জুলাই–পরবর্তী সময়েও ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের প্রাণ দিতে হয়েছে: ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক
Published: 26th, October 2025 GMT
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন বলেছেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ১৪২ জন শহীদ হয়েছেন। কিন্তু জুলাই–পরবর্তী সময়েও ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের প্রাণ দিতে হয়েছে।
আজ রোববার বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের মাঠে শাখা ছাত্রদলের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে নাছির এ কথা বলেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা হাসিবুল ইসলামের অকালমৃত্যু এবং জোবায়েদ হোসেনের ওপর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় নাছির উদ্দীন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্যকে (শাহরিয়ার আলম সাম্য) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। কয়েক দিন আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জোবায়েদকেও একই কায়দায় হত্যা করা হয়। পারভেজ (জাহিদুল ইসলাম পারভেজ) হত্যার পর প্রশাসন খুনিদের গ্রেপ্তার করতে গড়িমসি করেছিল। সাম্য হত্যার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাজনীতি হয়েছে। যে পরিমাণ প্রতিবাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে হওয়ার কথা ছিল, সেটা দেখা যায়নি।
নাছির আরও বলেন, ‘জোবায়েদ হোসেন হত্যার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে, এখনো রেখে যাচ্ছে। হাসিবের মৃত্যুর পর এবং জোবায়েদ হত্যার পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে ভূমিকা রাখা হয়েছে, তার জন্য ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
আলোচনা সভায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের দলে কিছু বিপথগামী সদস্য আছে, সেটা স্বীকার করেই আমরা রাজনীতি করি। কিছু বিপথগামী ছাড়া ছাত্রদলের সবাই নৈতিক চরিত্রের অধিকারী।’
রাকিব বলেন, ‘স্বল্প সময়ে ছাত্রদলের পদধারী তিন নেতা—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্য, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পারভেজ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জোবায়েদকে হত্যা করা হয়েছে। ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের এমন মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।’
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রেজাউল করিম, কোষাধ্যক্ষ সাবিনা শরমীন, রেজিস্ট্রার শেখ গিয়াসউদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইছ্ উদদীন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল, সদস্যসচিব শামসুল আরেফিনসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের বর্তমান ও সাবেক নেতা–কর্মীরা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
উত্তরা ইপিজেডের ৪টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) ৪টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার (২৬ অক্টোবর) মূল ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।
বন্ধ ঘোষিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, ইপিএফ প্রিন্ট লিমিটেড এবং মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড।
কারখানা কর্তৃপক্ষের জারি করা নোটিশে জানানো হয়েছে, গত শনিবার কিছু শ্রমিক কারখানার কাজে যোগ না দিয়ে প্রধান ফটকের বাইরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। পরবর্তীতে তারা অন্যান্য শ্রমিকদেরও সঙ্গে একত্রিত করে বেআইনিভাবে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রেখে কারখানার স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করেন।
কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, তাদের যেকোনো দাবি-দাওয়া আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে এবং দ্রুত কাজে যোগ দিতে বলা হয়। কিন্তু, শ্রমিকরা নির্দেশনা অমান্য করে কাজে যোগদান থেকে বিরত থাকেন। রবিবার একইভাবে কাজ বন্ধ রাখায় কারখানার উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শ্রমিকদের এই আচরণ বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন-২০১৯ অনুযায়ী বেআইনি ধর্মঘটের অন্তর্ভুক্ত। শ্রমিকদের বাধা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে কারখানার কার্যক্রম পরিচালনা করা কর্তৃপক্ষের পক্ষে আর সম্ভব নয়।
শ্রমিকদের জোরপূর্বক উৎপাদন বন্ধ রাখা, বেআইনি ধর্মঘট এবং কারখানার অস্থিতিশীল পরিবেশ বিবেচনা করে বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন-২০১৯ এর ধারা ১২(১) অনুযায়ী রবিবার থেকে ৪টি কারখানার কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পরবর্তীতে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে নোটিশের মাধ্যমে পুনরায় কারখানা খোলার তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে, এই ঘোষণা কারখানার নিরাপত্তা শাখা ও জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য নয় বলে নোটিশে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/সিথুন/রাজীব