বিবিসি এখন বিশৃঙ্খল, দিশাহারা ও নেতৃত্বহীন অবস্থার মধ্যে আছে: সাবেক কর্মকর্তা অলিভার
Published: 10th, November 2025 GMT
বিবিসি এখন বিশৃঙ্খল, দিশাহারা ও নেতৃত্বহীন অবস্থার মধ্যে আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সংবাদ নিয়ন্ত্রক ক্রেইগ অলিভার। বিবিসির মহাপরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদত্যাগের পর রেডিও ফোরের টুডে অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অলিভার এ কথা বলেন।
অলিভার বিবিসির দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের যোগাযোগ পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি মনে করেন, বিবিসিতে যে পরিস্থিতি চলছে, তা সামাল দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আর তাতে পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
অলিভারের মতে, এই সংকট সময়ে প্রতিষ্ঠান রক্ষার জন্য বিবিসির চেয়ারম্যান সমির শাহকেই এগিয়ে আসতে হবে। কিন্তু তিনি সে কাজটি যথাযথভাবে করছেন না বলে মনে করেন তিনি।
রেডিও ফোরের টুডে অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অলিভার আরও বলেন, ‘আমরা এখনো জানি না, যা কিছু ঘটেছে তার বিষয়ে বিবিসির বক্তব্য কী।’
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও বার্তাপ্রধান ডেবোরাহ টারনেস গতকাল রোববার রাতে পদত্যাগ করেন। বিবিসি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ ওঠার পর তাঁরা দুজন পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
টিম ডেভি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘কিছু ভুল হয়েছে এবং মহাপরিচালক হিসেবে শেষ পর্যন্ত আমাকে দায় নিতে হবে।’ আর বিবিসি নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেবোরাহ টারনেস বলেন, ‘চূড়ান্তভাবে এই দায়ভার আমার।’ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুনবিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও বার্তাপ্রধান ডেবোরাহ টারনেসের পদত্যাগ১৩ ঘণ্টা আগেবিবিসির এডিটোরিয়াল গাইডলাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস কমিটির (ইজিএসসি) সাবেক পরামর্শক মাইকেল প্রেসকট বিবিসির সংবাদ পরিবেশনে পক্ষপাতিত্বের এই অভিযোগ তোলেন।
বিবিসির প্যানোরামা অনুষ্ঠানে প্রচারিত একটি তথ্যচিত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ জোড়া দেওয়ার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিতর্ক চলছে। এর মধ্যেই এ দুই কর্মকর্তা পদত্যাগ করলেন।
বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ট্রাম্পের দুটি আলাদা বক্তব্যকে জোড়া দিয়ে ওই তথ্যচিত্র প্রচার করা হয়েছে। এটি বিভ্রান্তি তৈরি করছে। কারণ, জোড়া দেওয়া বক্তব্যটি শুনে মনে হচ্ছে, ট্রাম্প ২০২১ সালে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার ঘটনায় উসকানি দিচ্ছেন। প্যানোরামায় গত বছর ওই তথ্যচিত্র প্রচার করা হয়।
আরও পড়ুনঅপ্রত্যাশিত এই মুহূর্ত কি বিবিসির শীর্ষ পর্যায়ের বিভাজনকে তুলে ধরছে১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত পদত য গ অল ভ র
এছাড়াও পড়ুন:
কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি প্রার্থী জালাল উদ্দিনকে ‘ফ্যাসিস্টের পদলেহনকারী’ উল্লেখ করে তার দলীয় মনোনয়ন বাতিল এবং দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক (আমার দিন সম্পাদক) আহসান হাবিব বরুন।
সোমবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
আরো পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে জিয়াউর রহমানের অর্ধাঙ্গিনী বলা সেই বিএনপি নেতাকে শোকজ
টাঙ্গাইলে নির্বাচন অফিসে হামলা-ভাঙচুর, কর্মকর্তাসহ আহত ৩
আহসান হাবিব বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফার ভিত্তিতে একটি আধুনিক, নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখছেন, সেখানে এমন বিতর্কিত ব্যক্তির উপস্থিতি সেই স্বপ্নের জন্য হুমকিস্বরূপ।”
তিনি বলেন, “জালাল উদ্দিন কিশোরগঞ্জে ফ্যাসিস্ট সরকারের ঘনিষ্ঠ আব্দুল কাহার আকন্দকে (একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি) প্রতিষ্ঠিত করতে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে বারবার প্রধান অতিথি হিসেবে এনেছেন এবং একুশে আগস্ট হামলা মামলার সম্পূরক চার্জশিটের প্রশংসা করেছেন। কাহার আকন্দ, সোহরাব হোসেন, নূর মোহাম্মদ, মুখলেসুর রহমান বাদল, রফিকুল ইসলাম রেনু ও ফেরদৌস উকিলসহ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গে জালালের সম্পর্ক রয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর জালাল উদ্দিন চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও মামলাবাজিতে জড়িত হন। পাকুন্দিয়া উপজেলার তিনটি বালুমহাল দখল করে তিনি লুটপাটের মাধ্যমে কোটি টাকার বালু বিক্রি করেছেন। টেন্ডার সমঝোতার নামে দুই কোটি ৯২ লাখ টাকা সংগ্রহ করে তার মধ্যে এক কোটি ১৪ লাখ টাকা দলীয় নাম ব্যবহার করে আত্মসাৎ করেন।”
আহসান হাবিব দাবি করেন, “জালাল উদ্দিন বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে মামলা ও হামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়, বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি এবং মনোনয়ন পাওয়ার পর এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছেন। ছাত্রদল নেতাদের হুমকি, প্রবাসী কর্মীদের ভয় দেখানো, এমনকি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করাতে তার ভূমিকা ছিল। সম্প্রতি তারেক রহমানের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ‘খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশন মেধাবৃত্তি পরীক্ষা’ সফল না হওয়ার জন্যও জালাল উদ্দিন সক্রিয় ছিলেন। যে ব্যক্তি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের জনসম্পৃক্ততামূলক অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন, তিনি তারেক রহমানের জীবন ও আদর্শের জন্য হুমকি।”
ঢাকা/রায়হান/এসবি