চোরাই মোবাইল উদ্ধার অভিযানে ৫ পুলিশ আহত, আটক ৩
Published: 8th, October 2025 GMT
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে চোরাই মোবাইল উদ্ধার অভিযানে হাওয়া হামলায় পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসভার শিবপাশা এলাকায় হামলা হয়।
আরো পড়ুন:
সীতাকুণ্ডে সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা
ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করে গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত আরো ৭০
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পৌর এলাকার নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত হিরন মিয়ার ছেলে রুমন মিয়া চুরি যাওয়া মোবাইল ব্যবহার করছেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য আসে। ৬-৭ জন পুলিশ সদস্য মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রুমনের বাড়িতে অভিযান চালান। এ সময় রুমন মোবাইলটি নিজের দাবি করে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতাণ্ডায় জড়ান।
একপর্যায়ে রুমনের ভাই মামুনসহ কয়েকজন নারী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এতে উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান (৩০), মাইনুল ইসলাম (৩২), এএসআই মোশারফ হোসেন (২৯), কনস্টেবল শাহ ইমরান (২৭) ও পল্টন চন্দ্র দাশ (২৫) আহত হন। তাদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক গুরুতর আহত কনস্টেবল শাহ ইমরানকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে অভিযান চালিয়ে রুমনের ভাই মামুনসহ তিনজনকে আটক করে।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মো.
ঢাকা/মামুন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত আটক সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
বান্দরবানের লামায় চাঁদাবাজির অভিযোগে এক কিশোরসহ তিনজন গ্রেপ্তার
বান্দরবানে লামা উপজেলার সরইয়ে গতকাল শনিবার রাতে চাঁদাবাজির অভিযোগে স্থানীয় লোকজন এক কিশোরসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশের হস্তান্তর করেছে।
এলাকার লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা গভীর রাতে এলাকায় গিয়ে একটি পরিবার থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। তিনজনই ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সদস্য হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন বলে আজ রোববার পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে চারজন তরুণ লামা-সুয়ালক সড়কের তংগোঝিরি ত্রিপুরাপাড়ায় যান। পাড়ায় বাগানের মালিক মাসাইয়া ত্রিপুরার কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে ধরে নিয়ে যাওয়ারও হুমকি দেন। এলাকাবাসী জড়ো হয়ে তিনজনকে আটক করেন এবং একজন পালিয়ে যান। আটকেরা হলেন বান্দরবান সদর ইউনিয়নের উজিমুখ হেডম্যাপাড়ার চ হ্রী মারমার ছেলে বুইক্য মারমা (৩৬), আলীকদমের রেফারফাড়ি এলাকার মেনওয়াই ম্রোর ছেলে মেনয়ুক ম্রো (৩৫) ও রাঙামাটি কাপ্তাইয়ের ১৪ বছরের এক কিশোর।
তংগোঝিরিপাড়ার কার্বারি (পাড়াপ্রধান) হানাসিং ত্রিপুরা জানিয়েছেন, পাড়ার মাসাইয়া ত্রিপুরা থেকে প্রথমে এক লাখ এবং পরে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে না পারলে ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন তাঁরা। এরপর এলাকার পাহাড়ি-বাঙালি মিলে তিনজনকে আটক করলেও একজন পালিয়ে যায়।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন, মাসাইয়া ত্রিপুরা বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেছেন। তিনজনই নিজেদের ইউপিডিএফের সদস্য পরিচয় দিয়েছেন। তবে মূল ইউপিডিএফ নাকি ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক তাঁরা বলেননি। তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।