অনেক দিন ধরেই ভারতীয় সিনেমায় গরহাজির প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তাঁকে হলিউডের সিনেমা-সিরিজে দেখা গেছে, তবে ‘দেশি গার্ল’কে দেশি সিনেমায় দেখা যায়নি। কিছুদিন আগেই জানা যায়, এস এস রাজামৌলির নতুন সিনেমায় দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। এবার জানা গেল, এ সিনেমার জন্য রেকর্ড পারিশ্রমিক পাচ্ছেন তিনি।
এস এস রাজামৌলির সিনেমায় কাজ করতে আপত্তি ছিল না প্রিয়াঙ্কার। তবে ঝামেলা বেধেছিল পারিশ্রমিকের অঙ্ক নিয়ে। শেষ পর্যন্ত রফা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম পিংকভিলাকে সিনেমার সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজামৌলির নাম ঠিক না হওয়া সিনেমার জন্য বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪১ কোটি টাকা পাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা! রাজামৌলির অন্য কোনো সিনেমার নায়িকা আগে এত পারিশ্রমিক পাননি। হিন্দি সিনেমার নায়িকাদের যা পারিশ্রমিক হয়, এটা তারও প্রায় দ্বিগুণ।
তাঁর এই ছবিতে আছেন দক্ষিণি তারকা মহেশ বাবু। ছবির বাজেট এক হাজার কোটি রুপি! জঙ্গলে অ্যাডভেঞ্চার ঘিরে নির্মিত এই ছবি ঘিরে সিনেমাপ্রেমীরা এখন থেকেই রোমাঞ্চিত।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি প্রার্থী জালাল উদ্দিনকে ‘ফ্যাসিস্টের পদলেহনকারী’ উল্লেখ করে তার দলীয় মনোনয়ন বাতিল এবং দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক (আমার দিন সম্পাদক) আহসান হাবিব বরুন।
সোমবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
আরো পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে জিয়াউর রহমানের অর্ধাঙ্গিনী বলা সেই বিএনপি নেতাকে শোকজ
টাঙ্গাইলে নির্বাচন অফিসে হামলা-ভাঙচুর, কর্মকর্তাসহ আহত ৩
আহসান হাবিব বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফার ভিত্তিতে একটি আধুনিক, নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখছেন, সেখানে এমন বিতর্কিত ব্যক্তির উপস্থিতি সেই স্বপ্নের জন্য হুমকিস্বরূপ।”
তিনি বলেন, “জালাল উদ্দিন কিশোরগঞ্জে ফ্যাসিস্ট সরকারের ঘনিষ্ঠ আব্দুল কাহার আকন্দকে (একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি) প্রতিষ্ঠিত করতে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে বারবার প্রধান অতিথি হিসেবে এনেছেন এবং একুশে আগস্ট হামলা মামলার সম্পূরক চার্জশিটের প্রশংসা করেছেন। কাহার আকন্দ, সোহরাব হোসেন, নূর মোহাম্মদ, মুখলেসুর রহমান বাদল, রফিকুল ইসলাম রেনু ও ফেরদৌস উকিলসহ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গে জালালের সম্পর্ক রয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর জালাল উদ্দিন চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও মামলাবাজিতে জড়িত হন। পাকুন্দিয়া উপজেলার তিনটি বালুমহাল দখল করে তিনি লুটপাটের মাধ্যমে কোটি টাকার বালু বিক্রি করেছেন। টেন্ডার সমঝোতার নামে দুই কোটি ৯২ লাখ টাকা সংগ্রহ করে তার মধ্যে এক কোটি ১৪ লাখ টাকা দলীয় নাম ব্যবহার করে আত্মসাৎ করেন।”
আহসান হাবিব দাবি করেন, “জালাল উদ্দিন বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে মামলা ও হামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়, বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি এবং মনোনয়ন পাওয়ার পর এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছেন। ছাত্রদল নেতাদের হুমকি, প্রবাসী কর্মীদের ভয় দেখানো, এমনকি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করাতে তার ভূমিকা ছিল। সম্প্রতি তারেক রহমানের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ‘খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশন মেধাবৃত্তি পরীক্ষা’ সফল না হওয়ার জন্যও জালাল উদ্দিন সক্রিয় ছিলেন। যে ব্যক্তি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের জনসম্পৃক্ততামূলক অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন, তিনি তারেক রহমানের জীবন ও আদর্শের জন্য হুমকি।”
ঢাকা/রায়হান/এসবি