পূজা উপলক্ষে নাশকতা, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব প্রস্তুত : অধিনায়ক র্যাব-১১
Published: 25th, September 2025 GMT
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি পূজামণ্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পূজায় আগত ভক্ত ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাবের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
র্যাব-১১ অধিনায়ক লেঃ কঃ এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, “দুর্গাপূজায় সবার অংশগ্রহণ ও আনন্দ উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক আছি। পূজামণ্ডপ, আশেপাশের এলাকা এবং যাতায়াত ব্যবস্থা নিরাপদ রাখতে র্যাবের টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।”
এছাড়া পূজা উপলক্ষে যেকোনো নাশকতা, বিশৃঙ্খলা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব সদস্যরা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আমলাপাড়া পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা র্যাব-১১ এর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, র্যাবের সক্রিয় ভূমিকা পূজার আনন্দ উদযাপনকে আরও নির্ভেজাল ও শান্তিপূর্ণ করে তুলবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ য ব ১১
এছাড়াও পড়ুন:
দিনাজপুরে মেতেছে বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা
দিনাজপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিজয়া দশমীতে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী সিঁদুর খেলা।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর থেকে শহরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ও প্রতিমা বিসর্জন কেন্দ্রে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, শিশু ও প্রবীণ সবাই অংশ নেন এই আনন্দঘন উৎসবে।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন
বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জন, সদরঘাটে ভক্তদের ঢল
শঙ্খধ্বনি, ঢাক-ঢোলের তালে প্রতিমার সামনে একে অপরের মুখে, কপালে ও গালে সিঁদুর লেপন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ভক্তরা। লাল রঙে রঙিন হয়ে ওঠে চারপাশ, সৃষ্টি হয় এক অনিন্দ্যসুন্দর পরিবেশ। সিঁদুর খেলাকে কেন্দ্র করে শহরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।
দিনাজপুর শহরের বড় মণ্ডপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে একই দৃশ্য দেখা গেছে। প্রতিমা বিসর্জনের আগে এভাবেই মা দুর্গাকে বিদায় জানান ভক্তরা।
পণ্ডিতদের মতে, বিজয়া দশমীর সিঁদুর খেলা মূলত মা দুর্গাকে বিদায়ের আগে তাকে শুভকামনা ও আশীর্বাদ জানানোর একটি প্রতীকী রীতি। বিশেষত বিবাহিত নারীরা একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে স্বামীর দীর্ঘায়ু ও পরিবারের মঙ্গল কামনা করেন।
দিনাজপুর শহরের রাজবাটি, কালীতলা, বড় মণ্ডপসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ছিল এই উৎসবের প্রাণবন্ত আয়োজন। ছোট-বড় সবাই লাল সিঁদুরে রঙিন হয়ে একে অপরকে আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শেষ বিকেলে ঢাক-ঢোলের বাদ্য, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু হয়। দিনাজপুরে সিঁদুর খেলার এ উৎসব শুধু ধর্মীয় আবেগ নয়, বরং বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণের এক রঙিন প্রকাশ।
স্থানীয় পূজারী সুবর্ণা রায় বলেন, “মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে মন খারাপ লাগে। তবে সিঁদুর খেলা আনন্দের মধ্য দিয়ে সেই বিষাদকে কিছুটা কমিয়ে দেয়।”
অর্পিতা এক কলেজ ছাত্রী জানান, সারা বছর অপেক্ষা করি দুর্গাপূজার জন্য। আজকের দিনটা আবেগের, আবার আনন্দেরও। মা-কে বিদায় জানালেও সিঁদুর খেলায় মন ভরে যায়।
দিনাজপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, “সিঁদুর খেলা আমাদের সংস্কৃতির অংশ। এই খেলায় আমরা শুধু আনন্দই পাই না, বরং ঐক্যের বার্তাও ছড়িয়ে যায়।”
আরেক তরুণ ভক্ত রুবেল দেবনাথ বলেন, “সিঁদুর খেলা শুধু একটি আচার নয়, এটি আমাদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও আনন্দ ভাগাভাগি করার এক বিশেষ উপলক্ষ।”
ঢাকা/মোসলেম/মেহেদী