আকবরের শেষ ওভারে ৫ ছক্কা, হংকংয়ের কাছে হার বাংলাদেশের
Published: 9th, November 2025 GMT
ম্যাচের শেষ ৩ বলে স্বাগতিক হংকংয়ের দরকার ছিল ১৭ রান। বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলীর তিনটি বলেই ছক্কা মেরে দিলেন আইজাজ খান। একই ওভারে আইজাজ ছক্কা মেরেছেন প্রথম দুই বলেও।
লাগাতার ছক্কা হজমের মধ্যেই আকবর দিয়েছেন দুটি ওয়াইড। সব মিলিয়ে ম্যাচের শেষ ওভারে ৫ ছক্কাসহ ৩২ রান হজম করে ম্যাচটা হেরে গেল বাংলাদেশ।
সিক্স–এ–সাইড টুর্নামেন্ট হংকং সিক্সেসে এটি ছিল প্লেট পর্বের ফাইনাল। কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যাওয়া চার দলের মধ্যকার স্থান নির্ধারণী এই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ১ উইকেটে।
হংকংয়ের মিশন রোড গ্রাউন্ডে টসে হারা বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ৬ ওভারে ৫ উইকেটে তোলে ১২০ রান।
অধিনায়ক আকবর ১৩ বলে উপহার দেন ৫১ রানের ঝোড়ো ইনিংস। ৭ ছক্কা ও ১ চারের ইনিসংটি শেষ হয় রানআউটে। অন্যদের মধ্যে আবু হায়দার ৮ বলে ৪ ছক্কা ও ১ চারে ২৮, জিশান আলম ৭ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ২৭ রান করেন।
রান তাড়ায় হংকংকে একাই টেনেছেন আইজাজ খান। শেষ ওভারে আকবরকে পাঁচ ছক্কা মারা এই ব্যাটসম্যান ২১ বলে ৮৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ছক্কা মেরেছেন ১১টি, চার ৪টি।
১২ দলের টুর্নামেন্টে আজ মোট তিনটি ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্রুপ পর্বের খেলায় তৃতীয় হওয়া চার দল খেলেছে বোল পর্বে। আরব আমিরাত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভারতকে নিয়ে হওয়া এই পর্বে বোল ফাইনাল জিতেছে শ্রীলঙ্কা, রানার্সআপ সংযুক্ত আরব আমিরাত।
গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করেছে, কিন্তু সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি—এমন চার দল নিয়ে হয়েছে প্লেট পর্ব। এই অংশে বাংলাদেশ দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে এবং হংকং আফগানিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ হয়েছে প্লেট রানার্সআপ।
আর পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও কুয়েতের মধ্যকার কাপ পর্বে ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান ও কুয়েত। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের ৩ উইকেটে ১৩৫ রান তাড়া করতে নেমে কুয়েত ৩.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এক সময় ছিলেন এক গুরুর শিষ্য, দ্বন্দ্বে জড়িয়ে খুন দুজনই
বিদেশে বসে চট্টগ্রামের অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করেন সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদ। চাঁদাবাজি, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে তাঁর ডানহাত হিসেবে কাজ করতেন ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন বাবলা ও আকবর আলী ওরফে ঢাইকাইয়া আকবর। ১০ বছর আগে সাজ্জাদের দল থেকে বেরিয়ে নিজেরাই পৃথক দল গড়ে তুলেছিলেন তাঁরা। প্রায় ছয় মাসের ব্যবধানে দুজনই খুন হলেন। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠায় নিজের এক সময়কার দুই শিষ্যকে সরিয়ে দিয়েছেন সাজ্জাদ আলী।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নগরের পাঁচলাইশ চালিতাতলী এলাকায় বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগের সময় ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন বাবলার ঘাড়ে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর আগে ২৩ মে আরেক শিষ্য আকবর আলী ওরফে ঢাকাইয়া আকবরকেও গুলিতে খুন হন।
পুলিশ জানায়, চাঁদা না পেলেই গুলি ছোড়েন সাজ্জাদের অনুসারীরা। নগরের চান্দগাঁও, বায়েজিদ বোস্তামী ও পাঁচলাইশ এবং জেলার হাটহাজারী, রাউজানসহ পাঁচ থানার পাঁচ লাখের বেশি মানুষকে সাজ্জাদের বাহিনীর কারণে আতঙ্কে থাকতে হয়। ৫ আগস্টের পর থেকে নগর এ জেলায় জোড়া খুনসহ ১০টি খুনে সাজ্জাদের অনুসারীদের নাম উঠে এসেছে। তাঁরা কখনো আধিপত্য বজায় রাখতে নিজেদের প্রতিপক্ষকে খুন করছেন, আবার কখনো ভাড়াটে খুনি হিসেবেও ব্যবহার হয়েছেন। তবে বিদেশে পলাতক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
যেভাবে উত্থান বড় সাজ্জাদের
নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর চালিতাতলী এলাকার আবদুল গণি কন্ট্রাক্টরের ছেলে সাজ্জাদ আলী। ১৯৯৯ সালের ২ জুন পাঁচলাইশ ওয়ার্ড তৎকালীন কাউন্সিলর লিয়াকত আলী খান বাড়ির সামনে খুন হন। লিয়াকত হত্যায় সাজ্জাদ জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ থাকলেও কেউ আদালতে সাক্ষ্য না দেওয়ায় ওই হত্যা মামলা থেকে তিনি খালাস পেয়ে যান। লিয়াকত হত্যার পর অপরাধজগতে সাজ্জাদের নাম ছড়িয়ে পড়ে।
২০০০ সালের ১২ জুলাই। মাইক্রোবাসে করে একটি দলীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ছাত্রলীগের ছয় নেতা-কর্মী। পথে বহদ্দারহাটে ওই মাইক্রোবাস থামিয়ে ব্রাশফায়ার করে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাস্থলেই ওই ছয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ আটজন মারা যারা যান। ‘এইট মার্ডার’ নামে পরিচিত আলোচিত ওই হত্যাকাণ্ডে সাজ্জাদ নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ ওঠে। ২০০০ সালের ১ অক্টোবর একে-৪৭ রাইফেলসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বড় সাজ্জাদ। ২০০৪ সালে জামিনে বেরিয়ে বিদেশে পালিয়ে যান।
বড় সাজ্জাদের সহযোগী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ