আজানের সময় দোয়া করলে গুনাহ মাফ হয়
Published: 13th, January 2025 GMT
প্রতি ওয়াক্ত ও জুমার নামাজে যোগ দেওয়ার জন্য আজান দেওয়া হয়। নামাজের জন্য সবাইকে আহ্বান করতে আজান দেওয়া হয়। আজান শোনার পর দোয়া পড়তে হয়।
আজানের দোয়া:
‘আল্লাহুম্মা রব্বা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাতি ওয়াস সালাতিল কায়িমাতি আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাতা ওয়াদ দারজাতার রফিআতা ওয়াবআসহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়াআত্তাহু; ওয়ারজুকনা শাফাআতাহু ইয়াওমাল কিয়ামাতি, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিআদ।’
এই দোয়ার অর্থ: হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বানের ও স্থায়ী প্রতিষ্ঠিত নামাজের আপনিই প্রভু। হজরত মুহাম্মদ (সা.
আজানের ফজিলত সম্পর্কে বুখারি শরিফে বলা হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন নামাজের জন্য আজান দেওয়া হয়, তখন শয়তান হাওয়া ছেড়ে পালায়, যাতে সে আজানের শব্দ না শোনে। যখন আজান শেষ হয়ে যায়, তখন সে আবার ফিরে আসে। আবার যখন নামাজের জন্য একামত বলা হয়, তখন আবার সে দূরে সরে যায়। একামত শেষ হলে সে পুনরায় ফিরে এসে লোকের মনে কুমন্ত্রণা দিয়ে বলে, এটা স্মরণ করো, ওটা স্মরণ করো। এভাবে বিস্মৃত বিষয়গুলো সে স্মরণ করিয়ে দেয়। তাতে লোকটি এমন অবস্থায় গিয়ে পৌঁছায় যে, সে কয় রাকাত নামাজ আদায় করেছে তা আর মনে করতে পারে না।
আরও পড়ুনআজান কেমন করে এল ২০ ডিসেম্বর ২০২৩আজান ও ইকামাতের বাক্যগুলোপ্রথমে আল্লাহু আকবার, ‘আল্লাহ মহান’ (চারবার), অতঃপর আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই’ (দুবার), তারপর আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ, ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল’ (দুবার), তারপর হাইয়া আলাস সালাহ, ‘নামাজের জন্য আসো’ (দুবার) ও হাইয়া আলাল ফালাহ, ‘কল্যাণের জন্য আসো’ (দুবার) ; পরিশেষে আল্লাহু আকবার, ‘আল্লাহ মহান’ (দুবার) ও লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নাই’ (একবার)। ফজরের নামাজের আজানে পঞ্চম বাক্যের (হাইয়া আলাল ফালাহ) পর বলতে হয়, আস সালাতু খায়রুম মিনান নাওম, ‘ঘুম অপেক্ষা নামাজ উত্তম’ (দুবার) এবং একামতে এই স্থানে বলতে হয় কদ কমাতিস সালাহ, ‘জামাত প্রস্তুত’ (দুবার)।
আরও পড়ুনহজরত বেলাল (রা.) অনুপস্থিত থাকলে নবীজি (সা.) তাঁকে বলতেন আজান দিতে ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে দর্শনা জয়নগর সীমান্তের ৭৬ নম্বর মেইন পিলারের কাছে শূন্যরেখায় এসব বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান ও দর্শনা আইসিপি বিওপির কমান্ডারগণ। বিএসএফের পক্ষে ছিলেন ৩২ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট সুজিত কুমার ও গেঁদে কোম্পানির কমান্ড্যান্টগণ।
আরো পড়ুন:
নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
হস্তান্তর করা বাংলাদেশিদের মধ্যে চারজন পুরুষ, ৫ জন নারী ও ৬ জন শিশু। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও গাজীপুর জেলায়।
এসব ব্যক্তি কাজের সন্ধানে বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। তারা ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে ইটের ভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে কারাগারে পাঠায় ভারতীয় পুলিশ। এর পর সরকারি উদ্যোগে কারাগার থেকে মুক্ত করে আজ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিজিবি ওই ১৫ বাংলাদেশিকে দর্শনা থানা পুলিশের মাধ্যমে স্ব স্ব ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে অনুমতি দিয়েছে।
ঢাকা/মামুন/রফিক