টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করছেন না অভিযোগ তুলে ৩০-৪০ জন লোক হামলা ও ভাঙচুর করেছেন।

সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাচন অফিসে এ ঘটনা ঘটে৷ এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেন ও স্ক্যানিং অপারেটর সুমন আহত হয়েছেন।

আরো পড়ুন:

খুলনায় সন্ত্রাসী হামলায় দুই সাংবাদিক আহত

এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়নি কেউ

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, সকালে ৩০-৪০ লোক নির্বাচন অফিসে এসে হঠাৎ হামলা চালায়। এ সময় নির্বাচন অফিস ভাঙচুর এবং অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন জন। এর মধ্যে, গুরুতর আহতাবস্থায় ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোপালপুর থানার ওসি (তদন্ত) মামুন চৌধুরী বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। হামলাকারীদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’’

ঢাকা/কাওসার/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ মল ব এনপ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

গোপালগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলছে

দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন ও শাহবাগে শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মত কর্মবিরতি পালন করছেন গোপালগঞ্জের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

সোমবার (১০ নভেম্বর) জেলার বিভিন্ন স্কুলে ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও কোনো শিক্ষক ক্লাসে যাননি। শিক্ষকরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চেয়ার নিয়ে বসে কর্মবিরতি পালন করছেন। অপরদিকে, অভিভাবকরা শিক্ষার্ধীদের স্কুলে এনে চরম বিপাকে পড়েছেন।

আরো পড়ুন:

প্রাথমিকের শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত, কর্মসূচি চলবে

পঞ্চগড়ে দুদকের গণশুনানিতে প্রাথমিকের ২ প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত 

কোটালীপাড়া উপজেলার ৪৯ নম্বর উত্তরপাড়া মাদ্রাসা সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মৌসুমী আক্তার স্বর্ণা বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন বৈষম্যের শিকার। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন দিতে হবে। চাকরিতে যোগদানের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দিতে হবে এবং বিভাগীয় পদোন্নতিতে শতভাগ নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে হবে। দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কোটালিপাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ওলিউল্লাহ হাওলাদার বলেন, “বিশ্বের কোনো দেশেই শিক্ষকদের এত কম বেতন দেওয়া হয় না। একই শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অন্য সরকারি কর্মকর্তারা দশম গ্রেড পাচ্ছেন, কিন্তু আমরা বঞ্চিত। এই বৈষম্য দূর করাই আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য। আমরা উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সফল করার জন্য শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বিরতিতে রয়েছি।”

কোটালিপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্ত শিক্ষকদের পাঠ বিরতির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “ঢাকার আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ততাস্বরূপ কোটালিপাড়ায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি রেখেছেন শিক্ষকরা। তবে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত আছেন।”

ঢাকা/বাদল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ