প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের এই ভূখণ্ডের মানুষ চিরতার পানি পান করে আসছেন। চিরতার ডাল ভেজানো পানির উপকারিতার কথা আয়ুর্বেদশাস্ত্রেও আছে। তেতো স্বাদের এই পানীয় ওজন কমানো, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা, লিভারের সুরক্ষা থেকে শারীরিক সুস্থতায় কাজে দেয়।

চিরতার পানির ৭ উপকারিতা

১. নিয়মিত চিরতার পানি খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ কমতে থাকে। এটি ডায়াবেটিসের রোগী এবং ওজন কমাতে চাচ্ছেন, এমন ব্যক্তির জন্য খুবই উপকারী।

২.

চিরতা লিভারের বাইরের স্তরগুলো থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিয়ে লিভারকে সুস্থ রাখে। এই পানীয় খেলে ফ্যাটি লিভারসহ লিভারের অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

৩. কৃমি দূর করতে সাহায্য করে চিরতার পানি।

চিরতা গাছের ডাল

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ধর্মেন্দ্রর সেরা পাঁচ চরিত্র

আজ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। ৬ দশকের বেশি সময়ের অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সিনেমা উপহার দিয়েছেন। তার হিট সিনেমার তালিকা মোটেও ছোট নয়। পাশাপাশি দর্শক-সমালোচকদেরও ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই বরেণ্য অভিনেতা। তবে তার ক্যারিয়ারে এমন কিছু চরিত্র যুক্ত হয়েছে, যা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এমন পাঁচ চরিত্র নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন— 

অশোক (অনুপমা)
হৃষিকেশ মুখার্জি নির্মিত অন্যতম সাড়া জাগানো সিনেমা ‘অনুপমা’। ১৯৬৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমায় ‘অশোক’ চরিত্রে অভিনয় করেন ধর্মেন্দ্র। এটি চিন্তাশীল কোমল ও শান্ত স্বভাবের চরিত্র। ক্ল্যাসিক্যাল এই সিনেমায় বিশেষ আবেগময় সৌন্দর্য যোগ করেছেন ধর্মেন্দ্র। তার সংবেদনশীল ও হৃদয়ছোঁয়া অভিনয় স্মরণীয় ও মর্মস্পর্শী প্রেমকাহিনি গড়ে তুলেছে। সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে আরো অভিনয় করেছেন—শর্মিলা ঠাকুর, তরুণ বোস, দুলারি প্রমুখ। 

আরো পড়ুন:

ধর্মেন্দ্রকে কেন ‘সুপারস্টার’ বলা হয়নি?

বরেণ্য অভিনেতা ধর্মেন্দ্র মারা গেছেন

শাকা (ফুল আউর পাথর)
বলিউডের আলোচিত ও হিট সিনেমা ‘ফুল আউর পাথর’। ও. পি. রালহান পরিচালিত এই সিনেমা ১৯৬৬ সালে মুক্তি পায়। সিনেমাটিতে ‘শাকা’ চরিত্রে অভিনয় করেন ধর্মেন্দ্র। এই সিনেমা ধর্মেন্দ্রকে রাতারাতি তারকা বানিয়ে দেয়। শক্তপোক্ত কিন্তু ভেতরে নরম হৃদয়ের ‘শাকার’ ভূমিকায় দুর্দান্ত ভারসাম্য বজায় রেখেছেন ধর্মেন্দ্র। পর্দায় তার শক্তিশালী উপস্থিতি ও স্মরণীয় অভিনয়ের কারণে প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে মনোনয়ন লাভ করেন ধর্মেন্দ্র। সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন—মীনা কুমারি, মদন পুরি, ললিতা প্রমুখ। 

সত্যপ্রিয়া আচার্য (সত্যকাম)
ধর্মেন্দ্র অভিনীত ‘সত্যকাম’ সিনেমাও পরিচালনা করেন হৃষিকেশ মুখার্জি। সিনেমাটিতে ‘সত্যপ্রিয়া আচার্য’ চরিত্রে অভিনয় করেন ধর্মেন্দ্র। ইমোশনাল-ড্রামা ঘরানার এই সিনেমায় ধর্মেন্দ্র তার অন্যতম শক্তিশালী অভিনয় দর্শকদের উপহার দিয়েছেন। দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজে সততা ধরে রাখার সংগ্রাম করা এক সৎ লোকের চরিত্র আন্তরিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন ধর্মেন্দ্র। এই চরিত্রে অভিনয় করে সমালোচক ও দর্শকদের কাছ থেকে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ান ধর্মেন্দ্র। ১৯৬৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন—শর্মিলা ঠাকুর, সঞ্জীব কুমার, অশোক কুমার প্রমুখ।

বিরু (শোলে)
বলিউডের আলোচিত চলচ্চিত্র ‘শোলে’। রমেশ সিপ্পি নির্মিত সিনেমাটি শুধু চলচ্চিত্রই নয়, এটি ভারতীয় সিনেমার মিথ। ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম প্রভাবশালী এই সিনেমায় ‘বিরু’ চরিত্রে অভিনয় করেন ধর্মেন্দ্র। ‘বিরু’ চরিত্রে অভিনয় করে দেশজুড়ে সাড়া ফেলেছিলেন এই অভিনেতা। তার উদ্যম, হাস্যরস, সাহসিকতা এবং আইকনিক সংলাপগুলো তাকে ভারতীয় সিনেমার অন্যতম চরিত্রে পরিণত করে। অমিতাভ বচ্চন ও হেমা মালিনীর সঙ্গে তার দৃশ্যগুলো এখনো দর্শকদের মনে দাগ কেটে আছে। ১৯৭৫ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি।

প্রফেসর পরিমল ত্রিপাঠি (চুপকে চুপকে)
হৃষিকেশ মুখার্জি নির্মিত আলোচিত সিনেমা ‘চুপকে চুপকে’। ১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এ সিনেমায় ‘প্রফেসর পরিমল ত্রিপাঠি’ চরিত্রে অভিনয় করেন ধর্মেন্দ্র। এই ক্ল্যাসিক কমেডি ঘরানার চলচ্চিত্রে ধর্মেন্দ্রকে অত্যন্ত সহজভাবে দর্শকদের হাসাতে দেখা যায়। ড্রাইভার সেজে মজার কাণ্ড ঘটানো এক অধ্যাপকের চরিত্রে তার অভিনয় বলিউডের সেরা কৌতুকাভিনয়ের মধ্যে অন্যতম। সিনেমাটিতে আরো অভিনয় করেছেন—অমিতাভ বচ্চন, শর্মিলা ঠাকুর, জয়া বচ্চন, ওম প্রকাশ প্রমুখ। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ