এবি পার্টির নতুন চেয়ারম্যান মজিবুর, জেনারেল সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান
Published: 11th, January 2025 GMT
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) প্রথম জাতীয় কাউন্সিলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু। জেনারেল সেক্রেটারি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আইনজীবী আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তাঁরা আগামী তিন বছর দায়িত্ব পালন করবেন।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবি পার্টির প্রথম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করে দলটির অভ্যন্তরীণ নির্বাচন কমিশন। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবি পার্টির চেয়ারম্যান পদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। সারা দেশের কাউন্সিলররা সেখানে ভোট দেন। প্রবাসী ও অসুস্থ কাউন্সিলররা ভোট দেন অনলাইনে।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁরা হলেন দলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসচিব মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু ও যুগ্ম আহ্বায়ক কর্নেল (অব.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সুপার ওভারে কোনো দলই অভ্যস্ত নয়, দেশে ফিরে আকবর আলী
জিশান আলমকে কি ওই শট খেলতেই হতো? প্রথম ২ বলে ৬ রান পাওয়া বাংলাদেশ কি শেষ ৪ বলে আরও ৬ রান তুলতে পারত না? ৪ বলে ৬ রান তুলতে তো প্রতি বলে বড় শটের দরকার হয় না!
গত পরশু কাতারে রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপ ফাইনালে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষ সুপার ওভারে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। সেই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে নেতৃত্ব দেওয়া আকবর আলী এ নিয়ে কী বলছেন?
আজ সকালে কাতার থেকে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আকবর বলেছেন, কোনো দল সুপার ওভার খেলতে অভ্যস্ত নয়। ভারতের বিপক্ষে করা তাঁর শিশুতোষ ভুল নিয়েও কথা বলেন আকবর।
সেদিন সুপার ওভারে ৬ রান তুলেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম বলে হাবিবুর রহমান ১ রান নেন। দ্বিতীয় বলে আবদুল গাফফার ফিরতি ক্যাচ দেন পাকিস্তানি পেসার আহমেদ দানিয়ালকে। পরের বলে ওয়াইড থেকে আসে ৫ রান। বৈধ তৃতীয় বলে জিশান আলমকে বোল্ড করে দেন দানিয়াল। সুপার ওভারে বাকি ৩টি বল খেলতে পারলে ১০ রানের বেশি তোলার সম্ভাবনা থাকত বাংলাদেশের। এই টুর্নামেন্টে ইয়র্কার স্পেশালিস্ট হয়ে ওঠা রিপন মণ্ডলের বিপক্ষে ১০ থেকে ১২ রান তোলা সহজ হতো না পাকিস্তান ‘এ’ দলের। কিন্তু সংগ্রহ কম হওয়ায় পাকিস্তান ‘এ’ দলে সহজেই ম্যাচটি জিতে নেয়।
সুপার ওভারের পারফরম্যান্স নিয়ে আকবর বলেছেন, ‘সুপার ওভারে কোনো দলই অভ্যস্ত নয়, সুপার ওভার হয়ই কালেভদ্রে। টানা দুইটা ম্যাচে সুপার ওভার খেলার ঘটনা কমই ঘটে। সুপার ওভারে হাইরিস্ক শটই খেলতে হয়, অনেক সময় ক্লিক করে, অনেক সময় করে না। আমি এভাবেই দেখছি ব্যাপারটাকে।’
সেদিন সুপার ওভারের ব্যাটসম্যানদের সমন্বয় নিয়ে আকবর বলেন, ‘সুপার ওভারে সোহানকে (হাবিবুর) পাঠানো কারণ হলো পুরো টুর্নামেন্টে ও আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান ছিল। আর সাকলাইন আবদুল গাফফার) ওই ম্যাচে অনেক ভালো টাচে ছিল।’
ফাইনাল জিততে না পেরে হতাশাও প্রকাশ করেছেন আকবর, ‘প্লেয়ার, কোচিং স্টাফ থেকে সবাই একটু হতাশ, যেখান থেকে আমরা ফিরে এসেছি, এরপর সুভার ওভারে হারা সবার জন্য হতাশাজনক। চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চটা দেওয়ার, শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। সব মিলিয়ে বলতে হবে আমরা বেশির ভাগ জায়গায় ভালো ক্রিকেট খেলেছি, ফাইনাল জিততে পারলে, কোনো কোনো ম্যাচে ভুল কম করলে বলতাম আমরা পারফেক্ট টুর্নামেন্ট খেলে ফিরেছি।’
এর আগে সেমিফাইনালেও ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে সুপার ওভার খেলে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সেদিন ম্যাচ সুপার ওভারে যায় আকবরের বোকামিতে। সেমিফাইনালে শেষ বলে ভারত ‘এ’ দলের লাগত ৪ রান। হার্শ দুবে বাউন্ডারি মারা চেষ্টা করলেও বল যায় লং অনে জিশানের হাতে। তিনি উইকেটকিপার আকবরের দিকে থ্রো করলেও ২ রান নেয় ভারত ‘এ’ দল।
এরপর হার্শকে রানআউট করতে আকবর বল স্টাম্পে মারলেও স্টাম্প না ভাঙায় কোনো ফিল্ডারও কাছে না থাকায় ভারত ‘এ’ দল সুযোগ পেয়ে তৃতীয় রান নিয়ে ম্যাচ টাই করে। অথচ বল হাতে রেখে দিলেও বা হেঁটে গিয়ে স্টাম্প ভাঙলেও ১ রানে জিততে পারত বাংলাদেশ। এ নিয়ে আকবর বলেছেন, ‘ওই মোমেন্টে কী হয়েছে, আমি নিজেও জানি না। আমি কেন করেছি, এটার কোনো ব্যাখ্যাও নেই। তবে যে ভুলটা আমি করেছি, ওটা অনূর্ধ্ব–১২–এর খেলোয়াড়েরাও করবে না।’