জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহসানুল হক
Published: 12th, October 2025 GMT
তিন সপ্তাহ শূন্য থাকার পর সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহসানুল হককে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
রবিবার (১২ অক্টোবর) তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ২৮ অগাস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীকে সরিয়ে দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। সেই জায়গায় সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো.
দায়িত্ব পালনকালে গণহারে জেলাপ্রশাসক বদলাতে গিয়ে বিপুল ‘আর্থিক লেনদেনের’ অভিযোগে সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছেন মোখলেসুর রহমান। তাকে সরানোর পর থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের পদটি খালিই ছিল।
এহসানুল হক ১৯৮২ বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা। ১৯৮৩ সালে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। ২০০১-০৬ সময়ে বিএনপি সরকারের আমলে তিনি জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব, ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭-০৮ সময়ে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গিনি-বিসাউয়ে ক্ষমতা দখল করল সেনাবাহিনী, প্রেসিডেন্ট গ্রেপ্তার
গিনি-বিসাউয়ের একদল সেনা কর্মকর্তা দেশটির ‘সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ’ নিজেদের হাতে নেওয়ার দাবি করেছেন। এর এক দিন আগে দেশটির প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই শীর্ষ প্রার্থীই নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন।
এই কর্মকর্তারা নিজেদের ‘হাই মিলিটারি কমান্ড ফর দ্য রিস্টোরেশন অব অর্ডার’ নামে পরিচয় দিয়েছেন। গতকাল বুধবার টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে তাঁরা জানান, দেশের নির্বাচনপ্রক্রিয়া “পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত” তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর যে কর্মকর্তা অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেই ডেনিস এন’কানহা প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান ছিলেন। যাঁর দায়িত্ব ছিল প্রেসিডেন্টকে রক্ষা করা, তিনিই প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করেছেন।নিকোলাস হক, আল-জাজিরার সংবাদদাতাএ ছাড়া সেনা কর্মকর্তারা দেশের সব স্থল, আকাশ ও জলসীমা বন্ধ ঘোষণা করেন এবং রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেন।
এই ঘোষণার আগে রাজধানী বিসাউয়ে নির্বাচন কমিশনের দপ্তর, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে টানা গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।
সেনা কর্মকর্তারা দেশের সব স্থল, আকাশ ও জলসীমা বন্ধ ঘোষণা করেন এবং রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেন। এর আগে রাজধানী বিসাউয়ে নির্বাচন কমিশনের দপ্তর, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে টানা গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।গত রোববার পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনে মুখোমুখি ছিলেন প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালো ও তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ফার্নান্দো দিয়াস।
‘আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে’, ফরাসি গণমাধ্যম ফ্রান্স২৪-কে ফোনে বলেন এমবালো। তিনি জানান, এখন তিনি ‘সেনাবাহিনীর প্রধান দপ্তরে’ আছেন।
গতকাল প্রতিবেশী সেনেগাল থেকে আল-জাজিরার নিকোলাস হক জানান, প্রেসিডেন্ট এমবালোকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রধান বিরোধী দল পিএআইজিসির নেতা ডোমিঙ্গোস সিমোয়েস পেরেইরাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান হক। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, সামরিক বাহিনী ইন্টারনেট বন্ধের চেষ্টা করছে। দেশে কারফিউ চলছে।’
আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে।উমারো সিসোকো এমবালো, গিনি-বিসাউয়ের প্রেসিডেন্টহক জানান, সেনাবাহিনীর যে কর্মকর্তা অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেই ডেনিস এন’কানহা প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান ছিলেন। যাঁর দায়িত্ব ছিল প্রেসিডেন্টকে রক্ষা করা, তিনিই প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করেছেন।’
প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে গোলাগুলির ঘটনার পর গাড়িতে তল্লাশি করছেন সেনাবাহিনীর সদস্য