রুদ্রনীলের সঙ্গে তনুশ্রীর প্রেম কেন ভেঙেছিল?
Published: 28th, November 2025 GMT
ভক্তদের অপেক্ষার প্রহরের ইতি টেনে বিয়ে করেছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) তার বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার পর টলিপাড়ায় হইচই পড়ে গিয়েছে। তার অন্যতম কারণ বিদেশ বিভূঁইয়ে হঠাৎ গোপনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা।
এক চল্লিশের তনুশ্রী যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সুজিত বসুকে বিয়ে করেছেন। ভালোবেসে বিয়ে করলেও একসময় চুটিয়ে প্রেম করতেন রুদ্রনীল ঘোষের সঙ্গে। শোনা যায়, তারা বিয়ের সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন। কিন্তু এ জুটির প্রেম পরিণয় পায়নি। তাদের প্রেমের বিচ্ছেদ নিয়ে নানা কাহিনি শোনা গেছে। কিন্তু কেন ভেঙেছিল রুদ্রনীল-তনুশ্রীর প্রেম?
আরো পড়ুন:
বেড়াতে গিয়ে বিদেশ বিভুঁইয়ে বিয়ে করলেন নায়িকা
অনৈতিক কাজে শুধু পুরুষরাই জড়িত, তা ঠিক নয়: মমতা
এক সাক্ষাৎকারে তনুশ্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার কারণ জানতে চাইলে রুদ্রনীল ঘোষ বলেছিলেন, “বন্ধুকে যে কথা অবলীলায় বলা যায়, তা প্রেমিকাকে বলা সম্ভব নয়, তাই আলাদা হয়ে গেলাম।” এর বেশি কিছু জানাননি ‘রাজকাহিনি’খ্যাত এই তারকা।
তবে টলিপাড়ায় জোর গুঞ্জন রয়েছে, ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বেডরুম’ সিনেমায় অভিনয় করেন—রুদ্রনীল, তনুশ্রী ও উষসী চক্রবর্তী। এ সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে উষসীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে রুদ্রনীলের। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি তনুশ্রী। ফলে এ সম্পর্ক ভেঙে দেন তিনি। যদিও এ নিয়ে টুঁ-শব্দ করেননি এই নায়িকা। পরবর্তীতে ব্যবসায়ী রাজকুমার গুপ্তের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল তনুশ্রীর।
প্রাক্তন প্রেমিকা তনুশ্রী চক্রবর্তীর বিয়ের খবর পেয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়ে তনুশ্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই অভিনেতা। রুদ্রনীল বলেন, “তনুশ্রী আর আমিই বাকি ছিলাম। ও শুভকাজ সেরে ফেলল। এরপরেও বিয়ে না করলে ব্যাপারটা খুব খারাপ দেখায়।”
এ আলাপচারিতায় স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন রুদ্রনীল। এ অভিনেতা বলেন, “বিচ্ছেদের পরও আমরা ভালো বন্ধু ছিলাম। বন্ধু যখন ভালো থাকে, তখন মন আপনা থেকেই ভালো হয়ে যায়।” পাশাপাশি আফসোস ও রসিকতার স্বরে রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, “কলকাতায় বিয়ে করলে নিশ্চয়ই তনুশ্রী নিমন্ত্রণ করতো, পাত পেড়ে কব্জি ডুবিয়ে খেতে পারতাম। সেটা হলো না।”
৫২ বছরের রুদ্রনীল ঘোষ এখনো অবিবাহিত। প্রাক্তনের বিয়ের খবরে নিজের বিয়েরও ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “২০২৬ সালের মাঝামাঝি আমিও বিয়ে করছি।” পাত্রী নির্বাচন শেষ করেছেন কি না তা জানতে চাইলে রুদ্রনীল বলেন, “পাত্রী নির্বাচন করিনি। তবে আমার মতো ট্রেন ফেল করা প্যাসেঞ্জার অনেকেই আছেন। নিশ্চয়ই তেমন কাউকে পেয়ে যাব।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র র দ রন ল ঘ ষ ন র দ রন ল
এছাড়াও পড়ুন:
সবজির সরবরাহ বাড়লেও কমছে না দাম
বাজারে শীতকালীন সবজি পুরোদমে আসলে দাম কমেছে না। বিক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কিছু কিছু সবজির দাম পাঁচ থেকে সাত টাকা বেড়েছে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর নিউমার্কেট কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে এখন শীতকালীন সবজি পুরোদমে চলছে আসছে। কিন্তু দাম কমছে না। এর অন্যতম কারণ পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরো পড়ুন:
সবজির দাম বেড়েছে, কমেছে মাছের
কারওয়ান বাজারের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে চাই: ক্যাব সভাপতি
এখন বাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। সিম ১০০ থেকে ১১০ টাকা, দেশি শশা ৯০ থেকে ১০০টাকা, করলা ১০০ টাকা, গাজর (দেশি) ৯০ থেকে ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, কাঁচমরিচ ১৫০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং প্রতি পিস জালি কুমড়া ও লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং জলপাই ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কমেছে মুরগির দাম
বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কমেছে মুরগির দাম। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০টাকায়।
স্বাভাবিক মাছের দাম
মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মাছের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। বাজারে চাষের মাছের সরবরাহ বাড়ার কারণে কিছু কিছু মাছের দাম কমেছে। বিক্রেতাদের দাবি সামনে আরো মাছের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সপ্তাহে বাজারে মাঝারি আকারের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। চাষের পাঙাস আকার অনুযায়ী কেজি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, মাঝারি আকারের তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি আকারের কৈ মাছ ২০০ থেকে ২৫০, দেশি শিং ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ও ইলিশ ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ১২০০ থেকে ১৩০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ সপ্তাহে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। রসুন (দেশি) ১০০ টাকা ও আদা ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা-বিক্রেতারা যা বললেন
রাজধানীর নিউমার্কেটের বনলতা কাঁচাবাজারের কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সাকিব হাসান রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “এখনো যদি কাঁচা সবজির দাম এত বেশি থাকে তাহলে আর দাম কবে কমবে। গত বছর এই সময়ে সবজির দাম অনেক কম ছিল। এখনই সরকারের উচিত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা।”
কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আখতারুজ্জামান রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “আমরাও বুঝতে পারছি না এ বছর এই সময়ে এসে দাম এত বাড়তি কেন? দাম বাড়ার ক্ষেত্রে আমাদের কোনো হাত নেই। তবে আশা করছি আগামী মাসে কাঁচা সবজির দাম কমে আসবে।”
ঢাকা/রায়হান/সাইফ