এবি পার্টির নতুন চেয়ারম্যান মজিবুর, জেনারেল সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান
Published: 11th, January 2025 GMT
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) প্রথম জাতীয় কাউন্সিলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু। জেনারেল সেক্রেটারি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আইনজীবী আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তাঁরা আগামী তিন বছর দায়িত্ব পালন করবেন।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবি পার্টির প্রথম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করে দলটির অভ্যন্তরীণ নির্বাচন কমিশন। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবি পার্টির চেয়ারম্যান পদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। সারা দেশের কাউন্সিলররা সেখানে ভোট দেন। প্রবাসী ও অসুস্থ কাউন্সিলররা ভোট দেন অনলাইনে।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁরা হলেন দলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসচিব মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু ও যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় বাদ পড়লেন ৪৭ জন, আপিল করেছেন অনেকে
বিভিন্ন অভিযোগ এবং ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) উতরাতে না পারায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ৪৭ প্রার্থী। প্রার্থিতা ফিরে পেতে তাঁরা রোববার পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন আপিল করেছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে প্রাথমিক তালিকায় থাকা ১৯৪ জন এবং দুই ধাপে আপিলে ফিরে পাওয়া ৯ জনসহ মোট ২০৩ জন থেকে ৪৭ জনকে বাদ দিয়ে চূড়ান্ত তালিকায় ১৫৬ জনকে রাখা হয়।
বাদ পড়াদের মধ্যে ছাত্রদল–সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ও দুজন নির্বাহী সদস্য প্রার্থী এবং ছাত্র শক্তি সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেলের সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থীসহ কয়েকজন আলোচিত প্রার্থী রয়েছেন।
চূড়ান্ত তালিকা থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ১ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ২ জন, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ৬ জন, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে ৪ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ৪ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক পদে ১ জন, আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদে ১ জন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ২ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১ জন, পরিবহন সম্পাদক পদে ৩ জন, সমাজসেবা ও শিক্ষার্থী কল্যাণ সম্পাদক পদে ৪ জন, পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদে ৩ জন এবং নির্বাহী সদস্য পদে ১৫ জন বাদ পড়েছেন।
ভিপি পদ থেকে বাদ পড়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী চন্দন কুমার দাস। জিএস পদ থেকে বাদ পড়া দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মোছা. উম্মে মাবুদা এবং দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুজ্জামান টিংকু।
এজিএস পদ থেকে ছয়জন প্রার্থী বাদ পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্র শক্তি সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেলের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শাহিন মিয়া। বাকি পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন সংগীত বিভাগের শাহরিয়ার রহমান আবির, বাংলা বিভাগের ফাহিম ফয়সাল, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের গৌরাঙ্গ দাস, ফিন্যান্স বিভাগের মো. জহিরুল ইসলাম সোহাগ এবং ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের মো. নাফিউ উদ্দীন জিসান।
শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদ থেকে চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বাদ পড়েছেন। তাঁরা হলেন বাংলা বিভাগের মো. শাহাদাত হোসেন ও মাসুম মিয়া, আইন বিভাগের আবু সাঈদ মো. আকিব এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মো. ইর্তেজা তাসনীম।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদ থেকেও বাদ পড়েছেন চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাঁরা হলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মো. জিহাদুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের মো. আশিকুল হক আকাশ, মনোবিজ্ঞান বিভাগের মো. ইমরান হোসেন এবং রসায়ন বিভাগের মো. তানভীর মাহমুদ শিহাব।
স্বাস্থ্য ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক পদে বাদ পড়েছেন মাহমুদুল হাসান নাজমুল নামে স্বতন্ত্র প্যানেলের এক প্রার্থী। তিনি ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী।
আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদেও বাদ পড়েছেন এক প্রার্থী। তিনি হলেন ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী অর্ঘ্য দাস।
সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে বাদ পড়েছেন দুজন প্রার্থী। তাঁরা হলেন স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রার্থী লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাঈন আল মুবাশ্বির। ক্রীড়া সম্পাদক পদে বাদ পড়েছেন স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রার্থী আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. তাসনিমুল ইসলাম।
পরিবহন সম্পাদক পদ থেকে তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বাদ পড়েছেন। তাঁরা হলেন মার্কেটিং বিভাগের মো. আরিফুল ইসলাম আসলাম, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মাইদুল ইসলাম এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মো. ইমন মিয়া।
সমাজসেবা ও শিক্ষার্থী কল্যাণ সম্পাদক পদ থেকে বাদ পড়েছেন চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাঁরা হলেন বাংলা বিভাগের মো. আসিফ মাহমুদ ও মো. সাব্বির হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের মো. আসিফ আহম্মদ এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ফাহাদুল ইসলাম।
পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদ থেকে বাদ পড়া তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন আইন বিভাগের উমর ফারুক, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মো. রওসন উল ফেরদৌস এবং আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়া তামজিদ।
নির্বাহী সদস্য পদ থেকে ১৫ জন প্রার্থী বাদ পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছাত্রদল–সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের দুজন হলেন ইতিহাস বিভাগের মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের মনিরুজ্জামান মনির।
বাকি ১৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন পরিসংখ্যান বিভাগের পাভেল আনাম, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের মো. শিহাব উদ্দীন হিফজু ও মো. শের আলী, মার্কেটিং বিভাগের মো. শাহরিয়ার কাদের প্লাবণ, ইংরেজি বিভাগের মো. সিফাত হাসান সাকিব, আইন বিভাগের মো. কামরান সিদ্দিকী ইমরোজ, প্রিন্টমেকিং বিভাগের মো. রাহুল ইসলাম জামিল, লোকপ্রশাসন বিভাগের ইফতে হাসান ইমন, দর্শন বিভাগের আবু সায়েম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মিজান উদ্দিন মাসুদ ও মো. বাশার আলী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মো. তাওহিদুল ইসলাম সম্রাট বাবর এবং ইতিহাস বিভাগের জুয়েল মাতুব্বর।
এ বিষয়ে ছাত্রদল–সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের নির্বাহী সদস্য প্রার্থী ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম আরিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই তালিকায় ছিলাম, আমার ডোপ টেস্টের ফলাফলও নেগেটিভ ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই জানতে পারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় আমার নাম নেই। কেন বাদ দেওয়া হলো, তা–ও আমি জানি না।’
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, ডোপ টেস্টের ফলাফল পজিটিভ আসায় দুজন এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগের কারণে অন্যদের চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে রোববার পর্যন্ত বাদ পড়া প্রার্থীদের আপিলের সুযোগ আছে।