গাজার ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানটি আসলে কারা চালাচ্ছে
Published: 20th, November 2025 GMT
যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজা থেকে গত বৃহস্পতিবার সকালে ১৫৩ জন ফিলিস্তিনিকে নিয়ে একটি চার্টার্ড উড়োজাহাজ দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের কাছের একটি বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিল। তাঁদের অনেকের কাছেই প্রয়োজনীয় ভ্রমণ নথি ছিল না, যা দক্ষিণ আফ্রিকার কর্মকর্তাদের ‘হতভম্ব’ করে দিয়েছিল।
প্রায় ১২ ঘণ্টা চেষ্টার পর স্থানীয় একটি দাতব্য সংস্থার তত্ত্বাবধানে ওই ফিলিস্তিনি যাত্রীদের উড়োজাহাজ থেকে নামার অনুমতি দেওয়া হয়।
স্থানীয় দাতব্য সংস্থা ‘গিফট অব দ্য গিভার্স’ তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিলে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার তাঁদের উড়োজাহাজ থেকে নেমে আসার অনুমতি দেয়।‘আল-মাজদ ইউরোপ’ নামের একটি সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে আরও তথ্য সামনে এসেছে। কর্মীরা অভিযোগ করছেন, এর মাধ্যমে ইসরায়েল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জাতিগত নিধনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছে, তারা ‘সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নেওয়ার’ কাজে সমন্বয় করে থাকে। গাজার এই ফিলিস্তিনি যাত্রীদের কাছ থেকে তারা মোটা অঙ্কের অর্থও নিয়েছে বলে জানা গেছে।
এখন পর্যন্ত এই দলটির যাত্রা এবং ‘আল-মাজদ ইউরোপ’-এর পেছনে কারা আছে, সে সম্পর্কে যতটুকু জানা গেছে, পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
দক্ষিণ আফ্রিকায় কী ঘটেছিলদক্ষিণ আফ্রিকার সীমান্ত সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উড়োজাহাজটি প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে রানওয়েতে দাঁড়িয়ে ছিল। কারণ, ফিলিস্তিনি যাত্রীরা গাজা ছাড়ার সময় তাঁদের পাসপোর্টে বহির্গমন সিল (এক্সিট স্ট্যাম্প) বা স্লিপ ছিল না। অভিবাসন কর্মকর্তারা তাঁদের জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা কোথায় থাকবেন বা কতদিন দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকতে চান—সে সম্পর্কেও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।
এরপর স্থানীয় দাতব্য সংস্থা ‘গিফট অব দ্য গিভার্স’ তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিলে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার তাঁদের উড়োজাহাজ থেকে নেমে আসার অনুমতি দেয়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৩ জন ফিলিস্তিনি পরে অন্য দেশে চলে গেছেন। এর বাইরে আর বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা গত শুক্রবার বলেন, ‘এরা গাজার মানুষ। তাঁরা রহস্যজনকভাবে একটি উড়োজাহাজে করে কেনিয়ার নাইরোবি হয়ে এখানে এসেছেন।’
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘মনে হচ্ছে তাঁদের গাজা থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’ দক্ষিণ আফ্রিকার গোয়েন্দা সংস্থা এই ঘটনাটির তদন্ত করছে।
ইসরায়েলের সংবাদপত্র হারেৎজ গত রোববার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই সংস্থাটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন টোমার জানার লিন্ড নামের একজন ইসরায়েলি-এস্তোনিয়ান দ্বৈত নাগরিক। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের দায়িত্বে থাকা ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একটি ইউনিটের সঙ্গে লিন্ড এমন বেশ কয়েকটি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছেন।দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়েছে কোন প্রতিষ্ঠানএই ফ্লাইটের পেছনে রয়েছে ‘আল-মাজদ ইউরোপ’ নামের ওই সংস্থা। এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে।
ইসরায়েলের সংবাদপত্র হারেৎজ গত রোববার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সংস্থাটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন টোমার জানার লিন্ড নামের একজন ইসরায়েলি-এস্তোনিয়ান দ্বৈত নাগরিক। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের দায়িত্বে থাকা ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একটি ইউনিটের সঙ্গে লিন্ড এমন বেশ কয়েকটি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছেন।
এই ইউনিটের নাম ‘স্বেচ্ছাসেবী অভিবাসন ব্যুরো’। ফিলিস্তিনিদের তাঁদের মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত করার নীতি কার্যকর করতে ২০২৫ সালের প্রথম দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই ইউনিট গঠন করা হয়েছিল।
হারেৎজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিন্ড ফিলিস্তিনিদের জন্য ফ্লাইটের ব্যবস্থা করার কথা অস্বীকার করেননি। তবে এ বিষয়ে তিনি আর কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি।
রামাল্লার বিরজেইত বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক অভিবাসন ও শরণার্থী অধ্যয়নের সহযোগী অধ্যাপক ওরুব আল-আবেদ আল–জাজিরাকে বলেছেন, এটি কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়।
আল–আবেদ বলেন, এটি দীর্ঘ ঔপনিবেশিক পদ্ধতির একটি অংশ। ইসরায়েলিরা সুসংগঠিতভাবে আদিবাসী ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করছে। তারা বহুমাত্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ভূমিকে তার আদিবাসী মানুষশূন্য করতে চায়।
আল-মাজদ ইউরোপ সম্পর্কে কী জানা গেলআল–মাজদ ইউরোপের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এটি ২০১০ সালে জার্মানিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর হোমপেজে একটি সতর্কবার্তা রয়েছে, যে কেউ তাদের এজেন্ট সেজে প্রতারণা করতে পারে। সেখানে ‘বৈধ প্রতিনিধিদের’ ফোন নম্বর দেওয়া আছে।
তবে ওয়েবসাইটে সংস্থাটির কোনো ঠিকানা বা ফোন নম্বর নেই। কেবল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারাহতে একটি অবস্থান দেখানো হয়েছে। যদিও আল–জাজিরা সেখানে কোনো অফিস খুঁজে পায়নি।
আলমাজদইউরোপ ডট ওআরজি (almajdeurope.
নেমচিপ নামের যে প্রতিষ্ঠান ডোমেইনটি নিবন্ধন করেছে, সাইবার নিরাপত্তা–সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রতিবেদনে অনলাইন জালিয়াতির ঘটনায় তাদের নাম এসেছে। কারণ, তাদের সাইন-আপ প্রক্রিয়া সহজ ও খরচ কম।
দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত ফিলিস্তিনি দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, একটি ‘অনিবন্ধিত ও বিভ্রান্তিকর’ সংস্থার মাধ্যমে এই ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গাজার জনগণের ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের সুযোগ নিয়েছে সংস্থাটি।আল–জাজিরা আরও জানতে পেরেছে, অনেক ব্যক্তিকে সংস্থার ব্যাংক হিসাবে নয়, বরং ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়েছিল।
ওয়েবসাইটটি মাত্র ১০ মাস আগে নিবন্ধন করা হলেও সেখানে আলেপ্পোর (সিরিয়া) ২৯ বছর বয়সী ‘মোনা’ সম্পর্কে একটি পোস্ট রয়েছে, যার তারিখ দেওয়া আছে ২০২৩ সালের ২২ মার্চ। মোনার জবানিতে লেখা সেই গল্পে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে লেবাননে পালিয়ে যাওয়ার পর যখন তাঁরা বিপদে পড়েছিলেন, তখন আল–মাজদ তাঁকে এবং তাঁর মাকে ‘নিরাপদ স্থানে’ সরিয়ে নেওয়ার কাজ করেছিল। এ জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
তবে ছবিতে যাঁকে দেখানো হয়েছে, সেই মানুষটির নাম আসলে আবির খায়াত। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে লেবাননের ত্রিপোলিতে সাংবাদিক ম্যাডেলিন অ্যাডওয়ার্ডস যখন ক্যামেরাবন্দী করেছিলেন, তখন তাঁর বয়স ছিল ৩৩। মিডল ইস্ট আইয়ের জন্য তিনি ওই ছবিটি তুলেছিলেন।
অনলাইন ফর্মে লেখা আছে—বর্তমানে শুধু গাজা উপত্যকার ভেতরে থাকা বাসিন্দাদের জন্য—‘আপনি কি ভ্রমণ করে নতুন জীবন শুরু করতে চান? আমরা আপনাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত।’
মানুষ কীভাবে সেই ফ্লাইটে উঠলফিলিস্তিনি পরিবারগুলো প্রত্যেক শিশু বা প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য আল-মাজদকে ১ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ডলার দিয়ে ফ্লাইটে উঠেছিলেন। তবে তাঁদের চূড়ান্ত গন্তব্য জানা ছিল না। এই যাত্রীদের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীও ছিলেন।
স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ফ্লাইটে ওঠা লোয় আবু সাইফ গত শুক্রবার আল–জাজিরাকে বলেন, তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আল-মাজদের কথা জানতে পারেন।
সাইফ বলেন, তাঁদের গাজা থেকে কখন বের হতে হবে, তা তিনি মাত্র এক দিন আগে জানতে পেরেছিলেন। সে সময় তাঁকে বলা হয়েছিল, যাত্রীরা শুধু একটি ছোট ব্যাগ, একটি মোবাইল ফোন ও কিছু নগদ টাকা নিতে পারবেন।
যাত্রীদের গাজার দক্ষিণে অবস্থিত রাফা থেকে বাসে করে কারেম আবু সালেম ক্রসিংয়ে (ইসরায়েলে যা কেরেম শালোম নামে পরিচিত) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী তাঁদের তল্লাশি করে। এরপর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের ভ্রমণ নথিতে কোনো স্ট্যাম্প না দিয়েই ইসরায়েলের রামোন বিমানবন্দরে স্থানান্তর করে।
উড়োজাহাজে কয়েক দিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় আসা এক ফিলিস্তিনি। এই ছবি জোহানেসবার্গের কোনো একটি এলাকা থেকে ১৪ নভেম্বর তোলাউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ ল ইট র ব যবস থ ইসর য় ল র কর মকর ত আল জ জ র র জন য ইউন ট র একট
এছাড়াও পড়ুন:
গুরুতর অভিযোগ তুলে মিস ইউনিভার্সের দুই বিচারকের পদত্যাগ
‘মিস ইউনিভার্স ২০২৫’ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আসরের কয়েক দিন আগে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দুই বিচারক। তাদের একজনের অভিযোগ—প্রতিযোগিতাটি সাজানো বা পক্ষপাতদুষ্ট। খবর নিউ ইয়র্ক টাইমসের।
মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার আট সদস্যের জুরি বোর্ডের অন্যতম সদস্য লেবানিজ-ফরাসি সংগীতশিল্পী ওমর হারফু। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। তাতে তিনি বলেন, “মিস ইউনিভার্সের চূড়ান্ত আসরের বিচারকের পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা ব্যাখ্যা করা জরুরি মনে করছি।”
আরো পড়ুন:
এপস্টাইন ফাইল প্রকাশের অনুমতি দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস
খাশোগি হত্যাকাণ্ডের কিছুই জানতেন না সৌদি যুবরাজ: ট্রাম্প
বিচারক ওমর কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন। তার ভাষায়—“ফাইনালের দুই দিন আগে ১৩৬ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ৩০ জনকে প্রাক-নির্বাচনের জন্য একটি ‘গোপন ভোট’ নেওয়া হয়। যারা এই ভোট নিয়েছেন তারা জুরি বোর্ডের কোনো সদস্য নন। এখন পর্যন্ত কেউ জানেন না, নির্বাচিত সেই ৩০ জন কারা। একজন ব্যক্তির কাছে সেই তালিকাটি রয়েছে। এই ব্যক্তি অংশগ্রহণকারী একটি দেশের জাতীয় সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত; যা স্পষ্টতই একটি ‘স্বার্থের সংঘাত’।”
খানিকটা ব্যাখ্যা করে ওমর বলেন, “আমি জনসমক্ষে বা টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে এমন একটি ভোটকে বৈধতা দেওয়ার ভান করতে পারি না; যে ভোটে আমি অংশই নিইনি। এই প্রক্রিয়ায় যে দেশগুলো বাদ পড়েছে, তাদের মধ্যে কেউ যুদ্ধাবস্থায় থাকতে পারে, বৈষম্যের শিকার হতে পারে, অথবা ভূ-রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল হতে পারে। দর্শকরা ধরে নিতেন যে, এই সিদ্ধান্তগুলো জুরি বোর্ড নিয়েছে এবং এমন একটি প্রক্রিয়ার দায় আমি নিতে পারি না, যেটিতে আমি যুক্তই ছিলাম না। এর বিপরীত অবস্থান নেওয়া অসৎ আচরণ হতো।”
ওমর এখানেই থেমে যাননি। এরপর আরো বেশ কয়েকটি পোস্ট দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে। মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশনের বিরুদ্ধে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়েরের পরিকল্পনা করেছেন। এ বিষয়ে নিউ ইয়র্কের অন্যতম শীর্ষ আইন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে পরামর্শ করেছেন বলেও জানান তিনি।
ওমরের পদত্যাগের ঘোষণার এক ঘণ্টা পরে ফরাসি ফুটবল ম্যানেজার ক্লদ মাকেলেলে জুরি বোর্ড থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তবে এ বিচারক ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসর বসেছে থাইল্যান্ডে। এ আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন তানজিয়া জামান মিথিলা। আগামী ২১ নভেম্বর এ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/শান্ত