প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের এই ভূখণ্ডের মানুষ চিরতার পানি পান করে আসছেন। চিরতার ডাল ভেজানো পানির উপকারিতার কথা আয়ুর্বেদশাস্ত্রেও আছে। তেতো স্বাদের এই পানীয় ওজন কমানো, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা, লিভারের সুরক্ষা থেকে শারীরিক সুস্থতায় কাজে দেয়।

চিরতার পানির ৭ উপকারিতা

১. নিয়মিত চিরতার পানি খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ কমতে থাকে। এটি ডায়াবেটিসের রোগী এবং ওজন কমাতে চাচ্ছেন, এমন ব্যক্তির জন্য খুবই উপকারী।

২.

চিরতা লিভারের বাইরের স্তরগুলো থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিয়ে লিভারকে সুস্থ রাখে। এই পানীয় খেলে ফ্যাটি লিভারসহ লিভারের অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

৩. কৃমি দূর করতে সাহায্য করে চিরতার পানি।

চিরতা গাছের ডাল

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে রাষ্ট্রপতির সই

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।

রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’-এর গেজেট প্রকাশ করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

আরো পড়ুন:

সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা

ইউনূস সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একা চলা শুরু করেছে: নাসীরুদ্দীন

এর মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার ও গণভোট আয়োজনের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলো বলে জানিয়েছে আইন বিভাগ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ অনুমোদন দিয়েছে সরকার। জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট হবে। জনগণই নির্ধারণ করবেন, আমরা কোন পথে এগোব?”

প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না থাকলে জাতি এক মহাবিপদের মুখে পড়বে। প্রায় দেড় যুগ ধরে জনগণ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। এখন তারা নতুন গণতান্ত্রিক সূচনার অপেক্ষায়।

জুলাই সনদের পটভূমি
গত ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বিএনপি, জামায়াতসহ ২৪টি রাজনৈতিক দল বহুল প্রত্যাশিত ‘জুলাই সনদ’-এ স্বাক্ষর করে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও তাতে স্বাক্ষর করেন।

এই সনদের মূল লক্ষ্য ছিল— সংবিধান সংস্কার, নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো নির্ধারণ এবং জবাবদিহিমূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২৮ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দুটি বিকল্প প্রস্তাব দেয়, যার একটি এখন রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর ও গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে আইনি রূপ পেল।

অন্তর্বর্তী সরকারের বৈঠক
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি ও গণভোট আয়োজনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
ভাষণে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানে যে ঐক্য দেশবাসী দেখিয়েছিল, আমরা যেন তা লঘু বিবাদে ভেঙে না ফেলি। স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবিক ন্যায়বিচারের লড়াই এখনই শেষ হয়নি।

আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশন গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে। ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট হবে, এমনটাই সরকারের পরিকল্পনা।

রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে ‘জুলাই সনদ’ এখন আইনি রূপ পেল, যা দেশের ইতিহাসে প্রথম গণভোটভিত্তিক সংবিধান সংস্কারের পথ খুলে দিচ্ছে।

ঢাকা/এএএম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ