রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
Published: 11th, October 2025 GMT
রাজধানীতে জনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, বিচারপতি ভবন, মাজার গেটসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
রবিবার (১২ অক্টোবর) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে। শনিবার (১১ অক্টোবর) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
একই ওড়নায় ঝুলছিল স্বামী-স্ত্রীর লাশ
চট্টগ্রামে পুলিশের অভিযানে ১৩ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
এতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬)-এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেট, মাজার গেট, জামে মসজিদ গেট, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ ও ২-এর প্রবেশ গেট, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনের সম্মুখে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায় ও প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে যখন-তখন সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বিঘ্ন না ঘটাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর জনশৃঙ্খলা বজায় ও প্রধান উপদেষ্টা ড.
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬-এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে বাংলাদেশ সচিবালয় ও সংলগ্ন এলাকা, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’ এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলো। এর মধ্যে রয়েছে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং এবং মিন্টো রোড ক্রসিং পর্যন্ত এলাকা।
এই এলাকাগুলোতে কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, শোভাযাত্রা ইত্যাদি আয়োজন করা যাবে না।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব চ রপত ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
‘বেগম খালেদা জিয়ার হার্ট ও চেস্টে ইনফেকশন হয়েছে’
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আবারো ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার হার্ট ও চেস্টে ইনফেকশন হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। রবিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে হাসপাতালের সামনে তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের একথা জানান।
এমএফ সিদ্দিকী বলেন, “গত কয়েক মাস ধরেই উনি খুব ঘন ঘন আক্রান্ত হচ্ছিলেন। আজকে আমরা যে কারণে এখানে (এভারকেয়ার হাসপাতালে) ভর্তি করিয়েছি সেটা হচ্ছে, উনার কতগুলো সমস্যা একসঙ্গে দেখা দিয়েছে। সেটা হচ্ছে, উনার চেস্টে ইনফেকশন হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬
ভূমিকম্পে হুড়োহুড়িতে আহত ২৯ শ্রমিক এখনো হাসপাতালে
‘উনার হার্টের সমস্যা আগে থেকেই ছিল। উনার হার্টে পারমানেন্ট পেসমেকার আছে এবং হার্টে উনার স্ট্যান্ডিং করা হয়েছিল, রিং পড়ানো হয়েছিল। তারপরেও উনার মাইট্রোস্টেনোসিস নামে একটা কন্ডিশন আছে, সেজন্য চেস্টে হওয়াতে উনার একসাথে হার্ট এবং ফুসফুস দুটোই এ্যাট এ টাইম আক্রান্ত হওয়াতে উনার খুব রেসপিরেটরি ডিস্ট্রেস হচ্ছিল। সেজন্য এখানে আমরা খুব দ্রুত ওনাকে নিয়ে এসেছি।”
বেগম খালেদা জিয়া ২৪ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন জানিয়ে এফএম সিদ্দিকী বলেন, “হাসপাতালে আনার পর আমরা তাৎক্ষণিকভাবে যে পরীক্ষাগুলো করা দরকার তা করেছি। আমরা প্রাথমিকভাবে যে রিপোর্ট পেয়েছি, সে অনুযায়ী মেডিকেল বোর্ডের সবাই বসে উনাকে এন্টিবায়োটিক দিয়েছি। উনাকে যেভাবে প্রাথমিক এবং জরুরি চিকিৎসা দেওয়ার দরকার ছিল সেটা দিয়েছি।”
“আশা করছি, ২৪ ঘন্টার মধ্যে আরো কিছু রিপোর্ট আসবে। উনি আমাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। আমরা মনে করছি, নেক্সট ১২ ঘণ্টায় উনার পরবর্তী পরিস্থিতি কী হয় সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই মুহূর্তে উনি আমাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা এবং মনিটরিংয়ের মধ্যে আছেন। কেবিনেই তিনি আছেন।”
এর আগে, রাত ৮টায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে আছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে নেওয়ার পরপর কিছু টেস্ট করা হয়। এরপর অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকাদারের সভাপতিত্বে মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে। এই বৈঠকে অধ্যাপক এফএস সিদ্দিকী, ডা. জাফর্ ইকবাল, ডা. জিয়াউল হক, ডা. মামুন আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইফুল ইসলাম এবং লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি ডা. জুবাইদা রহমান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে জনহোপকিংস হসপিটালের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অংশ নেন।
অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী বলেন, “মেডিকেল বোর্ডের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ম্যাডামের চিকিৎসা শুরু হয়েছে।”
অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, “আমরা বলতে চাই, ম্যাডামের জন্য ডেফিনেটলি সুচিকিসার ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করে নিবিড়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অত্যন্ত উৎকন্ঠিত কোনো বিষয় আমরা মনে করছি না।”
তিনি বলেন, “আমরা মনে করছি, উনার চিকিৎসাটা যদি এখন যেভাবে শুরু হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ তাহলে আগামী ১২ ঘণ্টার পর মেডিকেল বোর্ড আবার বসবেন। বসার পর পরবর্তী উনার স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে কি ধরনের চিকিৎসার পরিবর্তন আনা যায়, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা বোর্ড নেবেন।”
তিনি জানান, লন্ডন থেকে তারেক রহমান ও উনার সহধর্মিনী জুবাইদা রহমান তাদের ‘আম্মু’র ব্যাপারে সর্বাক্ষনিক যোগাযোগ রাখছেন। ম্যাডামের ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর সহধর্মিনী সৈয়দা শামিলা রহমান এখানেই আছেন, উনাদের আত্বীয়-স্বজনরা ম্যাডামের চিকিৎসার ব্যাপারে সবসময় সহযোগিতা ও খোঁজ-খবর রাখছেন।
বেগম খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন উল্লেখ করে জাহিদ জানান, ম্যাডাম আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
৭৯ বছর বয়েসী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
গত ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন। সূত্র: বাসস।
ঢাকা/মাসুদ