সীমা দেন। এতে হাসপাতালের কর্মচারী ও বিক্ষোভকারী ব্যক্তিদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে একজন ইন্টার্ন চিকিৎসকের হাসপাতাল ফটকে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীরা ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং কয়েকজন চিকিৎসক-কর্মকর্তা হাসপাতাল পরিচালকের কাছে গিয়ে তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা জানান। পরিচালক এ সময় সাধারণ রোগীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে ধর্মঘটে না যাওয়ার অনুরোধ করেন এবং আগামীকাল সোমবার সকাল ১০টায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সভা আহ্বান করেন। সেখানে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলে ক্ষুব্ধ চিকিৎসক-কর্মচারীরা তাঁদের সিদ্ধান্ত আগামীকাল ১০টা পর্যন্ত স্থগিত করেন। এই উত্তেজনার মধ্যেই সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বেলা পৌনে তিনটার দিকে বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা বিক্ষোভ করে হাসপাতাল এলাকা ত্যাগ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে আসেন। সেখানে তাঁরা এক ঘণ্টা অবস্থান করে দাবির পক্ষে স্লোগান দেন। পরে আন্দোলনের সংগঠক মহিউদ্দিন রনি আগামীকাল সকালে নগরের আমতলা মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে কর্মসূচি শেষ করেন।
বিক্ষোভের একপর্যায়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল র স মন
এছাড়াও পড়ুন:
বাসে প্রবাসীকে অজ্ঞান করে টাকা-মুঠোফোন লুট, লাগেজ নিতে গিয়ে পড়লেন ধরা
দুবাইপ্রবাসী এ আর হোসেন ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। পাশে বসা যাত্রী তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতা শুরু করেন। একপর্যায়ে জুস খাওয়ার অনুরোধ করেন। সরল মনে কোনো সন্দেহ না করে ওই জুস পান করেন হোসেন। অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাঁর মানিবাগ, মুঠোফোন, স্বর্ণালংকার চুরি করে নেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে নওগাঁগামী একতা পরিবহনের বাসে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী এ আর হোসেনের বাড়ি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রামে। দুবাই থেকে ঢাকায় নেমে তিনি গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। বাসে তাঁর পাশের আসনের যাত্রী ছিলেন অজ্ঞান পার্টির সদস্য আরমান হোসেন। তাঁর বাড়ি নরসিংদী জেলায়। পুলিশ আরমানকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বাসের স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ আর হোসেন দুবাই থেকে গতকাল সকালে ঢাকায় পৌঁছান। বেলা ১১টার দিকে তিনি গ্রামের বাড়ি আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে উত্তরা থেকে একতা পরিবহনের বাসে ওঠেন। বাসে পাশের আসনে বসা যাত্রী আরমান হোসেনের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। একপর্যায়ে বগুড়ার শেরপুরের আগে আরমান বোতল বের করে তাঁকে জুস খাওয়ার প্রস্তাব দেয়। ওই জুস খাওয়ার পর হোসেন অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
এ আর হোসেন বলেন, ‘আমার নামার কথা ছিল বগুড়া-নওগাঁ সড়কের চৌমুহনী মোড়ে। কিন্তু অচেতন হয়ে থাকায় বাসের সর্বশেষ গন্তব্যস্থল নওগাঁ বাসস্ট্যান্ডে চলে আসি। এখানে আসার পর পাশে বসা ওই যাত্রী ও বাসের সুপারভাইজার আমাকে বাস থেকে নামান এবং মুখ-চোখে পানি দেন। চেতনা ফেরার পরই আমি পাশের সিটের যাত্রীকে ধরে ফেলি। পরে অন্য যাত্রীদের সহযোগিতায় তাঁর কাছ থেকে আমার চুরি হওয়া টাকা, মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করি। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বাসের লকারে থাকা আমার ব্যাগ নেওয়ার। ওই ব্যাগে আরও কিছু মূল্যবান জিনিস ছিল।’
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, অজ্ঞান পার্টির সদস্য সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।