হংকংয়ের উত্তরাঞ্চলীয় তাই পো এলাকায় অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে লাগা ভয়াবহ আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৮ এ পৌঁছেছে। শুক্রবার কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

ওয়াং ফুক কোর্ট নামে ওই অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে বুধবার অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ২০২১ সালের সরকারি আদমশুমারি অনুযায়ী, এই আবাসিক কমপ্লেক্সে প্রায় চার হাজার ৬০০ মানুষের জন্য এক হাজার ৯৮৪টি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। 

শুক্রবার সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১২৮ জন নিহত হয়েছে এবং ৭৯ জন আহত হয়েছে। ৮৯ জনের মৃতদেহ এখনো শনাক্ত করা যায়নি।

অগ্নিনির্বাপন বিভাগ জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে কিছু অ্যাপার্টমেন্ট এখনো আগুন জ্বলছে।আগুনে পুড়ে যাওয়া সাতটি টাওয়ারের মধ্যে দুটিতে বেশিরভাগ মৃতদেহ পাওয়া গেছে এবং বেশিরভাগ জীবিতদের অন্যান্য ব্লক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আবাসিক কমপ্লেক্সের আটটি ভবনের একটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা আরো ছয়টি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। ভবনের সংস্কার কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগেও তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

ভবনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগুন লাগার সময় ভবনের অ্যালার্ম বাজেনি।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অ য প র টম ন ট ভবন র

এছাড়াও পড়ুন:

একাধিক মহল নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: ফারুক

আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে একাধিক মহল নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জেটেবের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।

আরো পড়ুন:

ভিন্নমত পোষণ করলেই তাকে শত্রু মনে করা হয়: ফখরুল

চাইলে আপনাদের চাটমোহর থেকে বিতাড়িত করতে পারি: হীরা

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, “দেশের গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক ব্যবস্থা অতীতে যেসব শক্তি ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল, একই শক্তি আজও বিভিন্ন উপায়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। তার দাবি, “জাতীয়তাবাদী শক্তি একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিবারই এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলার চেষ্টা করছে, আর সে কারণেই বিভিন্ন মহল নতুন নতুন পরিকল্পনা নিয়ে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার পদক্ষেপ নিচ্ছে।”

সমাবেশে টেক্সটাইল সেক্টরে অরাজকতা সৃষ্টির প্রচেষ্টার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। জয়নুল আবদিন ফারুক অভিযোগ করেন, আন্দোলনের অজুহাতে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী মহল এই সেক্টরে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে।

তার দাবি, হাসিনা সরকারের বিদায়ের পরও কিছু সংখ্যক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ‘প্রেতাত্মারা’ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয় রয়েছে এবং টেক্সটাইল শিল্পকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।

সাবেক এই বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, “বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা এবং দলীয় কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা সম্ভব।”

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলে, ইনশাল্লাহ, দেশের মানুষ বিএনপিকেই ভোট দেবে।”

সমাবেশে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।

সংগঠনের সভাপতি ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ