ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে দুই দলের খেলোয়াড়দের চাপ অনুভব করা নতুন কিছু নয়। এবার গ্রুপ পর্বের খেলায় ভারতের ক্রিকেটাররা পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাত না মেলানোর জেরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তাতে আজকের সুপার ফোর পর্বের ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

ভারত ম্যাচের আগে তাই চাপ সামলাতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) দলে একজন মনোবিদ যুক্ত করেছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সামা টিভি এ খবর দিয়েছে।
সামা টিভি অনলাইন তাদের এক সূত্রের বরাতে লিখেছে, খেলোয়াড়দের মানসিক চাপ কমাতে এবং মাঠে শান্ত থাকতে সাহায্য করবেন মনোবিদ ডা.

রাহিল করিম।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ তাদের প্রতিবেদনে ডা. রাহিল সম্পর্কে লিখেছে, তিনি একজন অভিজ্ঞ মনোরোগবিশেষজ্ঞ। তিনি পাকিস্তানের বিভিন্ন কলেজে কনসালট্যান্ট সাইকিয়াট্রিস্ট ও সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইংল্যান্ডে সাইকিয়াট্রি ট্রেইনি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও নিয়োগপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

আজ ভারত পাকিস্তান ম্যাচ।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমতি ছাড়াই মেটার বিজ্ঞাপনে স্কুলশিক্ষার্থীদের ছবি

ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। মেটা তার বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিজ্ঞাপনে স্কুলছাত্রীদের ছবি ব্যবহার করছে বলে সমালোচনা চলছে। স্কুলগামী কিশোরী শিক্ষার্থীদের ছবি ব্যবহার করছে মেটা। জানা গেছে, এসব ছবি ৩৭ বছর বয়সী পুরুষদের লক্ষ্য করে বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক অভিভাবক বিষয়টিকে ভয়ানক ও বিব্রতকর বলে মনে করছেন।

দেখা গেছে, ৩৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে মেটার খুদে ব্লগ লেখার সাইট থ্রেডসে যোগ দেওয়ার বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা হচ্ছে। ইনস্টাগ্রামে এই বিজ্ঞাপন দেখা যায়। বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের পোস্টে ১৩ বছর বয়সী স্কুল ইউনিফর্ম পরা নারী শিক্ষার্থীর মুখ ও নাম দেখা যায়।

মেটা শিশুদের ছবি ব্যবহার করেছে; কারণ, তাদের অভিভাবকেরাই স্কুলে থেকে ফেরার পরে তোলা এসব ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন। অভিভাবকেরা অবশ্য মেটার বিজ্ঞাপনের নিয়ম জানতেন না। একজন মা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট করা ছিল। প্রাইভেট থাকার পরেও বিভিন্ন পোস্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে থ্রেডসে চলে গেছে। আরেক অভিভাবক জানান, তিনি তাঁর মেয়ের ছবিটি একটি পাবলিক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিলেন। সেই ছবি পরে অপরিচিত ব্যক্তির কাছে শিশুর ছবিসহ সাজেশন হিসেবে দেখানো হচ্ছিল। এসব ছবি দেখা এক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন, এমন পোস্ট উদ্দেশ্যমূলকভাবে উসকানিমূলক। এতে সংশ্লিষ্ট শিশু ও তাদের পরিবারকে শোষণ করা হয়েছে। বিভিন্ন ছবিতে থাকা ১৩ বছর বয়সী এক মেয়েশিশুর বাবা এই ঘটনাকে পুরোপুরি ভয়ানক বলে অভিহিত করেছেন। বিভিন্ন ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সব স্কুলছাত্রীই ছোট স্কার্ট পরে আছে। তাদের পা হয় উন্মুক্ত বা স্টকিং পরা সবাই। সেই বাবা জানান, আমার শেয়ার করা একটি ছবি ফেসবুকের মতো এমন একটি বিশাল কোম্পানি যৌনতাপূর্ণ উপায়ে পণ্যের বিপণনের জন্য ব্যবহার করেছে। বিষয়টি দেখে আমি খুবই বিরক্ত বোধ করেছি।

মেটা অবশ্য জানিয়েছে, এসব ছবি তাদের নীতি লঙ্ঘন করে না। মেটার ভাষ্যে, যেসব ছবি কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড ও মানদণ্ড মেনে জনসম্মুখে শেয়ার করা হয়, তা ব্যবহার করে অন্যদের থ্রেডস ভিজিট করার জন্য উৎসাহিত করা হয়। মেটার সিস্টেম কিশোর-কিশোরীদের মাধ্যমে শেয়ার করা থ্রেডস পোস্ট সুপারিশ করে না। যেসব ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, তা আসলে প্রাপ্তবয়স্কদের অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন দেখা এক ব্যক্তি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শুধু স্কুলছাত্রীদের ছবি দিয়েই প্রচারমূলক পোস্ট পাঠানো হচ্ছে। কোনো স্কুল ইউনিফর্ম পরা ছেলের ছবি দেখা যায়নি। এখানে যৌনতার একটি দিক আছে বলে মনে হচ্ছে।

১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীর মা জানান, আমার মেয়ের স্কুলে যাওয়ার একটি সাধারণ ছবি প্রকাশ করেছি। আমার কোনো ধারণাই ছিল না ইনস্টাগ্রাম থেকে তা নিয়ে প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। বিষয়টি অনেক জঘন্য। সে একজন নাবালিকা মাত্র। এ ধরনের কাজে কখনোই আমি সম্মতি দিতাম না। টাকার বিনিময়েও আমি স্কুল ইউনিফর্ম পরা মেয়ের ছবি দিয়ে অনলাইন মাধ্যমে লোক আকর্ষণ করার অনুমতি দিতাম না। যিনি এই অভিযোগ করেছেন সেই মায়ের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ২৬৭ জন ফলোয়ার আছেন। আর তাঁর সন্তানের পোস্টটি প্রায় ৭ হাজার ভিউ পেয়েছে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশই ফলোয়ার নয়। অর্ধেক দর্শক ৪৪ বছরের বেশি বয়সী ও ৯০ শতাংশই পুরুষ।

আরেকজন মা অভিযোগ করে বলেন, মেটা এমন কিছু করছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে। আমাদের কিছু না জানিয়ে এসব হচ্ছে। মেটা কনটেন্ট তৈরি করতে চায়। এটি খুবই ঘৃণ্য কাজ। থ্রেডসে বিজ্ঞাপনটি কে তৈরি করেছে? প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের জন্য মাধ্যমের প্রচারে শিশুদের ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে কেন?

মেটা জানিয়েছে, এ ধরনের পোস্টকে রেকমেন্ডেশন টুলের মাধ্যমে অন্যদের সামনে প্রদর্শন করা হচ্ছে। কোম্পানির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, শেয়ার করা ছবি আমাদের নীতি লঙ্ঘন করে না। এসব ছবি অভিভাবকেরা জনসমক্ষে পোস্ট করেছেন। আমাদের ব্যবস্থায় টিনএজারদের নিজেরা শেয়ার করা ছবি থ্রেডস পোস্টে সুপারিশ করা হয় না। ব্যবহারকারীরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন মেটা তাদের পাবলিক পোস্টকে ইনস্টাগ্রামে সুপারিশ করবে কি না।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনের থাকা ৩৭ বছর বয়সী ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী জানান, কয়েক দিন ধরে আমাকে থ্রেডসে যাওয়ার জন্য মেটার বিজ্ঞাপন বারবার দেখানো হয়। সেখানে শুধু অভিভাবকের পোস্ট করা স্কুল ইউনিফর্ম পরা মেয়েদের ছবি ছিল। কিছু ছবিতে তাদের নামও দেখা যাচ্ছিল। একজন বাবা হিসেবে, আমি মনে করি মেটার এ ধরনের পোস্ট প্রাপ্তবয়স্কদের লক্ষ্য করে প্রচারের জন্য উপযুক্ত নয়।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রকাশ্য থেকে গুপ্ত: ভেতর থেকে দেখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি
  • ডাকাতি হওয়া ২৩ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
  • বেতনের অর্ধেক যদি চলে যায় বাসা ভাড়ার পেছনে...
  • রাজনৈতিক ‘অস্ত্র’ না হয়ে প্রভাবমুক্ত হোক পুলিশ
  • গকসু নির্বাচন: জাহিদের প্রচারণায় সবুজের ডাক
  • রাকসুতে দুঃখ ঘোচাতে চায় ছাত্রদল, জয় ধরে রাখতে মরিয়া শিবির
  • শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের রাজনৈতিক মনস্তত্ত্ব
  • চুয়াডাঙ্গায় আবাসিক হোটেল থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার
  • অনুমতি ছাড়াই মেটার বিজ্ঞাপনে স্কুলশিক্ষার্থীদের ছবি