প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের এই ভূখণ্ডের মানুষ চিরতার পানি পান করে আসছেন। চিরতার ডাল ভেজানো পানির উপকারিতার কথা আয়ুর্বেদশাস্ত্রেও আছে। তেতো স্বাদের এই পানীয় ওজন কমানো, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা, লিভারের সুরক্ষা থেকে শারীরিক সুস্থতায় কাজে দেয়।

চিরতার পানির ৭ উপকারিতা

১. নিয়মিত চিরতার পানি খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ কমতে থাকে। এটি ডায়াবেটিসের রোগী এবং ওজন কমাতে চাচ্ছেন, এমন ব্যক্তির জন্য খুবই উপকারী।

২.

চিরতা লিভারের বাইরের স্তরগুলো থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিয়ে লিভারকে সুস্থ রাখে। এই পানীয় খেলে ফ্যাটি লিভারসহ লিভারের অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

৩. কৃমি দূর করতে সাহায্য করে চিরতার পানি।

চিরতা গাছের ডাল

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মঙ্গল গ্রহে বজ্রপাতের সম্ভাব্য শব্দ ধারণ করেছে নাসার রোভার

ভিন্ন গ্রহ নিয়ে মানুষের জানার আগ্রহ অনেক। সেই আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন গ্রহে একাধিক অভিযান পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। মঙ্গল গ্রহের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে ২০২১ সালে পারসিভিয়ারেন্স রোভার পাঠিয়েছে সংস্থাটি। এই রোভার সম্প্রতি প্রথমবারের মতো মঙ্গল গ্রহে বজ্রপাতের মতো শব্দ ধারণ করেছে। নাসার তথ্যমতে, মঙ্গল গ্রহে ধূলিঝড়ের সময় ধূলিকণাবাহিত বৈদ্যুতিক নির্গমন থেকে আসা ক্ষীণ আওয়াজ ধারণ করেছে রোভারটি। পৃথিবীর বজ্রপাতের মতো নাটকীয় না হলেও, এই ক্ষীণ আওয়াজ রোভারের মাইক্রোফোন ধারণ করতে পেরেছে।

মঙ্গল গ্রহের ধূলিময় বায়ুমণ্ডলে বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ ঘটতে পারে কি না, তা নিয়ে কয়েক বছর ধরে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। এবারই প্রথম বজ্রপাতের শব্দ মাইক্রোফোনে ধরা পড়েছে। শব্দধারণের সময় রোভারটি একটি ধূলিঝড়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিল। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী ব্যাপটিস্ট চাইড বলেন, সেন্টিমিটার আকারের এই স্ফুলিঙ্গ ক্ষুদ্র বিদ্যুৎ–চমক। এ ঘটনা রোভার থেকে প্রায় ছয় ফুট দূরে ঘটেছিল।

নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, পারসিভিয়ারেন্স রোভার অন্যান্য পরীক্ষা চালানোর সময় অসাবধানতাবশত মাইক্রোফোনে ধূলিকণাবাহিত বৈদ্যুতিক প্রবাহের ক্ষীণ কর্কশ শব্দ ধারণ করেছে। ফ্রান্সের ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ ইন অ্যাস্ট্রোফিজিকস অ্যান্ড প্ল্যানেটোলজির গবেষকেরা পারসিভিয়ারেন্সের সুপারক্যাম যন্ত্র দিয়ে দুই মঙ্গলীয় বছর (পৃথিবীর হিসাবে ১ হাজার ৩৭৪ দিন) ধরে ধারণ করা ২৮ ঘণ্টার মাইক্রোফোন তথ্য বিশ্লেষণ করে এই শব্দ খুঁজে বের করেছেন। ধূলিঝড়ের সময় সাধারণত ধূলিকণা ও বালুর ঘর্ষণের কারণে এমন শব্দ ও চার্জ তৈরি হয়।

বিজ্ঞানী ড্যানিয়েল প্রিচার্ড অবশ্য নাসার রোভারের ধারণ করা শব্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর ভাষ্যে, কেবল শোনা যাচ্ছে বলে সত্যিই মঙ্গলের বজ্রপাত হয়েছিল কি না, তা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ আছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ