গোল করেই চলছেন হলান্ড, সিটির জয়, বরখাস্ত পোস্তেকোগলু
Published: 18th, October 2025 GMT
ম্যানচেস্টার সিটি ২–০এভারটন
ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ ১৩ ম্যাচে ২৩ গোল!
অবিশ্বাস্য এই পরিসংখ্যান আর্লিং হলান্ডের। আন্তর্জাতিক বিরতিতে নরওয়ের হয়ে হ্যাটট্রিক পাওয়া হলান্ড আজ ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে করেছেন জোড়া গোল। নরওয়েজীয় তারকার এই ২ গোলেই আজ ইতিহাদে এভারটনকে ২-০ গোলে হারিয়েছে সিটি। আর এই জয়ে কয়েক ঘণ্টার জন্য হলেও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে উঠেছে পেপ গার্দিওলার দল।
আট ম্যাচে পঞ্চম জয় পাওয়া দলটির পয়েন্ট এখন ১৬। এক ম্যাচ কম খেলা আর্সেনালের পয়েন্টও ১৬। তবে দলটি পিছিয়ে আছে গোল ব্যবধানে। তবে আজ ফুলহামের কাছে না হারলেই আবার শীর্ষে উঠবে আর্সেনাল।
প্রথমার্ধে নিষ্প্রভ ছিলেন হলান্ড, সিটিও গোল পায়নি। বিরতির পর ৫৮ মিনিটে প্রথম গোলটি পেয়েছেন ২৫ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। নিকো ও’রাইলির ক্রসে জোরালো এক হেডে দলকে এগিয়ে দেন হলান্ড। ব্যবধান দ্বিগুণ হয়ে যায় ৫ মিনিট পরেই। এবার সাভিনিওর কাটব্যাক ধরে গোল করেছেন হলান্ড। বলটা অবশ্য এভারটন ডিফেন্ডার জেমস তারকোফস্কির শরীরের লেগে একটু দিক পরিবর্তন করেছিল।
হেডে গোল করছেন আর্লিং হলান্ড.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন হল ন ড
এছাড়াও পড়ুন:
ভাইকিং গোষ্ঠীপতির মৃতদেহ সৎকারের নৃশংস প্রথা
পৃথিবীতে নানা প্রান্তে, নানা গোষ্ঠীর মধ্যে মৃতদেহ সৎকারের আলাদা আলাদা প্রথা রয়েছে। কোনো কোনো প্রথা একেবারে নৃশংস। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভাইকিংদের গোষ্ঠীপতির মৃতদেহ সৎকারের প্রথা। গোষ্ঠীপতির মৃতদেহ সৎকারের সময় তার সঙ্গে ক্রীতদাসীর এমন মৃত্যু কার্যকর করা হতো- যা শুনলে চমকে যাবেন।
ভাইকিংরা ছিলেন মূলত জলদস্যু। এই শব্দটি এসেছে ‘ভিক’ শব্দ থেকে, যার অর্থ উপসাগর। ভাইকিংদের আদি নিবাস ছিলো উত্তর ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলে। যেটি বর্তমান সময়ের নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক পর্যন্ত বিস্তৃত। কালক্রমে তাঁরা ছড়িয়ে পড়েন ইউরোপের বিভিন্ন প্রান্তে। ইতিহাসবিদদের মতে, রাশিয়ানদের পূর্ব পুরুষ ছিলেন এই ভাইকিংরাই। খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকের শেষ থেকে দ্বাদশ শতক পর্যন্ত ভাইকিংরা জলপথে ইউরোপের দেশে-দেশে হামলা চালিয়ে কখনও লুটপাট করেছে। আবার কখনও বসতি গড়েছে নিজেদের জয় করা এলাকায়।
আরো পড়ুন:
শসা কখন খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়?
অনাথ আশ্রমে একটি বেদনা বেলা
ভাইকিংদের নিত্যদিনের কাজ ছিলো উত্তর মহাসাগর, উত্তর আটলান্টিক, বাল্টিক সাগর, নরওয়েজিয়ান সাগরের বুকে ভেসে চলা । শুরুর দিকের দুই শতাব্দী ভাইকিংরা ছিলেন প্যাগান অর্থাৎ বহু দেব দেবীর উপাসক। ভাইকিং মিথোলজি বেশ ঘটনাবহুল। তারা বিশ্বাস করতো গোষ্ঠীপতি মারা গেলে তার মৃতদেহের সঙ্গে ক্রীতদাসীর মৃতদেহ সৎকার করা হলে, মৃত্যুর পরেও মেয়েটি গোষ্ঠীপতির সেবা করতে পারবে।
ভাইকিংদের কোনো গোষ্ঠীপতি মারা গেলে তার জন্য একটি অস্থায়ী কবর তৈরি করা হতো। সেই কবরে মৃতদেহটি দশদিনের জন্য রাখা হতো। এই সময়ের মধ্যে গোষ্ঠীপতির জন্য নতুন পোশাক বানানো হতো। একইসাথে গোষ্ঠীপতির সঙ্গে দাহ করার জন্য কোনো ক্রীতদাসীকে প্রস্তুত করা হতো।
নির্ধারিত ক্রীতদাসীকে রাত-দিন পাহারায় রাখা হতো। আর প্রচুর পরিমাণে উত্তেজক পানীয় পান করানো হতো। এরপর যখন সৎকারের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতো। ওই দুর্ভাগা মেয়েটিকে একের পর এক গ্রামের সব তাবুর পুরুষের সঙ্গে মিলিত হতে হতো। পুরুষেরা মেয়েটিকে বলতো— “তোমার মনিবকে বলো যে, এটা তার প্রতি আমার ভালোবাসা থেকেই করলাম”!
মেয়েটিকে মেরে ফেলার আগমুহূর্তে ছয়জন ভাইকিং পুরুষ মেয়েটির সঙ্গে মিলিত হতে হতো। এরপরেই মেয়েটিকে দড়ি দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলা হতো। মৃত্যু নিশ্চিত করতে একেবারে শেষধাপে ভাইকিং গোত্রেরই মহিলা প্রধান তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করতেন।
এরপর সেই মেয়ে আর তার মনিবের মৃতদেহ একই কাঠের নৌকায় তুলে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হতো সেখানে। এটি করা হতো যাতে মেয়েটি পরকালে গোষ্ঠীপতির সেবা করতে পারে।
ভাইকিংরা আস্তে আস্তে খ্রিস্টান দেশগুলোর প্রভাবে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করতে থাকে। এবং নৃশংস প্রথা বন্ধ হয়ে যায়।
ঢাকা/লিপি