ছাত্রলীগ কর্মী জিসান এখনও ওয়ার্ড সচিবের দায়িত্বে বহাল
Published: 22nd, October 2025 GMT
আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন জিসান এখনও সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড সচিব পদে বহাল রয়েছেন। এ নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
জানা গেছে, ইমরান হোসেন জিসান ছিলেন সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেত্রী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর ঘনিষ্ঠ নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনিরের পিএস।
একসময় তিনি দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আ.
ছাত্রলীগে যোগদানের পর মনিরুজ্জামান মনিরের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে তিনি বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজে প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি জন্ম নিবন্ধন ও টিসিবির পণ্য বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন এবং সরকারি সুবিধা বঞ্চিতদের পণ্য অন্যত্র বিক্রি করেছেন।
এছাড়া জুলাই-আগস্ট মাসে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় জিসান সরাসরি হামলায় অংশ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ৫ আগস্টের পরপরই তিনি নিজের রাজনৈতিক পরিচয় গোপন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শামীম ওসমানসহ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে থাকা সব ছবি মুছে ফেলেন।
একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে তার অংশগ্রহণের প্রমাণও মুছে দেন। পরবর্তীতে নিজেকে “ওয়ার্ড সচিব” পরিচয়ে উপস্থাপন করতে শুরু করেন তিনি।
এনিয়ে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা দাবি করেছেন, জুলাই আন্দোলনে জড়িত এবং বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত ইমরান হোসেন জিসানকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও সচিব পদ থেকে অপসারণ করা হোক।
এবিষয়ে জানতে ইমরান হোসেন জিসানের সাথে যোগাযোগ করলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইমর ন হ স ন জ স ন কর ছ ন আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
সাভারে বিউপি শিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ
সাভারে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিউপি) শিক্ষার্থীকে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে পৃথকভাবে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
আরো পড়ুন:
শিক্ষকদের ওপর হামলা হলে দায় সরকারের: আজিজী
ইবিতে বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ, নিরাপত্তা শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা
বিকেল ৪ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহ মোহাম্মদ ফয়সাল হোসাইন বলেন, “জুলাই পরবর্তী সময়ে আমরা এখনো আইনের শাসন ও শক্তিশালী বিচার বিভাগ নিশ্চিত করতে পারিনি। যারই ফলশ্রুতিতে দেশে অনবরত ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাভারে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার বিচার চাই। ধর্ষণের বিচারকার্য গতিশীল করতে দ্রুত বিচার আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। ধর্ষণের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরিও আবশ্যক।”
আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহম্মদ বাবর বলেন, “সাভারে বিউপি শিক্ষার্থী গণধর্ষণের প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। গত ১৭ বছরের বিচারহীনতার কারণে দেশে ধর্ষণ ও অন্যায়-অনিয়ম অব্যাহত ছিল। জাবিতে ছাত্রলীগের মানিক এবং কিছুদিন আগে মোস্তাফিজ ধর্ষণ করেছিল। জুলাই পরবর্তী সময়ে ইন্টেরিম সরকারের মাধ্যমে আমরা পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু এ সরকারও নারীদের নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার ও আইন-শৃঙ্খলা উন্নতি করতে পারেনি। আমরা চাই, অনতিবিলম্বে সাভারের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।”
অন্যদিকে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন, অস্বাভাবিক অগ্নিকাণ্ড এবং বিরাজমান অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে জাকসুর ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, “আমরা জানতে চাই, আর কত বোন ধর্ষিত ও নিপীড়িত হলে এই সরকার সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে যাবে? বিগত সময়ের ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ আমরা যখন কমিয়ে দিয়েছি, তখনই সরকার এ বিষয়ে শিথিল হয়ে পড়েছে। যদি ধর্ষণের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি দৃশ্যমান না হয়, তাহলে আমাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে। আমরা চাই আমাদের মা-বোনরা নিরাপদে নির্বিঘ্নে এ দেশে বসবাস করবেন। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন- এই দাবি জানাই।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী