বিদেশ যেতে ঋণ না পেয়ে মাইক ভাড়া করে গালাগাল, ভিডিও ভাইরাল
Published: 19th, October 2025 GMT
কিশোরগঞ্জ হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পানান গ্রামের বাসিন্দা সারোয়ার হোসেন রাব্বি। অনেকদিন ধরেই বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে, বিদেশ যাত্রায় যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন, তা তার কাছে নেই।
বাধ্য হয়ে বিভিন্ন এনজিওসহ এলাকাবাসীর দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কেউ তাকে ঋণ দিয়ে সাহায্য করেননি। মানসিকভাবে ভেঙে পড়া এই ব্যক্তি ক্ষোভ থেকে মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসীকে গালাগাল করেছেন। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যেমে প্রচার হলে তা মুহূর্তে ভাইরাল হয়।
আরো পড়ুন:
১৬ দিন ধরে বন্ধ আটলংকা বাজারের ২০টি দোকান
৩ শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ, শিক্ষককে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
গত শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরের দিকে ৫০০ টাকায় মাইক ভাড়া করে এ কাণ্ড ঘটান রাব্বি। ফেসবুকে সেই ভিডিও নিজেই পোস্ট করেছেন তিনি।
ভিডিওতে রাব্বি অভিযোগ করেন, গত তিন-চার মাস ধরে সৌদি আরবে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এক লাখ টাকা জোগাড় করতে না পারায় তিনি যেতে পারছেন না। বিভিন্ন সমিতির কাছে লোনের আবেদন করলেও কেউ দেয়নি। উল্টো তার নামে এলাকার মানুষজন খারাপ কথা ছড়িয়েছে।
রাব্বি দাবি করেন, এলাকার কিছু মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে তার বিদেশযাত্রায় বাধা দিয়েছে। এজন্যই উত্তেজনার বশে তিনি মাইক ভাড়া করে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলেছেন।
অবশ্য, এরপর রাব্বি ভিডিওর ক্যাপশনে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, “প্রথমে ক্ষমা চাইছি- আমি অনেক খারাপ ভাষায় গালাগাল করেছি। আমি কেন এমন করেছি শুনুন।”
রাব্বি জানান, তিনি বিবাহিত, তার একটি ছোট ছেলে আছে। পরিবারের দেখাশোনা ও ছেলের ভবিষ্যৎ গড়ার আশায় বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
ভিডিওতে তিনি ভিসার কাগজ দেখিয়ে জানান, ভিসা ও মেডিকেলের মেয়াদ ৩০ অক্টোবর শেষ হবে। মানুষের কারণে আগে দুইবার ভিসা নষ্ট হয়েছে। বিদেশ যাওয়ার অর্থ জোগাড় করতে রাব্বি অটোরিকশা চালাচ্ছেন,পাশাপাশি বিকাশের কাজ করছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তাদের অনেকে ভিডিওটি দেখে কিছুটা অপমানিত ও বিস্মিত হয়েছেন। কেউ কেউ আবার রাব্বির মানসিক কষ্ট ও পারিবারিক চাপের প্রতি সহানুভূতিও প্রকাশ করেছেন।
ঢাকা/রুমন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
জয়েন্টের ব্যথা মানেই কি বাত? আর কী কী কারণে ব্যথা হতে পারে
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলাফেরা ও কাজকর্মে জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধির ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। নানা কারণে সন্ধিতে বা জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে। বেশির ভাগ মানুষ জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধির ব্যথা অনুভব করলেই ধরে নেন, হয়তো বাত হয়েছে। যদিও জয়েন্ট বা অস্থিসন্ধির ব্যথার একটি অন্যতম প্রধান কারণ হলো বাত, তবে সব ব্যথাই বাত নয়। অনেক ক্ষেত্রেই এই ব্যথার উৎস হতে পারে মাংসপেশি, টেন্ডন, বা স্নায়ুতন্ত্র।
সব জয়েন্টের ব্যথা বাত নয়প্রথমেই জানা দরকার, ‘বাত’ আসলে কোনো একক রোগ নয়। এটি মূলত আর্থ্রাইটিস বা গাঁটে প্রদাহের সাধারণ নাম, যার মধ্যে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, গাউটসহ আরও অনেক ধরনের রোগ অন্তর্ভুক্ত। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত জয়েন্ট ফুলে যায়, লালচে বা গরম অনুভূত হয় এবং নড়াচড়ায় ব্যথা বাড়ে। যেমন-
অস্টিওআর্থারাইটিস: বয়সজনিত কারণে জয়েন্টের ক্ষয় হলে বা ভেঙে গেলে দেখা দেয়।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস: এটি একটি অটোইমিউন রোগ, যেখানে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ভুল করে জয়েন্টে আক্রমণ করে।
জয়েন্টের আশপাশে ব্যথা সৃষ্টি হওয়ার আরও বেশ কিছু কারণ আছে—
টেন্ডিনাইটিস বা বার্সাইটিস: জয়েন্টের কাছের টেন্ডন (পেশি ও হাড়ের সংযোগকারী অংশ) বা বার্সা (জয়েন্টের ভেতরের তরল থলি)-তে প্রদাহ হলে ব্যথা হতে পারে।
আঘাত বা অত্যধিক ব্যবহার: খেলাধুলা বা অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে মাংসপেশি বা লিগামেন্টে টান লাগা।
অনেক সময় জয়েন্টের কাছাকাছি যে ব্যথা অনুভব হয়, তা আসলে সেই জয়েন্টের সমস্যা নয়, বরং স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা। নিউরোলজিক্যাল কারণে সৃষ্ট জয়েন্ট ব্যথার প্রধান উৎসগুলো হলো—
নার্ভ কম্প্রেশন: মেরুদণ্ড থেকে বেরিয়ে আসা কোনো স্নায়ু বা নার্ভে চাপ পড়লে (যেমন: কোমরে ডিস্ক প্রোল্যাপস বা সায়াটিকা) সেই ব্যথা বাহু বা পায়ে অবস্থিত জয়েন্ট পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। একে রেফার্ড পেইন বলে। উদাহরণস্বরূপ, ঘাড়ের নার্ভে চাপ পড়লে কাঁধ বা কনুইতে ব্যথা হতে পারে।
পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি: ডায়াবেটিস বা অন্যান্য কারণে হাত-পায়ের প্রান্তীয় স্নায়ুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে জয়েন্টে বা তার আশপাশে জ্বালাপোড়া, তীব্র ব্যথা বা অসারতা অনুভূত হতে পারে।
অন্যান্য স্নায়বিক রোগ: কিছু স্নায়বিক রোগ, যেমন ফাইব্রোমায়ালজিয়া, শরীরের বিভিন্ন অংশে বিশেষ করে জয়েন্টের চারপাশে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা সৃষ্টি করে।
করণীয় কী?যদি আপনার জয়েন্টের ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয়, সকালে বেশি থাকে, ফোলা থাকে বা এর সঙ্গে অসারতা বা ঝিনঝিন ভাব দেখা দেয়, তবে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিপদে না পড়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তিনি পরীক্ষা করে বাত নাকি স্নায়বিক কোনো সমস্যা, তা নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা দিতে পারবেন।
আরও পড়ুনসহজ এই ১২টি উপায় মানলে মস্তিষ্ক থাকবে চাঙা ও কর্মক্ষম১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫