মাসের প্রথম ১৮ দিনে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে ৩১ শতাংশ
Published: 21st, November 2025 GMT
চলতি নভেম্বরে প্রবাসী আয়ের গতি বেড়েছে। প্রথম ১৮ দিনে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে। এই আয় গত বছরের নভেম্বরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি। গত বছরের নভেম্বরে প্রথম ১৮ দিনে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৪৬ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ১ হাজার ২০৫ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। গত বছরের এই সময়ে রপ্তানি আয় এসেছিল ১ হাজার ৪০ কোটি ডলার। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত প্রবাসী আয় বেড়েছে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে দেশে মোট ৩ হাজার ৩৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। তার আগের ২০২৩–২৪ অর্থবছরে এসেছিল ২ হাজার ৩৯১ কোটি ডলারের প্রবাসী আয়। গত দুই মাসে আড়াই বিলিয়ন ডলার করে প্রবাসী আয় এসেছে।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রবাসী আয়ের ঊর্ধ্বমুখী ধারা স্থানীয় টাকার মান স্থিতিশীল রাখা ও আমদানি ব্যয় মেটানোয় সহায়তা করাসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ভালো থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকে এখন বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ বেড়ে সম্প্রতি ৩২ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার ছাড়ায়। তবে বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ ৩১ বিলিয়ন ডলার।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চার মাসে শুল্ক–কর আদায়ে ঘাটতি ১৭ হাজার কোটি টাকা
চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) শুল্ক-কর আদায়ে ঘাটতি ১৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
শুল্ক-কর আদায় প্রতিবারের মতো এবারও পিছিয়ে পড়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআরের হিসাব অনুসারে, গত জুলাই-অক্টোবর সময়ে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৯৭ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা। এ সময়ে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হয়েছে ১৭ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের হালনাগাদ চিত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
চলতি অর্থবছর এনবিআরকে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায়ের লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ১৫ শতাংশ। আগের বছর একই সময়ে (জুলাই-অক্টোবর) ১ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা।
আলোচ্য সময়ে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি হয়েছে আয়কর খাতে। চার মাসে ঘাটতি হয় ৯ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা। এই খাতে আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৪৭ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। এ সময়ে আদায় হয়েছে ৩৭ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা।
আমদানি খাতে চার মাসে ৪১ হাজার ৫০৭ কোটি টাকার লক্ষ্যের বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩৪ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। এই খাতে ঘাটতি হয়েছে ৬ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা।
গত জুলাই-অক্টোবরে ভ্যাট বা মূসক আদায়েও লক্ষ্য পূরণ হয়নি। এই খাতের লক্ষ্য ছিল ৪৮ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। ভ্যাট আদায় হয়েছে ৪৬ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা। এ সময়ে এই খাতে ঘাটতি ১ হাজার ২৬৯ কোটি টাকা।
এনবিআরের কর্মকর্তা বলছেন, ব্যবসা-বাণিজ্য শ্লথগতি থাকায় রাজস্ব আদায় তুলনামূলক কম হয়েছে। তবে বছরের শেষ দিকে রাজস্ব আদায়ে গতি বাড়বে বলে মনে করেন তাঁরা। তারা বলেন, করের আওতা বৃদ্ধি, কর পরিপালন নিশ্চিতকরণ, কর ফাঁকি প্রতিরোধ এবং ফাঁকি দেওয়া রাজস্ব পুনরুদ্ধার করার কাজ করছে এনবিআর।