জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। যমুনা নদীর ভাঙনকবলিত বিভিন্ন চর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নারীরাও কর্মসূচিতে অংশ নেন।

আজ রোববার বেলা একটার দিকে ইসলামপুর উপজেলা আমতলী বাজার এলাকায় এ কর্মসূচি আয়োজন করেন স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষের কর্মী-সমর্থকেরা।

এই আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুলতান মাহমুদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ এস এম আবদুল হালিম। প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে কয়েক দিন ধরে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে আসছেন আবদুল হালিমের কর্মী-সমর্থকেরা।

আবদুল হালিমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে যমুনা নদীর বিভিন্ন চর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নারীরা আজ বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আমতলী বাজার এলাকায় জড়ো হন। এরপর প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাঁরা ইসলামপুর-উলিয়া সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে বাদ দিয়ে আবদুল হালিমকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। এতে সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর বিক্ষোভকারীরা সড়ক ছেড়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নারীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আবদুল হালিম যমুনার ভাঙনকবলিত এলাকার নারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি সব সময় দরিদ্র মানুষের খোঁজখবর রাখেন। যেকোনো সহযোগিতার জন্য তাঁর কাছে গেলে তিনি সহযোগিতা করেন। নদীভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ, ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষের দুঃখ বোঝেন। তাই তাঁরা তাঁকেই মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।

কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ খান, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো.

জয়নাল আবেদীন ও মো. হেলাল উদ্দিন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক এনামুল করিম, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন ও মনির খান, চিনাডুলী ইউনিয়ন মহিলা দলের সভানেত্রী নাছিমা বেগম প্রমুখ।

এ বিষয়ে মনোনয়নবঞ্চিত আবদুল হালিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘উপজেলার পূর্বাঞ্চলের পাঁচটি ইউনিয়নের যমুনা নদীর ভাঙনকবলিত নারী এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা আমাকে ভালোবেসে দুর্গম চরের দূরদূরান্ত থেকে এসেছিলেন। সত্যিকার অর্থে সব সময় তাঁদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। দলীয় মনোনয়নের তালিকায় আমার নাম না থাকায় ওই সব অঞ্চলের নারীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তবে পুনর্বিবেচনা হলে আমি মনোনয়ন পেতে পারি।’

দলীয় মনোনয়ন পাওয়া সুলতান মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘চুলচেরা বিশ্লেষণ করে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে এসব করছেন। বিষয়টি আমি দলের হাইকমান্ডকে জানিয়েছি।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আবদ ল হ ল ম ভ ঙনকবল ত সড়ক অবর ধ ব এনপ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

৪৪তম বিসিএস: দ্রুত নিয়োগের দাবিতে সুপারিশ পাওয়া ক্যাডারদের মানববন্ধন

আজ রোববারের মধ্যে ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল–সংক্রান্ত ফাইল জনপ্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ৪৪তম বিসিএসে সুপারিশ পাওয়া ক্যাডাররা।

মানববন্ধনে সুপারিশ পাওয়া ক্যাডারদের ভাষ্য, ৪৪তম বিসিএসে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীদের চূড়ান্ত ফলাফলের ফাইল ৩ বছর ১১ মাস ২৫ দিন (বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে) পেরিয়ে গেলেও জনপ্রশাসনে পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছে পিএসসি। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন যদি সুদীর্ঘ চার বছর ধরে চলমান ৪৪তম বিসিএসে সুপারিশ পাওয়া ১ হাজার ৬৭৬ যুবশক্তিকে যথাযথভাবে ব্যবহারের নিশ্চয়তা দিতে না পারে, তাহলে এই কমিশনের কাজ কী? কেন ৪৪তম বিসিএস অগ্রাধিকার তালিকায় নেই, এর জবাব জাতির সামনে স্পষ্ট করতে হবে।

৪৪তম বিসিএসের কার্যক্রম দ্রুত শেষ না করলে রিপিট ক্যাডার সমস্যার সমাধান হবে না। এক বছরের মধ্যে বিসিএসের কার্যক্রম শেষ করাও সম্ভব হবে নাপ্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থী‘আরও পড়ুনজুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনে বিশাল নিয়োগ, পদ ১১৫২৬ ঘণ্টা আগে

সুপারিশ পাওয়া ক্যাডাররা আরও বলেন, দ্বিতীয় সম্পূরক ফলাফল প্রকাশের পর ইতিমধ্যে ১২ দিন এবং বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে ৩ বছর ১১ মাস ২৫ দিন হয়ে গেছে, কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য শক্তির চাপে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ৪৪তম বিসিএসের রুটিন কাজগুলো করতে পিএসসি এখনো গড়িমসি করছে। সম্পূরক ফলাফলের ফাইল আজ বিকেলের মধ্যে জনপ্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করতে হবে।

প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়া এক প্রার্থী বলেন, ‘৪৪তম বিসিএসের কার্যক্রম দ্রুত শেষ না করলে রিপিট ক্যাডার সমস্যার সমাধান হবে না। এক বছরের মধ্যে বিসিএসের কার্যক্রম শেষ করাও সম্ভব হবে না। বিশেষ বিসিএসের কার্যক্রম দ্রুত করতে পারলেও সাধারণ বিসিএস নিয়ে তাদের গড়িমসি রয়েছে।’

এদিকে গত ১১ নভেম্বর ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষার পরিবর্ধিত সম্পূরক ফল প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১ হাজার ৭১০টি পদের বিপরীতে ১ হাজার ৬৭৬ জনকে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছে। রিপিট ক্যাডার বাদ দিয়ে এই পরিবর্ধিত সম্পূরক ফল প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে তিনবার প্রকাশ করা হলো ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল। ১১ নভেম্বরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত ২৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে সংশোধিত বিধি অনুযায়ী আগের বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং ৪৪তম বিসিএসে পুনরায় একই ক্যাডার কিংবা নিম্নপদের জন্য মনোনয়নযোগ্য হয়েছেন এমন প্রার্থীদের বাদ দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের ৩৪টি পদে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া ক্যাডার পদে মনোনয়ন না পাওয়ায় ৭ হাজার ১৩৯ জনকে নন–ক্যাডার পদে সুপারিশ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঢাকার সাত কলেজ: বিশ্ববিদ্যালয় শুরুর আগেই তীব্র সেশনজটে শিক্ষার্থীরা ২ ঘণ্টা আগে

২০২৫ সালের ৩০ জুন প্রথম দফায় ৬ নভেম্বর ২০২৫ দ্বিতীয়বারের মতো ৪৪তম বিসিএসের ‘চূড়ান্ত’ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছিল। এরপর তৃতীয় দফায় ১১ নভেম্বর ২০২৫ চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হলো।

প্রথম দফায় প্রকাশিত ফলাফলে ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। দ্বিতীয় দফায় সুপারিশ করা হয় ১ হাজার ৬৮১ জনকে। দ্বিতীয় দফায় বাদ পড়েন ৯ জন। তৃতীয় দফায় ১ হাজার ৬৭৬ জনকে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছে। এবার বাদ পড়লেন ৫ জন।

আরও পড়ুনইউনিলিভারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদন শেষ ২৪ নভেম্বর১ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪৪তম বিসিএস: দ্রুত নিয়োগের দাবিতে সুপারিশ পাওয়া ক্যাডারদের মানববন্ধন
  • আট আসনে বিক্ষোভ, অবরোধ, মানববন্ধন
  • কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী চেয়ে দীর্ঘ মানববন্ধন
  • সীতাকুণ্ডে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে একাধিক স্থানে মানববন্ধন
  • বাউলশিল্পী আবুল সরকারের মুক্তি দাবিতে সংসদের সামনে মানববন্ধন
  • বাউল শিল্পী আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে শহরে মানববন্ধন 
  • ‘আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তি’র অভিযোগে আটক বাউল শিল্পী ডিবি হেফাজতে
  • ‘যমুনা’ নামে নতুন উপজেলা গঠনের দাবিতে সিরাজগঞ্জে মানববন্ধন
  • মুন্সীগঞ্জে যুবদল নেতা হত্যা: বিচার দাবিতে বিক্ষোভ