মামদানির পক্ষে অভূতপূর্ব সমর্থন, আছে চ্যালেঞ্জও
Published: 28th, October 2025 GMT
নিউইয়র্কের শ্বেতকায় অধ্যুষিত ফরেস্ট হিলসে পুরোনো একটি স্টেডিয়াম রয়েছে। ৬০ বছর আগে এখানে ব্যান্ড বিটলস সংগীত পরিবেশন করেছিল। সেটাই এই স্টেডিয়ামের সবচেয়ে বড় ঘটনা। একসময় এখানে ইউএস ওপেন টেনিস প্রতিযোগিতা হতো। এখনো ছোটখাটো ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বা কনসার্টের আয়োজন হয়। হাজার তেরো মানুষ বসতে পারে। গত রোববার বিকেলে এই স্টেডিয়ামে সম্ভবত তার ইতিহাসের সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠানটি হয়ে গেল। এটি কোনো ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নয়, কোনো কনসার্টও নয়। এটি ছিল নিউইয়র্কের মেয়র পদপ্রার্থী জোহরান মামদানির রাজনৈতিক সমাবেশ।
দৃশ্যটি কল্পনা করুন। মধ্যমঞ্চে ৩৪ বছর বয়সী মামদানি, তাঁর দুই পাশে যুক্তরাষ্ট্রের পরিচিত দুই বামপন্থী রাজনীতিক বার্নি স্যান্ডার্স (৮৪) ও আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্তেস (৩৬)। সমাবেশে তিনি শেষ বক্তা। উষ্ণ আলিঙ্গন শেষে সিনেটর স্যান্ডার্স তাঁকে মঞ্চ ছেড়ে সরে দাঁড়ালেন। স্টেডিয়ামজুড়ে তেরো হাজার মানুষের উল্লাস—মামদানি, মামদানি। অনেকের হাতে আলোকোজ্জ্বল মোমবাতি। আকাশ থেকে যেন হাজারটা তারা মাটিতে নেমে এসেছে, এক দিনের জন্য হলেও সব অন্ধকার, সব নিরাশা দূর করে দিতে।
মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম মদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
জোহরানকে ঘায়েল করতে ‘মুসলিম’ পরিচয় সামনে আনছেন বিরোধীরা, কীভাবে জবাব দিচ্ছেন তিনি
নিউইয়র্ক নগরের ডেমোক্রেটিক দলের মেয়রপ্রার্থী জোহরান মামদানি তাঁর প্রতিপক্ষের ‘বর্ণবাদী ও ভিত্তিহীন আক্রমণ’-এর জবাব দিতে গিয়ে এক আবেগঘন বক্তব্য দিয়েছেন। নির্বাচনে আগাম ভোট শুরুর মাত্র এক দিন আগে তিনি এই বক্তব্য দিলেন। এই নির্বাচনে তাঁর জয় প্রায় নিশ্চিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার নগরের ব্রঙ্কস এলাকার একটি মসজিদের বাইরে দাঁড়িয়ে জোহরান বিরোধীদের সমালোচনা করেন। তাঁর ভাষায়, তাঁরা ‘ঘৃণাকে সামনে নিয়ে আসছেন’। তিনি জোর দিয়ে বলেন, তাঁদের এই ইসলামভীতি শুধু মেয়র পদে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিসেবে তাঁকেই আঘাত করছে না। বরং নিউইয়র্কে বসবাসরত প্রায় ১০ লাখ মুসলিমের আবেগেও আঘাত করছে।
৪ নভেম্বর মেয়র নির্বাচনের দুই সপ্তাহের কম সময় আগে দেওয়া বক্তৃতায় জোহরান বলেন, নিউইয়র্কে একজন মুসলিমের জীবন মানেই অসম্মান বা অমর্যাদা মেনে নেওয়া। তবে এই অসম্মান কেবল আমাদের একার নয়। নিউইয়র্কের বহু মানুষই এর শিকার। আমরা এই অসম্মানকে কতটা সহ্য করে নিই, সেটিই আসল পার্থক্য তৈরি করে দেয়।
বর্তমানে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের আইনসভার সদস্য জোহরান জানান, তিনি তাঁর নির্বাচনী প্রচারের মূল বার্তা অর্থাৎ জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর দিকে মনোযোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর প্রতিপক্ষরা দেখিয়ে দিয়েছেন, ‘ইসলামভীতি এখন তাঁদের মধ্যে একমত হওয়ার অন্যতম জায়গা হয়ে উঠেছে।’
নির্বাচনে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নিউইয়র্ক রাজ্যের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে জড়িয়ে একটি প্রশ্ন করার একদিন পর জোহরান এই বক্তব্য দিলেন। রেডিও সঞ্চালক সিড রোজেনবার্গ অনুষ্ঠানে কুমোকে নিয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেন, আরেকটি ৯/১১ হামলা হলে জোহরান ‘উল্লাস’ করবেন। তাঁর কথা শুনে কুমো হেসে ওঠেন
নিউইয়র্ক নগরের ব্রঙ্কসে ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের বাইরে প্রতিদ্বন্দ্বী কুমোর বক্তব্যের জবাব দিচ্ছেন জোহরান মামদানি। ২৪ অক্টোবর ২০২৫, নিউইয়র্ক