প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের এই ভূখণ্ডের মানুষ চিরতার পানি পান করে আসছেন। চিরতার ডাল ভেজানো পানির উপকারিতার কথা আয়ুর্বেদশাস্ত্রেও আছে। তেতো স্বাদের এই পানীয় ওজন কমানো, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা, লিভারের সুরক্ষা থেকে শারীরিক সুস্থতায় কাজে দেয়।

চিরতার পানির ৭ উপকারিতা

১. নিয়মিত চিরতার পানি খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ কমতে থাকে। এটি ডায়াবেটিসের রোগী এবং ওজন কমাতে চাচ্ছেন, এমন ব্যক্তির জন্য খুবই উপকারী।

২.

চিরতা লিভারের বাইরের স্তরগুলো থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিয়ে লিভারকে সুস্থ রাখে। এই পানীয় খেলে ফ্যাটি লিভারসহ লিভারের অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

৩. কৃমি দূর করতে সাহায্য করে চিরতার পানি।

চিরতা গাছের ডাল

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

২০০ বছরের পুরোনো সেই দানব ফিরল পর্দায়, কেমন হলো ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’

তাঁর সিনেমায় দানব থাকে, তবে গিয়ের্মো দেল তোরোর দর্শকমাত্রই জানেন এই দানব হয় অন্য রকম। এই দানব শুধু ভয় দেখায় না, বরং অনেক বেশি মানবিক। ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’ দেল তোরোর স্বপ্নের প্রকল্প; বহু বছর ধরে মেরি শেলির উপন্যাসকে পর্দায় নিয়ে আসতে চান তিনি। দুই শ বছরের বেশি সময় আগে লেখা উপন্যাসটি থেকে দুনিয়ার নানা প্রান্তে এন্তার সিনেমা-সিরিজ, কমিকস হয়েছে; তবু দেল তোরো নিজের ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’ বানাতে মরিয়া ছিলেন। ‘আমি স্বপ্ন দেখি সর্বকালের সেরা “ফ্রাঙ্কেনস্টাইন” বানাতে পারি, কিন্তু তৈরি করলেই তা শেষ হয়ে যায়। সেটা ভালো হোক বা না হোক; আর স্বপ্ন দেখার সুযোগ নেই। এটাই নির্মাতার ট্র্যাজেডি,’ বহু বছর আগে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন তিনি। সেই স্বপ্ন অবশেষে বাস্তব হলো, গত ৭ নভেম্বর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে গথিক হরর সিনেমার এই ওস্তাদ নির্মাতার ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’।

একনজরে
সিনেমা: ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’
ধরন: গথিক সায়েন্স-ফিকশন
পরিচালনা: গিয়ের্মো দেল তোরো
অভিনয়: অস্কার আইজ্যাক, জ্যাকব এলর্ডি, মিয়া গথ, ফেলিক্স কামারার ও ক্রিস্টফ ভালৎজ
স্ট্রিমিং: নেটফ্লিক্স
রানটাইম: ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট

সিনেমাটি তিনটি অংশে বিভক্ত—শুরুর বয়ান, ভিক্টরের গল্প আর মনস্টারের গল্প। একুশ শতকের এই সিনেমা দু শ বছর আগে লেখা মূল গল্পের কাছাকাছি থেকেও নতুনত্ব তৈরি করেছে। মেসি শেলির উপন্যাস ১৮১৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল, সিনেমার সময়কাল ১৮৫৭; লেখকের মৃত্যুর কিছু বছর পর। ভিক্টোরিয়ান যুগে গল্পকে স্থান দেওয়ায় তা বর্তমান দর্শকের কাছে পরিচিত প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে।

সিনেমার শুরু হয় আর্কটিক অঞ্চলে, যেখানে স্রষ্টা ও সৃষ্টি একে অপরের শিকার হয়ে চলেছেন। কিন্তু দেল তোরো সেটা যেভাবে দেখিয়েছেন তা কেবল চমকপ্রদ আর ভয়ানকই নয় বরং হৃদয়বিদারক। দেল তোরো মনস্টারকে একধরনের অতিপ্রাকৃত রূপ দিয়েছেন। একটু পরে মনস্টার নিজেই যখন তাঁর জীবনের গল্প বলা শুরু করে; সিনেমা নতুন রূপ পায়।

‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’–এর দৃশ্য। নেটফ্লিক্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ