মানিকগঞ্জে বাউলদের ওপর হামলায় মামলা, আসামি ২০০
Published: 25th, November 2025 GMT
মানিকগঞ্জে কারাবন্দি বাউল শিল্পী আবুল সরকার মহারাজের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে যোগ দিতে আসা বাউলদের ওপর হামলার অভিযোগে ২০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি হয়। আহত বাউল শিল্পী জহিরুল ইসলামের বাবা আলাউদ্দিন ভুইয়া এ মামলার বাদী।
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৫
ডাকসু নেত্রী রাফিয়ার বাসার গেটে ককটেল বিস্ফোরণ, মামলা
তৌহিদী জনতার অভিযোগ, গত রবিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠসংলগ্ন শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের দিকে বিক্ষোভ মিছিল যাচ্ছিল। আগে থেকে অবস্থান নেওয়া আবুল সরকারের ৪০–৫০ অনুসারী বাঁশ, কাঠের লাঠি, লোহার রড ও পাইপ নিয়ে তাদের ওপর ‘অতর্কিত হামলা’ চালায়। এ সময় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনায় তৌহিদী জনতার আব্দুল আলিমসহ অন্তত তিন থেকে চারজন আহত হন।
বাউল শিল্পীদের দাবি, শহীদ রফিক সড়কে মানিকগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে পূর্বনির্ধারিত মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিতে গেলে তৌহিদী জনতার একটি অংশ তাদের ধাওয়া করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। বাউল শিল্পী আব্দুল আলিম, আরিফুল ইসলাম ও জহিরুল ইসলাম আহত হন।
আহত বাউল শিল্পীদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও রাতে নিরাপত্তাহীনতায় তারা হাসপাতাল ছাড়তে বাধ্য হন। তৌহিদী জনতার আহত সদস্যরা চিকিৎসাধীন আছেন।
মানিকগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, “আহত জহিরুল ইসলামের বাবার অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গত ৪ নভেম্বর ঘিওরের জাবরা এলাকায় পালাগানের অনুষ্ঠানে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ওঠে বাউল শিল্পী ও বাংলাদেশ বাউল সমিতির সভাপতি আবুল সরকার মহারাজের বিরুদ্ধে। ২০ নভেম্বর মাদারীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। জামিন শুনানিতে আদালত দুই দফায় তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ঢাকা/চন্দন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ মল ম মল ব উল শ ল প ম ন কগঞ জ ল ইসল ম জনত র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি চাকরির নিয়োগে অস্থিরতা: চার মাসে চাকরিপ্রত্যাশীদের যত আন্দোলন
বাংলাদেশে সরকারি চাকরি পাওয়া যেন যুদ্ধজয়ের সমান। আর চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলন এখন নিত্যদিনের দৃশ্য। স্মারকলিপি, অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন, অনশন থেকে শুরু করে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ—দাবি আদায়ে কর্মসূচির ধরনও বহুবিধ। চলতি বছরের আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সরকারি চাকরির নিয়োগ নিয়ে নানামুখী আন্দোলন হয়েছে। এর মধ্যে কিছু সমাপ্ত হলেও অনেক আন্দোলন এখনো চলমান বা সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে।
৪৩তম বিসিএস: নন-ক্যাডার প্রার্থীদের অনশননন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা ২০২৩ অনুযায়ী, ৪৩তম বিসিএসে ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল একসঙ্গে প্রকাশ করা হয়। নিয়োগ জটিলতা এবং কমসংখ্যক সুপারিশের কারণে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন নন-ক্যাডার প্রার্থীরা। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে তাঁরা ‘বিসিএস চাকরিপ্রত্যাশী প্রার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে প্রায় ১০ দিন অনশন চালান। এর আগে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন তারা। দীর্ঘ আন্দোলনেও সমাধান না মেলায়, এখন আদালতের আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রার্থীরা।
আজ রোববারের মধ্যে ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল–সংক্রান্ত ফাইল জনপ্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের দাবিতে মানববন্ধন করেন ৪৪তম বিসিএসে সুপারিশ পাওয়া ক্যাডাররা