এবি পার্টির নতুন চেয়ারম্যান মজিবুর, জেনারেল সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান
Published: 11th, January 2025 GMT
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) প্রথম জাতীয় কাউন্সিলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু। জেনারেল সেক্রেটারি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আইনজীবী আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তাঁরা আগামী তিন বছর দায়িত্ব পালন করবেন।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবি পার্টির প্রথম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করে দলটির অভ্যন্তরীণ নির্বাচন কমিশন। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবি পার্টির চেয়ারম্যান পদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। সারা দেশের কাউন্সিলররা সেখানে ভোট দেন। প্রবাসী ও অসুস্থ কাউন্সিলররা ভোট দেন অনলাইনে।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁরা হলেন দলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসচিব মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু ও যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ধ্বংসস্তূপে জীবনের জয়গান
একে অপরের হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছেন বর-কনে। কনের পরনে লাল ফিতায় সজ্জিত ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী কারুকার্যমণ্ডিত লাল–সাদা পোশাক। বরের গায়ে কালো স্যুট ও টাই। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একটি গণবিবাহের দৃশ্য এটি। দুই বছর ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও ধংসস্তুপকে পেছনে রেখে এভাবেই গাওয়া হয় নতুন জীবনের জয়গান।
গত মঙ্গলবার গাজার দক্ষিণে খান ইউনিস শহরে চোখজুড়ানো এ অয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ৫৪ জোড়া জুটির বিয়ে সম্পন্ন হয়, যা কোনো প্রচলিত বিয়ে নয়। যুদ্ধের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে এটি ছিল জীবনের সাহসী উদ্যাপন। কারাম মুসাআদ নামের এক ফিলিস্তিনি তরুণ ওই অনুষ্ঠানে জীবনসঙ্গী বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এমন একটি আনন্দঘন মুহূর্তের প্রয়োজন ছিল, যা আবার আমাদের হৃদয়কে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে।’
ইসরায়েলের হামলায় গাজার সর্বত্র ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। তার ওপরে লালগালিচা বিছিয়ে বানানো হয় অস্থায়ী মঞ্চ। বাদ্যের তালে তালে পা মিলিয়ে একে একে মঞ্চে ওঠেন হবু দম্পতিরা। ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা কনেদের হাতে ছিল লাল, সাদা ও সবুজ রঙের ফুলের তোড়া। তিন ধরনের ফুলের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের পতাকা ফুটিয়ে তোলা হয়। তাঁদের পাশে ফিলিস্তিনের ছোট ছোট পতাকা উড়িয়ে হাঁটছেন বরেরা।
অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী গান ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়, যা দেখতে শত শত দর্শক শহরের একটি চত্বরে জড়ো হন। কেউ দাঁড়িয়ে ছিলেন, কেউ আশপাশের ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের ওপর অসহায়ভাবে বসেছিলেন।